টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে নতুন রেকর্ড ইংল্যান্ডের

ঝোড়ো ফিফটি করেছেন ড্যানি ওয়েইট (বাঁয়ে) ও ন্যাট সিভার-ব্রান্টআইসিসি

ড্যানি ওয়েইট, ন্যাট সিভার-ব্রান্টের ঝোড়ো ফিফটির সঙ্গে অ্যামি জোনসের আরেকটি ঝোড়ো ইনিংসে নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে রেকর্ড স্কোর গড়েছে ইংল্যান্ড। কেপটাউনে পাকিস্তানের বিপক্ষে ২০ ওভারে ৫ উইকেটে ২১৩ রান তুলেছে তারা। এর আগের সর্বোচ্চ স্কোর ছিল দক্ষিণ আফ্রিকার। ২০২০ সালে ক্যানবেরায় থাইল্যান্ডের বিপক্ষে ৩ উইকেটে ১৯৫ রান তুলেছিল তারা।

টসে জিতে ব্যাটিংয়ে নামা ইংল্যান্ড পাওয়ারপ্লের ৬ ওভারেই ২ উইকেট হারিয়ে তোলে ৫৫ রান। সোফিয়া ডাঙ্কলি ও অ্যালিস ক্যাপসি—দুজনই ফেরেন দুই অঙ্ক ছোঁয়ার আগেই। তবে তৃতীয় উইকেটে ওয়েইট ও সিভার-ব্রান্ট ৪২ বলে যোগ করেন ৭৪ রান। ৩৩ বলে ৫৯ রানের ইনিংসে ৭টি চারের সঙ্গে ২টি ছক্কা মারেন ওয়েইট, ফিফটি পূর্ণ করেছিলেন ২৯ বলে। সে জুটিতে দারুণ একটি ভিতই পায় ইংল্যান্ড।

ওয়েইটের পর অধিনায়ক হিদার নাইটকেও দ্রুত হারায় ইংল্যান্ড। তাতে অবশ্য কোনো সমস্যা হয়নি। ইনিংসের শেষ বলে এসে আউট হওয়ার আগে উইকেটকিপার জোনস ৩১ বলে ৫ চার ও ১ ছক্কায় করেন ৪৭ রান। পরে সিভার-ব্রান্ট ও জোনসের জুটিতে আসে ৪৮ বলে ৯৫ রান।

নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে সর্বোচ্চ স্কোর

নিশ্চিতভাবেই ইংল্যান্ড ব্যাটিংয়ের সবচেয়ে উজ্জ্বল দিক ছিলেন সিভার-ব্রান্ট। ওয়েইটের মতো তিনিও ফিফটি পূর্ণ করেন ২৯ বলে। ৪০ বলে ৮১ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেছেন এই ডানহাতি ব্যাটার, মানে স্ট্রাইক রেট ছিল ২০২.৫০। ইনিংসে ১২টি চার মারলেও ছক্কা ছিল মাত্র একটি। ৪০ বলের ইনিংসে সিভার-ব্রান্ট ডট খেলেছেন মাত্র একটি।

২০০-এর বেশি স্ট্রাইক রেটে ৮০ বা এর বেশি রান করেছেন—এমন ইনিংসে এত কম ছক্কার ঘটনা আছে আর মাত্র দুটি। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে এমন ঘটনা অবশ্য এই প্রথম।

৪০ বলে ৮১ রানের অপরাজিত ইনিংসে মাত্র একটি ছক্কা মেরেছেন সিভার-ব্রান্ট
আইসিসি

২০১৯ সালে মালদ্বীপের বিপক্ষে বাংলাদেশের ফারজানা হক ৫৩ বলে ১১০ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেছিলেন কোনো ছক্কা ছাড়াই, মেরেছিলেন ২০টি চার। গত বছর বাহরাইনের দীপিকা রাসাঙ্গিকা সৌদি আরবের বিপক্ষে করেছিলেন ৬৩ বলে অপরাজিত ১৬১ রানের ইনিংস। মেয়েদের আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে এটিই সর্বোচ্চ রানের ইনিংস। রাসাঙ্গিকা সে ইনিংসে ৩১টি চার মারলেও ছক্কা মারেননি একটিও! সে ম্যাচে বাহরাইন করেছিল ১ উইকেটে ৩১৮ রান, মেয়েদের টি-টোয়েন্টিতে রেকর্ড সেটিও।