ধবলধোলাই হয়ে নাজমুল, ‘এভাবে চলতে থাকলে এ রকম ফলাফলই হবে’
হতে পারে অধিনায়ক হিসেবে এটাই নাজমুল হোসেনের শেষ ম্যাচ। আবার তা না–ও হতে পারে। কী হবে, তা জানা যাওয়ার কথা আজ রাতের মধ্যেই। বিসিবি সভাপতি ফারুক আহমেদ কথা বলবেন নাজমুলের সঙ্গে। এরপরই আসবে সিদ্ধান্ত।
দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ইনিংস ও ২৭৩ রানের বিশাল হারের পর সংবাদ সম্মেলনে তাই এ নিয়ে কোনো প্রশ্নের উত্তর দেননি নাজমুল। তবে বলেছেন, অধিনায়কত্ব তাঁর ব্যক্তিগত পারফরম্যান্সে কোনো নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে না, ‘ব্যাটিংয়ের সময় আমার কাছে একবারও মনে হয়নি আমি অধিনায়ক। অধিনায়ক বলে সব আমাকে একা করতে হবে, এমন নয়। আমি বল দেখি ব্যাটিং করি, ব্যাটিং উপভোগ করি। এখন পর্যন্ত চাপ হয়নি, আলহামদুলিল্লাহ।’
শুধু তা–ই নয়, অধিনায়কত্বটা নাকি উপভোগই করছেন নাজমুল, ‘বয়সভিত্তিক ক্রিকেট থেকেই অনেক জায়গায় বলে আসছি, অধিনায়কত্ব আমি সব সময় উপভোগ করি। গত কয়েকটা সিরিজও মাঠের ভেতরে আমি উপভোগ করেছি। এটা সব সময়ই আমার ভালো লাগার জায়গা।’
তিন দিনেই এত বড় হারের মূল কারণ ব্যাটসম্যানদের ব্যর্থতা। নাজমুলও স্বীকার করে নিয়েছেন তা, ‘এটা তো অবশ্যই খুবই হতাশাজনক। এগুলো থেকে বোঝা যায় আমাদের কত উন্নতির জায়গা আছে। পাকিস্তানে ভালো ক্রিকেট খেলেই জিতেছি। মাঠে, মাঠের বাইরে অনেকগুলো জায়গা আছে, যেখানে আমাদের উন্নতি করতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘লম্বা সময় ধরেই এ রকম হচ্ছে। টেস্টে টপ অর্ডার থেকে যদি জুটি না হয়, তাহলে পরের ব্যাটসম্যানদের জন্য খুবই কঠিন। ওপরে যারা ব্যাটিং করে, তারা কী চিন্তা করে বা কী ধরনের প্রস্তুতি নেয়, আমি জানি না। তবে এভাবে চলতে থাকলে এ রকম ফলাফলই হবে।’
নাজমুলের দৃষ্টিতে সমস্যাটা ক্রিকেটারদের দক্ষতা এবং মানসিকতা—দুই জায়গাতেই, ‘দক্ষতার অনেক জায়গা আছে, যেখানে উন্নতি করতে হবে। পাশাপাশি চিন্তাভাবনাতেও পরিবর্তন আনতে হবে। কোন জায়গায় উন্নতি দরকার, এটা খুঁজে বের করতে হবে।’
মাঠের বাইরের বিতর্ক নিয়ে বলেছেন, ‘এগুলো প্রভাব ফেলতে পারে। তার মানে এই নয় যে এত খারাপ খেলব, এক শ-দেড় শ রানে অলআউট হয়ে যাব। খেলোয়াড়দের এই জিনিসগুলোও মানিয়ে নিতে হবে।’
এই টেস্টেই তাইজুল প্রথম ইনিংসে ৫ উইকেট নিয়েছেন, মুমিনুল ৮২ রানের ইনিংস খেলেছেন। অধিনায়কের আক্ষেপ, তাঁদেরকে কেউ সমর্থন দিতে পারেননি। তাই দলীয়ভাবে ভালো করাটাকে গুরুত্বপূর্ণ মনে করেন তিনি, ‘তিন-চারজন আমরা ওপরে ব্যাট করি, এখানে একটা জুটি হলেও দলের সাহায্য হয়। পাকিস্তানেও ২৬ রানে ৬ উইকেট চলে গিয়েছিল। ম্যাচ জিতেছি, কিন্তু ওপরের ব্যাটসম্যানরা ভালো করেনি। দলগতভাবে ভালো করা জরুরি। বিশেষ করে টপ অর্ডারের। তাহলে দল নিয়মিত ভালো করবে।’