বড় স্কোরের ম্যাচই হতে পারে সিন্ধিয়া স্টেডিয়ামে
শ্রীমন্ত মাধবরাও সিন্ধিয়া ক্রিকেট স্টেডিয়ামের মাঝমাঠে সঞ্জু স্যামসন উইকেটকিপিং অনুশীলন করছিলেন। পাশেই বাংলাদেশ-ভারত টি-টোয়েন্টি ম্যাচের জন্য নির্ধারিত উইকেট। সেটি আবার ঢেকে রাখা হয়েছে অদ্ভুতভাবে। নীল রঙের চট দিয়ে পুরো ২২ গজ লুকায়িত।
অনুশীলন শেষে ড্রেসিংরুমে ফেরার আগে সে চট উল্টে উইকেটটি একটু দেখে নিলেন স্যামসন। ভারতীয় দলের ঐচ্ছিক অনুশীলনে আজ স্যামসন ছাড়াও এসেছেন হর্ষিত রানা, জিতেশ শর্মা ও মায়াঙ্ক যাদব। মূল উইকেটের পাশের নেটে হয়েছে তাঁদের অনুশীলন।
গতকাল বাংলাদেশ দলও মূল উইকেটের পাশেই অনুশীলন করেছে। আজ সন্ধ্যায় নাজমুলদের অনুশীলন করার কথা। প্রথম দিনের অনুশীলন থেকেই বোঝা যাচ্ছিল, মধ্য প্রদেশ ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের নতুন এই মাঠে বড় স্কোর হতে যাচ্ছে।
মাঝ মাঠ থেকে লিটন-হৃদয়-রিশাদদের বড় বড় ছক্কা আছড়ে পড়ছিল গ্যালারিতে। স্পিনারদের বল যাচ্ছিল সোজা, পেসাররা সুইং পাচ্ছিলেন ঠিকই, কিন্তু বল ব্যাটে আসছিল সহজেই। ৬ অক্টোবরের ম্যাচেও যে বড় রান হবে, নেটের উইকেটে যেন সেই আভাস।
এ মাঠের টি-টোয়েন্টি রেকর্ডেও আছে বড় রানের পূর্বাভাস। মধ্য প্রদেশ ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের এক কর্মকর্তা জানান, গত জুনে এ মাঠে হয়ে যাওয়া মধ্য প্রদেশ ক্রিকেট লিগের (এমপিএল) ১২ ম্যাচের মধ্যে দুই শ হয়েছে চারবার। বাংলাদেশ-ভারত ম্যাচেও এ রকমই স্কোর হবে বলে আশা সেই কর্মকর্তার, ‘পিচ বদলানোর সুযোগ নেই। এখানে ভালোই রান হবে ধরে রাখেন।’
এমপিএলের ফাইনাল ম্যাচের কথা মনে করিয়ে দিলেন সেই কর্মকর্তা। গোয়ালিয়র চিতার করা ৭ উইকেটে ১৯৩ রান মালওয়া পেন্থার ১ বল বাকি থাকতেই টপকে যায়। টুর্নামেন্টের প্রথম ম্যাচে তো জাবালপুর লায়ন্স ৪ উইকেটে করেছিল ২৪৯ রান, জবাবে ভোপাল লেপার্ড করেছিল ২১৬ রান। পুরো টুর্নামেন্টে প্রথম ইনিংসে গড় রান হয়েছে ১৭১, দ্বিতীয় ইনিংসে ১৫০।
মধ্য প্রদেশ ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের সেই কর্মকর্তার দাবি, ‘টুর্নামেন্টের শেষের দিকে তিন-চারটা ম্যাচ বৃষ্টির কারণে বাধাগ্রস্ত হয়েছে। না হলে গড় রান আরও বেশি হতো।’
মধ্য প্রদেশ ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনও বড় রান চায়। নতুন এই স্টেডিয়ামের আন্তর্জাতিক অভিষেকে রোমাঞ্চকর ম্যাচ উপহার দিতে চান আয়োজকেরা।