বাংলাদেশে ফিরলেন বিশ্বকাপজয়ী কোচ নাভিদ
নতুন করে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দলের প্রধান কোচের দায়িত্ব বুঝে নিয়েছেন শ্রীলঙ্কান কোচ নাভিদ নেওয়াজ। তাঁর অধীনে ২০২০ সালে আকবর আলীর দল দক্ষিণ আফ্রিকায় অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপের শিরোপা জিতেছে। দ্বিতীয় মেয়াদে বাংলাদেশের যুবাদের নিয়ে কাজ করার সুযোগ পেয়ে রোমাঞ্চিত নাভিদ নিজেও।
আজ মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে সাংবাদিকদের নাভিদ বলেছেন, ‘ঘরে ফিরতে পেরে ভালো লাগছে।’ সঙ্গে যোগ করেন, ‘বাংলাদেশে প্রতিভাবান ক্রিকেটারদের মধ্যে যথেষ্ট গভীরতা আছে। আমি বাংলাদেশের সব জায়গায় যেতে চাই, প্রতিভাবান ক্রিকেটারদের খুঁজে বের করতে চাই। দু-তিন বছর পর আবার বাংলাদেশে কাজ করতে পারছি, ভালো লাগছে।’
অতীত সাফল্যের কারণে নাভিদের ওপর প্রত্যাশার চাপও থাকবে। অনূর্ধ্ব-১৯ দলের ওপরও থাকবে ভালো করার চাপ। নাভিদ এ বাস্তবতা মেনেই নিজের কাজটা করে যেতে চান, ‘আমি বর্তমানে মনোযোগ দিতে চাইব, চার বছর আগে যা হয়েছে, তা অতীত। অতীতে ভালো করেছি, তাই সামনেও ভালো করব, বিষয়টা তেমন নয়। বরাবরের মতো বিসিবি এবারও দারুণ কিছু পরিকল্পনা সাজিয়েছে, যা অতীতে সাফল্য এনে দিয়েছে। আশা করছি, এবারও তা কাজে দেবে।’
নাভিদের অধীনে বয়সভিত্তিক ক্রিকেটে সাফল্য পাওয়া ক্রিকেটারদের বেশির ভাগই এখন জাতীয় দলে খেলছেন। ২০২০ সালের অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপে না খেললেও সে দলের অংশ ছিলেন রিশাদ হোসেন। তবে নাভিদ বয়সভিত্তিক ক্রিকেটের সাফল্যের সঙ্গে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের সাফল্য মেলাতে চান না।
শ্রীলঙ্কান এই কোচের যুক্তি, ‘বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কায় বয়সভিত্তিক ক্রিকেটে অনেক প্রতিভা। কিন্তু আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের চ্যালেঞ্জটা অন্য রকম। আপনি ১৮-১৯ বছর বয়সে ভালো ক্রিকেটার হলেও ২৫-২৬–এ গিয়ে যে তারকা বনে যাবেন, বিষয়টি তেমন নয়। কতটা পরিশ্রম করছেন, তার ওপর সব নির্ভর করে। ক্রিকেট খেলাটা এখন অনেকটাই বিশ্লেষণনির্ভর। খেলোয়াড়দের নিজের ভুল ধরতে হয়, শোধরাতে হয়। সে জন্য বয়সভিত্তিকের পর বিসিবির এইচপি ও অন্য বয়সভিত্তিক পর্যায়ের কার্যক্রম আছে। যেন বিশ্বকাপ ও এশিয়া কাপের মতো জায়গায় ছেলেরা আত্মবিশ্বাস নিয়ে খেলতে পারে, নিজেদের ঘাটতি মেটাতে পারে।’