টেস্ট বাঁচাতে অলৌকিক কিছু করতে হবে নিউজিল্যান্ডকে
লক্ষ্যটা বেশ বড়—৩৯৪ রান। জিততে হলে রীতিমতো রেকর্ডই করতে হবে নিউজিল্যান্ডকে। কারণ কিউইরা এর আগে কখনো চতুর্থ ইনিংসে ৩২৪ রানের বেশি তাড়া করে জিততে পারেনি। নিউজিল্যান্ডের মাটিতেও ৩৪৫ রানের বেশি সফল তাড়ার রেকর্ড নাই।
ইংল্যান্ডের দেওয়া প্রায় চার শ ছুঁই রানের লক্ষ্য তাই টিম সাউদির দলের জন্য বিশালই।
সেই বিশাল লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে মাত্র ২৮ রানেই ৫ উইকেট হারিয়েছে নিউজিল্যান্ড। মাউন্ট মঙ্গানুই টেস্টের তৃতীয় দিনে ২৩ ওভার ব্যাট করেছে কিউইরা। ষষ্ঠ উইকেট জুটিতে ৩৫ রান তুলে অবিচ্ছিন্ন আছেন ড্যারিল মিচেল ও মাইকেল ব্রেসওয়েল। তবে দিনশেষে ৫ উইকেটে ৬৩ রান বলছে, অলৌকিক কিছু না ঘটলে এই টেস্টে বড় পরাজয় অপেক্ষা করছে নিউজিল্যান্ড। এখনো যে বাকি ৩৩১ রান!
দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিং ব্যর্থতার আগে নিউজিল্যান্ডের জন্য ম্যাচটি কঠিন হয়ে গেছে ইংল্যান্ডের দ্বিতীয় ইনিংসের ব্যাটিংয়েই। প্রথম ইনিংসে ইংল্যান্ডের ৩২৫ রানের পর ৩০৬ রান তুলে কাছাকাছিই ছিল সাউদির দল। কিন্তু দ্বিতীয় ইনিংসে বেন স্টোকসের দল আরও ৩৭৪ রান যোগ করেছে।
কেউ সেঞ্চুরি করেননি, খেলেননি ৬০ পার করা ইনিংসও। তবু সম্মিলিত প্রচেষ্টায় রানসংখ্যা পৌনে চার শয় নিয়ে যায় সফরকারীরা। ১১ ব্যাটসম্যানের মধ্যে ৯ জনই ছুঁয়েছেন দুই অঙ্ক, তিন জন পেরিয়েছেন পঞ্চাশের ঘর। জো রুটের ৫৭, হ্যারি ব্রুকের ৫৪ আর বেন ফোকসের ৫১’র পাশাপাশি ৪৯ রানের ইনিংস খেলেন ওলি পোপ। নয় নম্বরে নামা ওলি রবিনসনও খেলেন ৩৯ রানের ইনিংস।
৩৩ বল খেলা অধিনায়ক স্টোকস করেন ৩১ রান, যার মধ্যে ছিল দুটি ছয়। এর মধ্যে স্কট কুগলায়েনকে ফাইন লেগের ওপর দিয়ে মারা প্রথম ছয়টির মাধ্যমে টেস্ট ক্রিকেটে সর্বোচ্চ ছয়ের বিশ্ব রেকর্ড গড়েন স্টোকস। ব্রেন্ডন ম্যাককালামের ১০৭ ছয় ছাপিয়ে টেস্ট ইতিহাসের সবচেয়ে বেশি ছয়ের মালিক এখন ইংল্যান্ড অধিনায়ক।
নিউজিল্যান্ডের পক্ষে তিনটি করে উইকেট নেন ব্লেয়ার টিকনার ও মাইকেল ব্রেসওয়েল।
তৃতীয় দিনের শেষ সেশনে কিউইরা ব্যাটিংয়ে নামেন প্রবল চাপ নিয়ে। নিউজিল্যান্ডের মাটিতে চতুর্থ ইনিংসে সর্বোচ্চ ৩৪৫ রান তাড়া করে জেতার রেকর্ড আছে। অকল্যান্ডের ইডেন পার্কে ওয়েস্ট ইন্ডিজ যা করেছিল সেই ১৯৬৯ সালে। নিউজিল্যান্ড চতুর্থ ইনিংসে সফল তাড়া করতে পেরেছে সর্বোচ্চ ৩২৪ রান। ক্রাইস্টচার্চে ১৯৯৪ সালের সেই ম্যাচটির প্রতিপক্ষ ছিল পাকিস্তান।
দুটোই বেশ পুরোনো। নতুন রেকর্ড গড়তে হলে শুরুতেই বড় কিছুর দরকর ছিল। উল্টো চতুর্থ থেকে ১৪তম ওভারের মধ্যেই ড্রেসিংরুমে ফেরেন পাঁচ ব্যাটসম্যান। যার মধ্যে হেনরি নিকোলসের উইকেটটিই শুধু রবিনসনের। টম ল্যাথাম, ডেভন কনওয়ে, কেইন উইলিয়ামসন আর টম ব্লান্ডেলদের উইকেট চারটি স্টুয়ার্ট ব্রডের।
কনওয়েকে বোল্ড করার মাধ্যমে জুটির একটি বিশ্ব রেকর্ড গড়েন ব্রড। জিমি অ্যান্ডারসনের সঙ্গে তাঁর জুটির টেস্ট উইকেট সংখ্যা দাঁড়ায় ১০০২। পেরিয়ে যান অস্ট্রেলিয়ার কিংবদন্তি বোলিং জুটি গ্লেন ম্যাকগ্রা-শেন ওয়ার্নের ১০০১ উইকেট।