অ্যাশেজ শেষেই স্টোকসের হাঁটুতে অস্ত্রোপচার
হাঁটুর চোট বেন স্টোকসের পিছুই ছাড়ছে না। সমস্যাটা সাম্প্রতিক সময়ে বেড়েছে। চোটের প্রকোপে এই গ্রীষ্মে ইংল্যান্ডের পাঁচ টেস্টের তিনটিতেই বোলিং করতে পারেননি। ওভালে আজ শুরু হতে যাওয়া অ্যাশেজ সিরিজের শেষ টেস্টেও বল করতে পারবেন না।
তবে এবার অ্যাশেজ শেষেই সমস্যাটা মিটিয়ে ফেলতে চান ইংল্যান্ডের টেস্ট অধিনায়ক। অ্যাশেজ শেষেই হাঁটুর অস্ত্রোপচারটা সেরে ফেলতে চান স্টোকস। এটি নিজের ক্যারিয়ার দীর্ঘায়িত করার লক্ষ্যেই। ২০২৫ সালে অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে অনুষ্ঠেয় অ্যাশেজেও ইংল্যান্ডকে নেতৃত্ব দিতে চান স্টোকস।
অ্যাশেজ শেষে জানুয়ারি পর্যন্ত স্টোকসের কোনো আন্তর্জাতিক ম্যাচ নেই। ২০২৪ সালের শুরুতে ইংল্যান্ড ভারত সফর করবে। সেখানে পাঁচ টেস্টের সিরিজ খেলবে তারা। গত বছরের মাঝামাঝি সময় ওয়ানডে ক্রিকেট থেকে অবসরের ঘোষণা দিয়েছিলেন স্টোকস। এখন পর্যন্ত সেই সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসেননি।
তাই ধরেই নেওয়া যায় এ বছরের অক্টোবর–নভেম্বরে ভারতের মাটিতে অনুষ্ঠেয় ৫০ ওভারের বিশ্বকাপে খেলছেন না। ২০১৯ সালে ওয়ানডে বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডের শিরোপা জয়ের পথে বড় অবদান ছিল স্টোকসের। ওয়ানডে থেকে অবসরের ঘোষণা দিলেও ইংল্যান্ডের ওয়ানডে কোচ ম্যাথু মট ও অধিনায়ক জস বাটলার স্টোকসকে এই সংস্করণের বিশ্বকাপে ইংল্যান্ড দলে চান।
অ্যাশেজ শেষে সপ্তাহখানেকের ছুটি কাটিয়ে স্টোকস ফিরবেন ‘দ্য হানড্রেডস’ প্রতিযোগিতায়। ইংল্যান্ড টি–টোয়েন্টি দলের জার্সি গায়ে খেলা সেপ্টেম্বরে। টি–টোয়েন্টি দলের খেলা আছে ডিসেম্বরেও। এর মধ্যে অস্ত্রোপচার করলে ইংল্যান্ডের এসব ম্যাচ থেকে দূরেই থাকতে হবে তাঁকে। এরই মধ্যে স্টোকস হাঁটুর ব্যাপারে চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা বলেছেন। তাঁরা সবাই জানিয়েছেন, এ মুহূর্তে ওষুধপত্রের চেয়ে অস্ত্রোপচারই সবচেয়ে কার্যকর হবে স্টোকসের হাঁটুর জন্য।
গতকাল ওভালে এ ব্যাপারে স্টোকস বলেছেন, ‘সমস্যাটার দ্রুত সমাধান করে ফেলতে চাই।’ কিন্তু কবে করাবেন অস্ত্রোপচার? ইংল্যান্ড অধিনায়ক জানিয়েছেন, ‘আমি যখন চিকিৎসকদের সঙ্গে এ ব্যাপারে কথা বলেছি, তখন সিরিজ চলছিল। সুতরাং ওই সময় করানোর সুযোগ পাইনি। সুতরাং সময় বুঝে করে ফেলা উচিত কাজটা। তবে আমি মনে করি, এখন সময়টা এর উপযোগী। এখন আমি চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা বলব। কী করলে আমি কোনো প্রচার দুশ্চিন্তা ছাড়াই বোলিং করতে পারব।’
২০২৫ সালে অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে অ্যাশেজ সিরিজে নেতৃত্ব দেওয়ার কথা বলেছেন স্টোকস, ‘এবারের অ্যাশেজ জয়ের খুব কাছেই ছিলাম। আমরা যখন অস্ট্রেলিয়ায় যাব, তখন সেখানে সাম্প্রতিক অতীতের সিরিজগুলোর চেয়েও ভালো করার সম্ভাবনা বেশি থাকবে। আশা করছি, ২০২৫ সালে অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে সিরিজ জয়ের একটা ভালো সম্ভাবনা থাকবে।’
কাল ওভালে নেটে স্টোকসকে অফ স্পিন করতে দেখা গেছে। চোটের প্রকোপ বাড়ায় পেস বোলিং করতে পারেননি। স্টোকস বলেছেন, ‘অলরাউন্ডার হিসেবে খেলাটা আমার কাছে গুরুত্বপূর্ণ। আমি অলরাউন্ডার হতে চেয়েছি, সেই ছোটবেলা থেকেই। আমি এমনভাবে ক্রিকেট খেলতে চেয়েছি, যাতে আমি নিজের সেরাটা দিতে পারি। কিন্তু চোটের কারণেই আমি গত কয়েক বছর নিজেকে শতভাগ উজাড় করে দিতে পারছি না। ব্যাটিং–বোলিং দুই দিয়েই দলে সেভাবে প্রভাব রাখতে পারছি না, যেটি আমি আমার ক্যারিয়ারের শুরুর ১০ বছর রেখেছি। তাই হাঁটুর চিকিৎসাটা দ্রুত করে ফেলাটা খুবই জরুরি। তবে আমার বয়স হয়ে যাচ্ছে, এ ব্যাপারটা আমি মাথায় রাখি না।’