বাজবল নিয়ে সংশয়ের সময় আসেনি: নাসের হুসেইন
বাজবল নিয়ে সংশয়ে পড়ে যাওয়ার মতো সময় এখনো আসেনি বলে মনে করেন নাসের হুসেইন। সাবেক এই ইংল্যান্ড অধিনায়ক অবশ্য বলছেন, নিজেদের দিকে তাকিয়ে আরও উন্নতি করতে হবে ইংলিশ খেলোয়াড়দের। আরেক সাবেক অধিনায়ক মাইকেল আথারটনের মতে, ‘শক্তিশালী’ ভারতের সঙ্গে সিরিজ হারের পর ইংল্যান্ড দলের সমালোচনা অন্যায্য।
রাঁচিতে এগিয়ে থেকেও ভারতের কাছে শেষ পর্যন্ত ৫ উইকেটে হেরেছে ইংল্যান্ড। ধর্মশালায় শেষ ম্যাচ বাকি রেখেই ঘরের মাঠে টানা ১৭তম সিরিজ জয় নিশ্চিত করেছে ভারত। হায়দরাবাদে প্রথম টেস্ট জয়ের পর টানা তিনটি ম্যাচ হারা ইংল্যান্ড দলকে নিয়ে দেশটির সংবাদমাধ্যমে হচ্ছে সমালোচনা।
তবে সেটিকে ন্যায্য মনে হচ্ছে না আথারটনের। স্কাই স্পোর্টসের পডকাস্টে নাসেরের সঙ্গে আলোচনায় এ মুহূর্তে ভারতে থাকা আথারটন বলেন, ‘ইংল্যান্ডের অতি-সমালোচনার ব্যাপারটি ঠিক বোধগম্য হচ্ছে না। এখানে এসে জেতা কঠিন। ২০১২-১৩–এর পর তো কেউই জেতেনি। দুই দলের স্পিন আক্রমণ যেমন, তাতে মনে হয় না সিরিজ শুরুর আগে আমরা কেউ ভেবেছিলাম ইংল্যান্ড জিতবে।’
হায়দরাবাদে জিতলেও বিশাখাপট্টনম ও রাজকোটে বড় ব্যবধানে হারে ইংল্যান্ড। রাঁচিতে দ্বিতীয় ইনিংসে ভারতের স্কোর একসময় ১৭৭ রানে ৭ উইকেট হলেও তাদের চেপে ধরতে পারেনি বেন স্টোকসের দল। আথারটন অবশ্য সিরিজটিকে প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণই মনে করছেন, ‘আমার মনে হচ্ছে এটি প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ সিরিজ। আমার মনে হয় ভারত জানে তারা প্রতিদ্বন্দ্বিতার সামনে পড়েছে। তবে দেশের মাটিতে তারা আসলে বেশিই ভালো। এ টেস্ট জয় আসলে ভারতের দিক থেকে দারুণ প্রচেষ্টা। টসে হেরেছিল, প্রথম ইনিংসে পিছিয়েও ছিল। কিন্তু ঘুরে দাঁড়িয়েছে।’
কোচ ব্রেন্ডন ম্যাককালাম ও অধিনায়ক স্টোকসের অধীনে এই প্রথম সিরিজ হারল ইংল্যান্ড। তবে ২০২২ সালের ডিসেম্বরে পাকিস্তানকে হারানোর পর কোনো সিরিজও জিততে পারেনি তারা। কিন্তু নাসের এখনো বাজবলেরই পক্ষে। ডেইলি মেইলে লেখা কলামে তিনি বলেছেন, ‘এটি বাজবল নিয়ে সংশয় প্রকাশের সময় নয়। ২২ টেস্টে এর মাধ্যমেই ইংল্যান্ড ১৪টি জিতেছে, ৭টি হেরেছে। তারা যেমন কথা দিয়েছিল, সে অনুযায়ী কোনো একঘেয়ে ড্র করেনি। যে কটি ম্যাচ হেরেছে, তার দ্বিগুণ জিতেছে। আগে যা দেখেছি, তার চেয়ে অনেক ভালো দেখতে এটি।’
কিন্তু নাসের নিজেও উন্নতির আরও সুযোগ দেখেন, ‘ভারতের এ সফরটা আসলে মনে করিয়ে দিয়েছে, মাঝে মাঝে তারা আরও বুদ্ধিমত্তার পরিচয় দিতে পারে। আরেকটু আক্রমণাত্মক হতে পারে। আপাতত তারা শক্তিশালী এক ভারত দলের সামনে পড়েছে, যারা গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্তে সুযোগ নিয়েছে। ইংল্যান্ড এর থেকে শিখতে পারে।’
ইংল্যান্ড কীভাবে আরও উন্নতি করতে পারে, সে প্রসঙ্গে নাসেরের মত, ‘সব খেলোয়াড়কে নিজেদের খেলার দিকে তাকাতে হবে। নিজের প্রতি সৎ থাকতে হবে, প্রথম তিন টেস্টে ভোগার পর চতুর্থ টেস্টের আগে জো রুট যেমন ছিল। ওলি পোপের দিকে তাকালে দেখবেন, এ সিরিজে হয় সে রানের উৎসব করেছে অথবা দুর্ভিক্ষে পড়েছে। হায়দরাবাদে ম্যাচজয়ী ১৯৬ রানের পর ৬ ইনিংসে ৮৮ রান, রাঁচিতে “পেয়ার”। ইনিংসের শুরুতে সে কীভাবে আরেকটু কম খ্যাপাটে হতে পারে, সে প্রশ্ন তার নিজেকে করতে হবে।’
ধর্মশালায় সিরিজের পঞ্চম ও শেষ টেস্ট শুরু আগামী ৭ মার্চ।