ক্যারিয়ার–সেরা র্যাঙ্কিংয়ে মুশফিক-তাইজুল
প্রথম ইনিংসে ১২৬ আর দ্বিতীয় ইনিংসে অপরাজিত ৫১—আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে একমাত্র টেস্টে দুই ইনিংসেই ছন্দে ছিলেন মুশফিকুর রহিম। একই ম্যাচে বল হাতে তাইজুল ইসলাম নিয়েছিলেন যথাক্রমে ৫ ও ৪টি করে মোট ৯ উইকেট।
মিরপুর টেস্টে আইরিশদের বিপক্ষে নৈপুণ্যের ফলে দুজনেরই রেটিং বেড়েছে। উঠে গেছেন ক্যারিয়ার–সেরা টেস্ট র্যাঙ্কিংয়েও। ব্যাটসম্যানদের র্যাঙ্কিংয়ে মুশফিক ১৭ নম্বরে, বোলারদের র্যাঙ্কিংয়ে তাইজুল ২০ নম্বরে।
আইসিসির হালনাগাদ র্যাঙ্কিংয়ে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
মুশফিক এর আগেও একবার ১৭ নম্বরে উঠেছিলেন। সেটি গত বছরের মে মাসে শ্রীলঙ্কা সিরিজের পর। তাইজুলের ক্যারিয়ার–সেরা র্যাঙ্কিং ছিল ২১, ২০১৮ সালের নভেম্বরে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজের পর।
আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচসেরার পুরস্কার জেতা মুশফিক মোট ৫ ধাপ এগিয়েছেন, রেটিং ৬৭৪। বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের মধ্যে সর্বোচ্চ ৬৮৪ রেটিং নিয়ে ১৫ নম্বরে আছেন লিটন দাস। অধিনায়ক সাকিব আল হাসান ব্যাটিংয়ে এক ধাপ এগিয়ে অবস্থান করছেন ৩৮ নম্বরে। দ্বিতীয় ইনিংসে বল হাতে ২ উইকেট নিয়ে ২ ধাপ এগিয়েছেন সাকিব, আছেন ২৬ নম্বরে।
বাংলাদেশের বোলারদের মধ্যে ৩ ধাপ এগিয়ে শীর্ষে এখন তাইজুলই। তবে হালনাগাদ করা র্যাঙ্কিংয়ে সবচেয়ে বেশি ১৫ ধাপ এগিয়েছেন ইবাদত হোসেন। আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে ৫ উইকেট নিয়ে ডানহাতি এ পেসার এখন ৬৭ নম্বরে অবস্থান করছেন। এটি তাঁর ক্যারিয়ার–সেরাও। এর আগে গত বছরের এপ্রিলে সর্বোচ্চ ৭৯ নম্বরে উঠেছিলেন।
বাংলাদেশের ব্যাটসম্যান-বোলার বাদ দিলে টেস্ট র্যাঙ্কিংয়ের ওপরের দিকে পরিবর্তন একদমই হয়নি। ব্যাটসম্যানদের প্রথম তিনে যথারীতি মারনাস লাবুশেন, কেইন উইলিয়ামসন ও স্টিভেন স্মিথ। আর বোলারদের সেরা তিনে রবিচন্দ্রন অশ্বিন, জিমি অ্যান্ডারসন ও প্যাট কামিন্স।
ওয়ানডে র্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষে আছেন (ব্যাটিংয়ে) বাবর আজম, রেসি ফন ডার ডুসেন ও ইমাম উল হক এবং (বোলিংয়ে) জশ হ্যাজলউড, ট্রেন্ট বোল্ট ও মোহাম্মদ সিরাজ। আর টি-টোয়েন্টিতে (ব্যাটিংয়ে) সূর্যকুমার যাদব, মোহাম্মদ রিজওয়ান ও বাবর আজম এবং (বোলিংয়ে) রশিদ খান, ফজলহক ফারুকি ও জশ হ্যাজলউড।
ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি অলরাউন্ডার র্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষস্থান ধরে রেখেছেন সাকিব। টেস্টে আছেন তিনে।