ছয় বছর দলের বাইরে ছিলেন জনসন চার্লস। ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান ব্যাটসম্যান নির্বাসন কাটিয়ে আবার জাতীয় দলে ফেরেন গত বছরের অক্টোবরে। তবে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সিরিজে ও এরপর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে খুব একটা ভালো কাটেনি চার্লসের। চার ম্যাচে সর্বোচ্চ ৪৫ রান করছিলেন জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে।
সেই জনসন চার্লস আজ সেঞ্চুরিয়নে রেকর্ড করে বসলেন। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে ওয়েস্ট ইন্ডিজের দ্রুততম সেঞ্চুরি এখন চার্লসের। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে ৩৯ বলে তিন অঙ্ক ছুঁয়েছেন ৩৪ বছর বয়সী ব্যাটসম্যান। আগের রেকর্ডটি ছিল ক্রিস গেইলের। ২০১৬ বিশ্বকাপে মুম্বাইয়ে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ৪৭ বলে সেঞ্চুরি করেছিলেন টি-টোয়েন্টির ‘ফেরিওয়ালা’ গেইল।
সব মিলিয়ে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টির ইতিহাসে দ্বিতীয় দ্রুততম সেঞ্চুরি চার্লসের। যদিও তাঁর চেয়ে কম বলে সেঞ্চুরি আছে তিনজনের। ডেভিড মিলার, রোহিত শর্মা ও সুদেশ বিক্রমাসেকারা—তিনজনই সেঞ্চুরি ছুঁয়েছেন ৩৫ বলে। চার্লসও অবশ্য দ্বিতীয় দ্রুততম সেঞ্চুরির রেকর্ডটা আরও দুজনের সঙ্গে ভাগাভাগি করছেন।
আজ ইনিংসের তৃতীয় বলে ওয়েস্ট ইন্ডিজ প্রথম উইকেট হারানোর পর উইকেটে আসেন চার্লস। সেই চার্লস ১৪তম ওভারের শেষ বলে ফেরার আগে ৪৬ বলেই করেছেন ১১৮ রান। ১০টি চার ও ১১টি ছক্কা মারা চার্লস সেঞ্চুরি ছুঁয়েছেন ১৩তম ওভারে সিসান্দা মাগালাকে একস্ট্রা কাভার দিয়ে বিশাল এক ছক্কা মেরে।
আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে চার্লসের চেয়ে এক ম্যাচে বেশি রান আছে শুধু একজনেরই। ২০১৭ সালে ভারতের বিপক্ষে ১২৫ রানে অপরাজিত ছিলেন এভিন লুইস।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে ইনিংসে সবচেয়ে বেশি ছক্কার রেকর্ডটাও অল্পের জন্য ছুঁতে পারেননি চার্লস। ১২টি ছক্কা মেরে যে রেকর্ডটাও লুইসের।
চার্লসের সেঞ্চুরিতে ৫ উইকেটে ২৫৮ রান করেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। যা ২০ ওভারের ক্রিকেট দলটির সর্বোচ্চ ও সব দেশ মিলিয়ে ষষ্ঠ সর্বোচ্চ দলীয় ইনিংস।