’৯৬–এর স্মৃতি ফিরিয়ে এনে বিশ্বকাপের উদ্বোধনী ম্যাচে খেলবে ইংল্যান্ড-নিউজিল্যান্ড
যেখানে শেষ, সেখান থেকেই শুরু।
২০১৯ বিশ্বকাপের ফাইনাল খেলেছিল ইংল্যান্ড-নিউজিল্যান্ড। ২০২৩ বিশ্বকাপের উদ্বোধনী ম্যাচেও মুখোমুখি হবে এ দুই দল। অক্টোবর-নভেম্বরে ভারতে হতে যাওয়া বিশ্বকাপের উদ্বোধনী ও ফাইনাল হবে আহমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামে।
সূচি তৈরির সঙ্গে জড়িত বিশ্বস্ত সূত্রের বরাতে খবরটি দিয়েছে ক্রিকবাজ। ভারতের ক্রিকেটবিষয়ক সংবাদমাধ্যমটি জানিয়েছে, ৫ অক্টোবর উদ্বোধন ও ১৯ নভেম্বর ফাইনাল ধরে সূচি তৈরি করা হয়েছে। বিশ্বকাপ আয়োজনের সঙ্গে জড়িত সব পক্ষের অনুমোদনের অপেক্ষায় আছে এটি। আগামী ২৮ মে আইপিএল শেষ হলে আনুষ্ঠানিকভাবে চূড়ান্ত সূচি ঘোষণা করা হবে।
উদ্বোধনী ম্যাচে ইংল্যান্ড-নিউজিল্যান্ড মুখোমুখি হলে বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচ আয়োজনের ধারায় একটি পরিবর্তন আসবে। স্বাগতিক ছাড়া উদ্বোধনী ম্যাচ হবে ৬ আসর পর।
সর্বশেষ ১৯৯৬ বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচে আয়োজক দল খেলেনি। সেবার যৌথভাবে আয়োজক ছিল ভারত, পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কা। ১৪ ফেব্রুয়ারি গুজরাট স্টেডিয়ামে প্রথম ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছিল ইংল্যান্ড-নিউজিল্যান্ড। আহমেদাবাদের মোতেরায় অবস্থিত সেই গুজরাট স্টেডিয়ামই এখন নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়াম।
ক্রিকবাজের খবরে বলা হয়, এশিয়া কাপের ভেন্যু জটিলতার জেরে পাকিস্তান বিশ্বকাপ বয়কটের হুমকি দিয়ে রাখলেও আদতে ভারতে খেলতে যাওয়ার বিষয়ে আশ্বস্ত করেছে তারা। প্রস্তাবিত সূচিতে ভারত-পাকিস্তান হাইভোল্টেজ ম্যাচ রাখা হয়েছে ১৫ অক্টোবর চেন্নাইয়ে। বাবর আজমদের অন্য ম্যাচগুলোও রাখা হয়েছে ভারতের দক্ষিণাঞ্চলে, বিশেষত হায়দরাবাদ ও বেঙ্গালুরুতে।
গতবারের মতো এবারও বিশ্বকাপের মূল পর্বে খেলবে ১০ দল। এরই মধ্যে স্বাগতিক ভারতের পাশাপাশি ইংল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড, আফগানিস্তান, পাকিস্তান, বাংলাদেশ ও দক্ষিণ আফ্রিকা বিশ্বকাপ খেলা নিশ্চিত করেছে। বাকি দুটি দল আসবে বাছাইপর্ব থেকে। জুন-জুলাইয়ে জিম্বাবুয়েতে বাছাইপর্ব খেলবে ১০ দল। সাবেক দুই বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও শ্রীলঙ্কার সঙ্গে আছে নেদারল্যান্ডস, আয়ারল্যান্ড, নেপাল, ওমান, স্কটল্যান্ড, সংযুক্ত আরব আমিরাত, যুক্তরাষ্ট্র ও জিম্বাবুয়ে।