যে প্রশ্নের উত্তর ৮-১০ বার দিয়েছেন সাকিব
গতকাল মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে, আজ বসুন্ধরা স্পোর্টস কমপ্লেক্সে রংপুর রাইডার্সের অনুশীলনে। নির্বাচনের মাঠ থেকে সাকিব আল হাসান ফিরেছেন খেলার মাঠে। এখানেও কাটছে ব্যস্ত সময়। সামনেই বিপিএল। ১৯ জানুয়ারি শুরু হতে যাওয়া এই টুর্নামেন্টের জন্যই তৈরি হচ্ছেন সাকিব।
বিপিএল সামনে রেখে প্রথম দল হিসেবে আনুষ্ঠানিকভাবে অনুশীলন শুরু করেছে রংপুর। সাকিবও দলের সঙ্গে অনুশীলন করেছেন। তবে আঙুলে চোট থাকায় সাকিব অনুশীলনের শুরু থেকেই ছিলেন সতর্ক। চোটের কথা মাথায় রেখেই শুধু স্পিনের বিপক্ষে কিছুক্ষণ ব্যাটিং করেছেন। কাজ করেছেন ফিটনেস নিয়ে। দলের বাকিরা যখন পুরোদমে অনুশীলন করেছেন, সেখানে সাকিবের অনুশীলন বলতে এটুকুই।
এগুলো নিয়ে এখনো কথা হয়নি। তবে বোর্ডের সঙ্গে কথা হবে। তখন আলোচনা হবে। এরপর সবাই মিলে যেটা ভালো মনে করবে, সেটাই সিদ্ধান্ত নেবে। আর এই প্রশ্নের উত্তর আমি মোটামুটি ৮-১০ বার দিয়েছি।সাকিব আল হাসান
নির্বাচনের পরদিনই মাঠে ফেরার কারণটা জানাতে গিয়ে নবনির্বাচিত এই সংসদ সদস্য অনুশীলন শেষে সাংবাদিকদের বলেছেন, ‘বিপিএল শুরু হচ্ছে। প্রস্তুতি নিতে হবে। প্রায় আড়াই মাসের মতো আমি মাঠের বাইরে। কোনো ফিটনেসের কাজ করতে পারিনি, স্কিলের কাজ করতে পারিনি। স্বাভাবিকভাবেই তৈরি হওয়ার জন্য সময় লাগবে। এ জন্য আর সময় নষ্ট করতে চাইনি।’
সাকিব দেশের হয়ে সর্বশেষ ম্যাচ খেলেছেন গত ৬ নভেম্বর, বিশ্বকাপে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে। সে ম্যাচেই আঙুলে চোট পান। প্রায় দেড় মাসের বেশি সময় খেলার বাইরে থাকলেও সাকিব খেলাটাকে মিস করেননি বলে জানিয়েছেন, ‘চোটে ছিলাম, তাই মিস করার কোনো সুযোগ ছিল না। মানে আমি ফিট থাকলেও তো খেলতে পারতাম না। চোটে যেহেতু ছিলাম। মিস করার সুযোগ আসেনি সেভাবে।’
এখন সেই চোটের কী অবস্থা, সেটাও জানিয়েছেন সাকিব, ‘অনুশীলন শুরু করেছি। আরও কিছু দিন সময় লাগবে। বোলিং আঙুল যেহেতু, স্বাভাবিকভাবেই সময় লাগবে। তবে উন্নতি হচ্ছে ভালোই।’
বিপিএলের প্রথম ম্যাচ থেকেই খেলার ব্যাপারে সাকিবকে আশাবাদী মনে হলো। রংপুরের মতো সাকিবেরও বিপিএল নিয়ে একটাই লক্ষ্য—শিরোপা জেতা। তাঁর কথা, ‘রংপুর রাইডার্স কি অন্য কোনো চিন্তা করেছে, ইয়ে (চ্যাম্পিয়ন) ছাড়া? স্বাভাবিকভাবেই তাদের দলটা ভালো আছে। আমার মনে হয়, ভারসাম্যপূর্ণ দল। একই সঙ্গে অন্যান্য দলও শক্তিশালী। যেহেতু রংপুর রাইডার্স প্রতিবছরই চ্যাম্পিয়ন হওয়ার জন্য দল করে, এ বছরও তাদের সেটাই লক্ষ্য থাকবে।’
সাকিব রংপুরের নেতৃত্বে থাকবেন কি না, এ ব্যাপারে প্রশ্ন করা হলে সরাসরি কোনো উত্তর দেননি, ‘এটা তো রংপুর রাইডার্স সিদ্ধান্ত দেবে। তাদের জিজ্ঞেস করলে উত্তর পাবেন। আমার মতামতের ওপর কিছু নির্ভর করে না। একটা ফ্র্যাঞ্চাইজি টুর্নামেন্টে সব সময় মালিকদের ওপর নির্ভর করে তারা কাকে চায়, কীভাবে চায়। সেভাবেই সবকিছু পরিকল্পনা করে।’
জাতীয় দলের অধিনায়কত্বও নিয়েও বিসিবির কোর্টে বল ঠেলে দিয়েছেন সাকিব, ‘এগুলো নিয়ে এখনো কথা হয়নি। তবে বোর্ডের সঙ্গে কথা হবে। তখন আলোচনা হবে। এরপর সবাই মিলে যেটা ভালো মনে করবে, সেটাই সিদ্ধান্ত নেবে। আর এই প্রশ্নের উত্তর আমি মোটামুটি ৮-১০ বার দিয়েছি।’
এ বছরটা যেহেতু টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের, ২০ ওভারের টুর্নামেন্ট নিয়েও প্রশ্নের মুখোমুখি হয়েছেন সাকিব। টি-টোয়েন্টি দল যেহেতু ভালো করছে, সাকিবও বিশ্বকাপ নিয়ে আশার কথা শোনালেন, ‘প্রতিবারই তো বেশি প্রত্যাশা থাকে। এবারও তা–ই থাকবে। যেহেতু টি-টোয়েন্টি সংস্করণ আমরা শেষ এক বছর আমরা খুব ভালো খেলেছি। দলটা এখন ভারসাম্যপূর্ণ, ছন্দেও আছে। সবাই ভালো খেলছে।
নিউজিল্যান্ডেও ভালো খেলেছে। প্রত্যাশা তো বেশি থাকবেই। খেলা হবে যুক্তরাষ্ট্র ও ওয়েস্ট ইন্ডিজে। যেখানে হয়তো আমাদের ক্রিকেটটা বেশি মানানসই হবে। তো আমাদের সুযোগ আছে।’