মাহমুদউল্লাহদের সসম্মানে বিদায় দিতে চান নাজমুল
‘আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে আজ থেকে আমাকে অবসরপ্রাপ্ত হিসেবে বিবেচনা করুন। ধন্যবাদ সবাইকে’—গত ১৭ জুলাই ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে শেষ ওয়ানডের পর তামিম ইকবাল যখন নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক থেকে এ ঘোষণা দিলেন, বাংলাদেশ সময় তখন প্রায় ভোররাত চারটা। তামিম এর আগেই এ সংস্করণ থেকে স্বেচ্ছা বিরতিতে গিয়েছিলেন। এরপর মুশফিকুর রহিমের টি-টোয়েন্টি অবসরের ঘোষণাও আসে ফেসবুকেই এশিয়া কাপে বাংলাদেশের অভিযান শেষ হয়ে যাওয়ার দিন দুয়েক পর।
এর আগে গত বছরের জুলাইয়ে জিম্বাবুয়ের সফরে টেস্ট ক্রিকেটকে আচমকা বিদায় বলে দেন মাহমুদউল্লাহ। এর প্রায় চার মাস পর আসে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা। তারও আগে ২০১৭ সালে শ্রীলঙ্কা সফরে টস করতে নেমে অবসরের ঘোষণা দিয়েছিলেন তখনকার টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা।
সব কটি ক্ষেত্রেই বিসিবি কিছু আঁচ করার আগেই ঘোষণাগুলো এসেছে সংশ্লিষ্ট খেলোয়াড়দের ব্যক্তিগত পর্যায় থেকে। আগামীকাল টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের দল ঘোষণার আগে যখন মাহমুদউল্লাহর থাকা না থাকা নিয়ে আলোচনা তুঙ্গে, তখনই বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান প্রসঙ্গটা আবার তুললেন। আজ মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে তিনি সাংবাদিকদের বলেছেন, ক্রিকেটারদের মাঠ থেকেই বিদায় দিতে চান তাঁরা। খেলোয়াড়েরা যেন সেই সুযোগ তাঁদের দেন।
বেশ কিছুদিন ধরেই ফর্মের বাইরে থাকা মাহমুদউল্লাহ শেষ পর্যন্ত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের দলে থাকবেন কি না, সেটি জানা যাবে কাল দল ঘোষণার পর। তবে ৩৭ ছুঁই ছুঁই এ ক্রিকেটার শেষ পর্যন্ত দলে জায়গা না পেলে এ সংস্করণে তাঁর ক্যারিয়ারের মোটামুটি শেষই ধরে নিতে হবে। সেই সময় এলে তাঁকে আয়োজন করেই বিদায় দেওয়ার ইচ্ছা বিসিবির। বিসিবি সভাপতি বলেছেন, ‘আমরা যদি ওকে দলে জায়গা না দিতে পারি, ওকে যদি অবসর নিতেই হয়, তাহলে তাকে ন্যূনতম সম্মানটা তো দেওয়া উচিত। মাঠ থেকে অবসরের সুযোগ দেওয়া উচিত। কারণ মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের অবদান খাটো করে দেখার কোনো সুযোগ নেই। বহু ম্যাচ জিতিয়েছে আমাদের।’
ক্রিকেটারদের অবসরের ঘোষণা আসুক মাঠ থেকেই, এমন চাওয়ার কথা জানিয়ে নাজমুল বলেছেন, ‘মুশফিক অবসর নিয়েছে, আমাদের তো খারাপ লাগে। আমি সব সময় বলে গেছি, মুশফিক আমাদের সেরা ব্যাটসম্যান। এখন একেকটা সংস্করণে টিম কম্বিনেশনের কারণে একেকজনের জায়গা হয় না, সেটা ভিন্ন বিষয়। ভবিষ্যৎ চিন্তা করলে হয়তো আমি দুই বছর পর অনেককেই পাব না বিশ্বকাপে। তবে খেলোয়াড়েরা যদি নিজেরা অবসরের ঘোষণা না দিয়ে আমাদের সুযোগ করে দেয়, আমরা তাদের সসম্মানে বিদায় দেব। সেটি যে কোনো সংস্করণেই হোক, আমরা (ব্যবস্থা) করে দেব বিদায় নেওয়ার। সেই সুযোগ তারা যেন আমাদের দেয়।’