বড় লিড পেয়েও সতর্ক ভারত
ম্যাচের আগে ‘আগ্রাসী ক্রিকেট’-এর নিশ্চয়তা দিয়েছিলেন ভারত অধিনায়ক লোকেশ রাহুল। তবে ২৫৪ রানের বড় লিড নিয়ে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিংয়ে নামার পর প্রথম সেশনে বেশ সতর্ক ব্যাটিং-ই করেছেন ভারতের রাহুল ও শুবমান গিল।
তৃতীয় দিন মধ্যাহ্নবিরতির আগে ১৫ ওভার ব্যাটিং করে ৩৬ রান তুলেছে ভারত, এর ফলে দ্বিতীয় ইনিংসে তারা এগিয়ে ২৯০ রানে। গিল ও রাহুল থেকেছেন খোলসবন্দী হয়েই। ৪৭ বলে ১৫ রান করে অপরাজিত গিল, রাহুল ব্যাটিং করছিলেন ৪৩ বলে ২০ রান নিয়ে।
পিঠে ব্যথার কারণে এ সেশনে ফিল্ডিংয়ে নামেননি পেসার ইবাদত হোসেন। প্রথম সেশনে বোলিংয়ে আসেননি আগের দিন কাঁধের ব্যথায় বোলিং না করা অধিনায়ক সাকিব আল হাসানও। কার্যত তিন স্বীকৃত বোলারের আক্রমণের বিপক্ষেও এ সেশনে ভারত মেরেছে মাত্র ৩টি বাউন্ডারি, এর মধ্যে দুটিই এসেছে বিরতির আগে মিরাজের করা শেষ ওভারে। অবশ্য টেস্টে এখনো বাকি আড়াই দিন, নিয়ন্ত্রণ ভারতের কাছে আছে তাই ভালোভাবেই।
সেশনে বাংলাদেশ ব্রেকথ্রুর খুব কাছে গিয়েছিল ইনিংসের চতুর্থ ওভারে। তাইজুল ইসলামের বলে গিলকে এলবিডব্লু দিয়েছিলেন আম্পায়ার শরফউদ্দৌলা। তবে বল ট্র্যাকিং দেখিয়েছে, বল মিস করে যেত লেগ স্টাম্প। তাইজুল এমনিতে টার্ন ও বাউন্সের দেখা পেয়েছেন, তবে গিল-রাহুল সেসব সামলেছেন ভালোভাবেই।
এর আগে কুলদীপ যাদবের ক্যারিয়ার-সেরা বোলিংয়ের পর ১৫০ রানেই প্রথম ইনিংসে গুটিয়ে গেছে বাংলাদেশ। এ মাঠে নিজেদের প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশের এটি দ্বিতীয় সর্বনিম্ন স্কোর। তৃতীয় দিন সকালে বাংলাদেশের শেষ দুই উইকেট জুটি টিকেছে ৪৮ মিনিট ও ১১.৫ ওভার। এ দিন বাংলাদেশ যোগ করতে পেরেছে ১৭ রান।
মেহেদী হাসান মিরাজ ও ইবাদত হোসেনের অষ্টম উইকেট জুটি অবিচ্ছিন্ন থেকে নামে আজ। দিনের পঞ্চম ওভারে কুলদীপ যাদবের লেগ সাইডের বলে ব্যাট চালিয়ে কট বিহাইন্ড হন ইবাদত। মিরাজের সঙ্গে তাঁর জুটিতে ওঠে ৪২ রান, ৮৩ বলে। রান ও বলের হিসেবে বাংলাদেশ ইনিংসে সর্বোচ্চ জুটি সেটিই। ইবাদতের উইকেটটিই ছিল কুলদীপের ইনিংসে পঞ্চম উইকেট। শেষ পর্যন্ত এ বাঁহাতি রিস্ট স্পিনার বোলিং শেষ করেন ৪০ রানে ৫ উইকেট নিয়ে। ক্যারিয়ারে এটি তৃতীয়বারের মতো ৫ উইকেট তাঁর, সেরা বোলিং ফিগারও।
খালেদের সঙ্গে মিরাজের জুটি এরপর ৭ ওভার টিকলেও ওঠে মাত্র ৬ রান। ইনিংসের ৫৪তম ওভারে অক্ষর প্যাটেলের বলে হয়েছে দুটি রিভিউ। প্রথমে খালেদকে আউট না দেওয়ার পর রিভিউ করে ভারত, তবে ইমপ্যাক্ট ছিল আম্পায়ার্স কল। এরপর খালেদকে এলবিডব্লু দেন আম্পায়ার শরফউদ্দৌলা। তবে আলট্রা-এজে দেখা গেছে, প্যাডের আগে বল লেগেছিল ব্যাটে। খালেদ শেষ পর্যন্ত অপরাজিতই ছিলেন। অক্ষরের পরের ওভারে ডাউন দ্য গ্রাউন্ডে এসে খেলতে গিয়ে মিস করেন মিরাজ। বেশ সময় নিয়েই স্টাম্পিং করেন ঋষভ পন্ত। ৮২ বল খেলে মিরাজ করেন ২৫ রান।
মহান বিজয় দিবসে আজ বুকে পতাকা অঙ্কিত বিশেষ জার্সি পরে নেমেছে বাংলাদেশ দল। পতাকার নিচে লেখা আছে, ‘৫১তম বিজয় দিবস’।