বাবর–রিজওয়ানকে চাপে রাখা হয়েছে, দাবি রমিজের
পাকিস্তান ক্রিকেট ও অস্থিরতা যেন অনেকটাই সমার্থক। দেশটির ক্রিকেটে খুব বেশি দিন স্থিতিশীল থাকার দৃষ্টান্ত খুঁজে পাওয়াই যে দুষ্কর। কদিন আগেও মনে হচ্ছিল, রমিজ রাজার অধীন ঘুরে দাঁড়াচ্ছে তারা। তবে গত এক মাসেই ওলট-পালট হয়ে গেছে সবকিছু। দায়িত্ব হারিয়ে রমিজ এখন বোর্ডের বাইরে। তাঁর স্থলাভিষিক্ত হয়েছেন নাজাম শেঠি।
শুধু বোর্ডপ্রধানের দায়িত্বেই নয়, প্রধান নির্বাচকসহ অন্য পদগুলোতেও এসেছে পরিবর্তন। রদবদলের এ অস্থিরতার মধ্যে চলছে কথার লড়াইও। এবার রমিজ দাবি করেছেন, নতুন কমিটি দায়িত্ব নিয়ে ‘অযৌক্তিক চাপ’ দিচ্ছে অধিনায়ক বাবর আজম ও সহ–অধিনায়ক মোহাম্মদ রিজওয়ানের ওপর।
রমিজকে সরিয়ে শুরুতেই বেশ কিছু পরিবর্তন এনেছে পিসিবির দায়িত্বে আসা নতুন কর্তারা। লম্বা সময় পর টেস্ট খেলার সুযোগ দেওয়া হয় সরফরাজ আহমেদকে, যা চাপে ফেলেছে রিজওয়ানকে। সরফরাজ অবশ্য সুযোগটা দারুণভাবে কাজেও লাগিয়েছেন। অন্য দিকে ব্যাট হাতে পারফর্ম করলেও দল ভালো না করায় চাপ আছে বাবরের ওপরও।
অনেক ক্ষেত্রে এই দুজনের ওপর ‘অযৌক্তিক’ চাপ দেওয়ার হচ্ছে উল্লেখ করে রমিজ বলেছেন, ‘আমার বিশ্বাস, বাবর আজম ও মোহাম্মদ রিজওয়ান ব্যাপক চাপে আছে। বাবর রান করছে, তবে টেস্টে সময়টা ভালো না যাওয়ায় বাবরের ওপর চাপ তৈরি করা হচ্ছে। আর এভাবে ড্রেসিংরুমের পরিবেশ ক্ষতিগ্রস্ত করা হচ্ছে।’
লাল বলের ক্রিকেটে রিজওয়ানকে বাদ দেওয়া নিয়েও কথা বলেছেন রমিজ, ‘নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজে বাদ দেওয়ার পর রিজওয়ানও বেশ চাপে আছে। কারণ, পাকিস্তানের বিকল্প উইকেটকিপার আছে। রিজওয়ানকে পারফর্ম করে ঘুরে দাঁড়াতে হবে, যা মোটেই সহজ নয়।’
সাদা বলের ক্রিকেটে নতুন করে কাউকে সহ–অধিনায়কের দায়িত্ব দেওয়ার বিরোধিতাও করেছেন রমিজ। সম্প্রতি নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথম ওয়ানডেতে নিয়মিত সহ–অধিনায়ক শাদাব খান না থাকায় তাঁর পরিবর্তে দায়িত্ব দেওয়া হয় শান মাসুদকে। এ সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে রমিজ বলেছেন, ‘কোনো কারণ ছাড়াই রিজওয়ানকে কেন সহ–অধিনায়কের পদ থেকে বাদ দেওয়া হবে? এ সিদ্ধান্ত থেকে কে লাভবান হবে?’
পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যমগুলোও বলছে, কোনো ধরনের আলাপ ছাড়া এমন সিদ্ধান্তে খুশি নন বাবর। বাবরকে ঘিরে বিতর্ক তৈরির চেষ্টা চলছে উল্লেখ করে রমিজ বলেছেন, ‘পাকিস্তান গত এক বা দুই বছর ধরে ভালো করছে। কারণ, দলটি বিতর্ক থেকে দূরে ছিল। সবার দায়িত্বও নির্ধারিত ছিল।’