পাকিস্তানের বিশ্বকাপে খেলা না–খেলার বিষয়ে মন্ত্রীদের নিয়ে কমিটি
বিশ্বকাপের আর এক শ দিনও বাকি নেই। এখনো পাকিস্তান ভারতে বিশ্বকাপ খেলতে যাবে কি না, সেটা নিশ্চিত নয়। বাবর আজমদের বিশ্বকাপে খেলতে ভারতে যাওয়া নির্ভর করছে সে দেশের সরকারের ওপর। এ জন্য ৩ জুলাই ভারতে যাওয়ার অনুমতি পেতে সরকারের কাছে চিঠিও দিয়েছে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি)। সেই চিঠির পরিপ্রেক্ষিতে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ একটি কমিটি গঠন করেছেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বিলাওয়াল ভুট্টোর নেতৃত্বে এই কমিটি পাকিস্তান বিশ্বকাপ খেলতে ভারতে যাবে কি না, সেই সিদ্ধান্ত নিতে সরকারকে সহায়তা করবে। এই কমিটির মূল উদ্দেশ্য হবে বিশ্বকাপে পাকিস্তানের ভ্রমণ পরিকল্পনা কেমন হতে পারে, সেই সুপারিশ করা।
তাদের প্রতিবেদনের ওপর ভিত্তি করেই পাকিস্তান ক্রিকেট দলকে ভারতে যাওয়ার অনুমতি দেবে পাকিস্তান সরকার। পাকিস্তান আদৌ ভারতের সঙ্গে আহমেদাবাদে খেলবে কি না, তা–ও নির্ভর করছে এই কমিটির প্রতিবেদনের ওপর।
বিশ্বকাপের সূচি অনুযায়ী পাকিস্তান তাদের ৯টি ম্যাচ খেলবে ৫টি ভেন্যুতে। ভারতে যাওয়ার অনুমতি দেওয়ার আগে এ পাঁচটি ভেন্যু পরিদর্শন করার কথা পাকিস্তানের একটি প্রতিনিধিদলের।
কিছুদিন আগে পিসিবিও জানিয়েছিল, সরকার চাইলে ভারতে প্রতিনিধিদল পাঠাতে পারে। সরকারের যেকোনো সিদ্ধান্তের প্রতি তাদের আস্থা আছে, ‘ভারত সফর এবং সে দেশের কোন কোন ভেন্যুতে খেলতে পারব এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়ার অধিকার শুধু পাকিস্তান সরকারের হাতে। সরকারের ওপর আমাদের সম্পূর্ণ আস্থা আছে। সরকারের পরামর্শ আমরা পুরোপুরি অনুসরণ করব। সরকার যদি আয়োজকদের সঙ্গে কথা বলতে চায় বা নিরাপত্তাসহ অন্য ব্যবস্থা খতিয়ে দেখার জন্য ভারতে কোনো প্রতিনিধিদল পাঠাতে চায়, তা করতেই পারে, এটা তাদের সিদ্ধান্ত।’
বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিকে রাখা হয়েছে এই কমিটিতে। কারণ, শাহবাজ শরিফের নেতৃত্বাধীন বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের মেয়াদ শেষ হচ্ছে এই আগস্টে। এরপর নতুন সরকার এলে যেন তাঁর প্রভাব এর ওপর না পড়ে, তা নিশ্চিত করার চেষ্টা করা হয়েছে।
পাকিস্তান সর্বশেষ ভারতে খেলেছিল ২০১৬ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে। ২০১৬ সালে নওয়াজ শরিফের সরকার শেষ মুহূর্তে পাকিস্তান দলকে ভারতে যাওয়ার অনুমতি দিয়েছিল। বিশ্বকাপের আগে নিরাপত্তা পরিদর্শনে পাঠানো হয়েছিল প্রতিনিধিদলও। সেই বিশ্বকাপে নিরাপত্তা জটিলতার কারণে ধর্মশালা থেকে ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ সরে গিয়েছিল কলকাতায়।