সম্প্রচার শেষ ১৬ নভেম্বর ২০২৩

রোমাঞ্চকর লড়াইয়ে দক্ষিণ আফ্রিকাকে টপকে ফাইনালে অস্ট্রেলিয়া

০৭: ৫২ , নভেম্বর ১৬

বিশ্বকাপ সেমিফাইনাল ২ 

দ্বিতীয় সেমিফাইনালের ভেন্যু ইডেন গার্ডেনস
এএফপি

এক দল বিশ্বকাপকে এক সময় বানিয়ে ফেলেছিল নিজেদের সম্পত্তি। আরেক দলকে বিশ্বকাপ সব সময়ই ‘উপহার’ দিয়ে এসেছে হৃদয়ভঙ্গের সব মুহূর্ত। কলকাতায় বিশ্বকাপের দ্বিতীয় সেমিফাইনালে আজ (এবং হতে পারে আগামীকালও) মুখোমুখি অস্ট্রেলিয়া ও দক্ষিণ আফ্রিকা। এ ম্যাচ ঘিরে আছে বৃষ্টির সম্ভাবনা, সেক্ষেত্রে ম্যাচ গড়াতে পারে রিজার্ভ ডে-তেও।

টানা সাতটি ম্যাচ জয়ের ওপর আছে অস্ট্রেলিয়া, অন্যদিকে ভারত ও নেদারল্যান্ডস ছাড়া গ্রুপপর্বে সবাইকেই হারিয়ে এসেছে দক্ষিণ আফ্রিকা। কলকাতায় দেখা যেতে পারে দুর্দান্ত এক লড়াই। প্রথম আলো লাইভে আপনাকে স্বাগত।

০৭: ৫৫ , নভেম্বর ১৬

আপনার ভোট কার কাছে?

০৭: ৫৯ , নভেম্বর ১৬

নকআউট পাঞ্চ...

বিশ্বকাপে এখন পর্যন্ত নকআউট পর্বে ৭টি ম্যাচ খেলে মাত্র ১টি জিতেছে দক্ষিণ আফ্রিকা।

২০১৫ সালে কোয়ার্টার ফাইনালে এসেছিল সে জয়। তবে সেবার সেমিফাইনালে নিউজিল্যান্ডের কাছে হেরেছিল তারা। অন্যদিকে অস্ট্রেলিয়া ১৮টি ম্যাচ খেলে হেরেছে মাত্র ৪টিতে।

০৮: ০৪ , নভেম্বর ১৬

টস

টেম্বা বাভুমা টসে জিতেছেন, দক্ষিণ আফ্রিকা অধিনায়ক সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ব্যাটিংয়ের। হ্যামস্ট্রিংয়ের চোটে ভোগা বাভুমা নিজের ফিটনেস নিয়ে বলেছেন, তিনি শতভাগ ফিট নন, তবে খেলার মতো যথেষ্ট।

প্যাট কামিন্স বলেছেন, টসে জিতলে ব্যাটিং নিতেন তিনিও।

০৮: ০৭ , নভেম্বর ১৬

একাদশ

বাঁহাতি রিস্ট স্পিনার তাব্রেইজ শামসিকে দলে এনেছে দক্ষিণ আফ্রিকা, মানে একজন স্পিনার বাড়তি খেলাচ্ছে তারা। অস্ট্রেলিয়া দলে আছে দুটি পরিবর্তন, ফিরেছেন মিচেল স্টার্ক ও গ্লেন ম্যাক্সওয়েল।

দক্ষিণ আফ্রিকা

কুইন্টন ডি কক, টেম্বা বাভুমা (অধিনায়ক), রেসি ফন ডার ডুসেন, এইডেন মার্করাম, হাইনরিখ ক্লাসেন, ডেভিড মিলার, মার্কো ইয়ানসেন, কেশব মহারাজ, কাগিসো রাবাদা, জেরাল্ড কোয়েৎজি ও তাব্রেইজ শামসি।

অস্ট্রেলিয়া

ডেভিড ওয়ার্নার, ট্রাভিস হেড, মিচেল মার্শ, স্টিভেন স্মিথ, গ্লেন ম্যাক্সওয়েল, মারনাস লাবুশেন, জশ ইংলিস, প্যাট কামিন্স (অধিনায়ক), অ্যাডাম জ্যাম্পা, মিচেল স্টার্ক ও জশ হ্যাজলউড।

০৮: ৪০ , নভেম্বর ১৬

বাভুমা ০

৪ বলে ০, দক্ষিণ আফ্রিকা অধিনায়ক আউট প্রথম বলেই। স্টার্কের অফ স্টাম্পের বাইরে দিয়ে অ্যাঙ্গেল করে বেরিয়ে যাওয়া বলে খোঁচা দিয়েছেন ফর্মহীনতায় ভোগা বাভুমা। প্রথম ওভারেই উইকেটের দেখা পেয়েছে অস্ট্রেলিয়া।

আউট হয়ে ফিরছেন বাভুমা
এএফপি
০৮: ৫০ , নভেম্বর ১৬

৪ ওভার, ৬ রান, ১ উইকেট

১৮.১২
৮ ম্যাচে বাভুমার গড়, সর্বোচ্চ ৩৫ রান

কলকাতায় কন্ডিশন মেঘাচ্ছন্ন। স্টার্ক ও হ্যাজলউড মুভমেন্টের দেখা পাচ্ছেন। বাভুমা ফেরার পর সতর্ক ডি কক ও রেসি ফন ডার ডুসেন। এখন পর্যন্ত আসেনি কোনো বাউন্ডারি। পাল্টা আক্রমণের পথে যাবে দক্ষিণ আফ্রিকা?

০৯: ০০ , নভেম্বর ১৬

ডি কক ক কামিন্স ব হ্যাজলউড

৮/২
এবারের বিশ্বকাপে দক্ষিণ আফ্রিকা সবচেয়ে কম রানে ২ উইকেট হারাল আজ
ডি ককের ক্যাচ নেওয়ার পর প্যাট কামিন্সের উল্লাস
এএফপি

চাপ বাড়ছিল। রান করতে না পারার চাপ পাওয়ারপ্লেতে স্বাভাবিকভাবেই বেশি। ডি কক সেটিতে পড়েই তুলে মারতে গেলেন জশ হ্যাজলউডকে। তবে লেংথ পক্ষে ছিল না, ডি ককের শট ছিল মরিয়া হয়েই খেলা। মিড অন থেকে পেছনের দিকে ছুটে বেশ ভালো ক্যাচ নিয়েছেন অস্ট্রেলিয়া অধিনায়ক প্যাট কামিন্স। অস্ট্রেলিয়ানদের উল্লাসই বলে দিচ্ছিল, কতটা গুরুত্বপূর্ণ এ উইকেট তাদের কাছে। টুর্নামেন্টের অন্যতম সেরা ব্যাটসম্যান আজ ফিরে গেলেন ১৪ বলে ৩ রান করেই।

৬ ওভারে ৮/২।

০৯: ১৪ , নভেম্বর ১৬

ফিল্ডিংয়ে দুর্দান্ত অস্ট্রেলিয়া এবং অবশেষে বাউন্ডারি

অফ স্টাম্পের বাইরের লাইনকে রেঞ্জের মধ্যে আনতে একটু সরে গিয়ে দাঁড়িয়েছিলেন ফন ডার ডুসেন। স্টার্কের বলটি ফুললেংথে পেয়ে ড্রাইভও করলেন। কাভার দিয়ে চারই হওয়ার কথা, অন্য কোনো দিন হয়ত সেটিই হতো। কিন্তু ফিল্ডিংয়ে আজ দুর্দান্ত অস্ট্রেলিয়া। বাঁ দিকে ছুটে ডাইভ দিয়ে লাবুশেন আটকে দিয়েছেন সেটি, বাঁচিয়েছেন ৩ রান। এমন বাউন্ডারি আটকানো আজই প্রথম নয়।

পরের বলে প্যাডের ওপর থেকে ফ্লিক করে দক্ষিণ আফ্রিকা ইনিংসে প্রথম বাউন্ডারিটি মেরেছেন এইডেন মার্করাম। ৫২ বল লেগেছে দক্ষিণ আফ্রিকার প্রথম বাউন্ডারির দেখা পেতে!

০৯: ১৯ , নভেম্বর ১৬

১৮/২, ১০ ওভার

এবারের বিশ্বকাপে প্রথম পাওয়ারপ্লেতে এটি দ্বিতীয় সর্বনিম্ন স্কোর

কলকাতায় মেঘাচ্ছন্ন কন্ডিশনে স্টার্ক ও হাজলউড দক্ষিণ আফ্রিকাকে ফেলেছেন টেস্টের প্রথম সেশনের মতো চাপে। মুভমেন্ট, বাড়তি বাউন্সে বেশ অস্বস্তিতে দক্ষিণ আফ্রিকান ব্যাটসম্যানরা। মার্করাম ও ফন ডার ডুসেন আপাতত টিকে থাকার লড়াইয়ে ব্যস্ত।

০৯: ২৪ , নভেম্বর ১৬

আরেকটি উইকেট

এখন পর্যন্ত ইনিংসের দুটি চারই মেরেছিলেন তিনি, সর্বশেষটি এসেছিল এ ওভারেই। কিন্তু এইডেন মার্করাম টিকলেন না। মিচেল স্টার্ককে সোজা ড্রাইভ করতে গিয়েছিলেন, বড়সড় আউটসাইড-এজে ক্যাচ গেছে ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্টে। আজ যেমন ফিল্ডিং করছে অস্ট্রেলিয়া, তাতে ডেভিড ওয়ার্নারের এমন সুযোগ হাতছাড়ার করার কথা নয়। ডি কক যেভাবে মরিয়া হয়ে খেলেছিলেন, মার্করামের ড্রাইভও মনে হয়েছে অমনই। লেংথ পড়তে ভুল করেছেন তিনি। ২২ রান তুলতে নেই ৩ উইকেট, দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যাটিং পাওয়ারহাউসের অর্ধেক ধসে পড়েছে কিছু না করতেই!

০৯: ৩০ , নভেম্বর ১৬

নেই ফন ডার ডুসেনও

আবার ওই লেংথ। আবার ড্রাইভের চেষ্টা। বৃথা চেষ্টা। এবার হ্যাজলউডের শিকার রেসি ফন ডার ডুসেন। দ্বিতীয় স্লিপে ভুল করেননি স্টিভেন স্মিথ। ৩০ বল খেলে ফেলেছিলেন আউট হওয়ার আগে, কিন্তু এরপরও থিতু হতে পারেননি তিনি! ২৪ রান তুলতে ৪ উইকেট হারিয়ে ফেলেছে দক্ষিণ আফ্রিকা! ম্যাচের প্রথম ১২ ওভারেই আহমেদাবাদের ফাইনাল যেন ডাকছে অস্ট্রেলিয়াকে।

০৯: ৩৬ , নভেম্বর ১৬

দক্ষিণ আফ্রিকার বিপর্যয়

এ বিশ্বকাপে আজই প্রথম এত কম রানে ৪ উইকেট হারাল দক্ষিণ আফ্রিকা
ছবি: এএফপি
ছবি: এএফপি

২৪/৪, প্রতিপক্ষ অস্ট্রেলিয়া, আজ

৪০/৪, প্রতিপক্ষ ভারত, কলকাতা

৪৪/৪, প্রতিপক্ষ নেদারল্যান্ডস, ধর্মশালা

সে অর্থে শুরুতে ব্যাটিং বিপর্যয়ে এর আগে দক্ষিণ আফ্রিকা পড়েছে দুবার। কলকাতায় ৪০, ধর্মশালায় ৪৪ রানে ৪ উইকেট হারিয়েছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। দুবারই অবশ্য পরে ব্যাটিং করেছিল তারা, হেরেছিল দুটি ম্যাচই। ভারতের বিপক্ষে তো গুটিয়ে গিয়েছিল ৮৩ রানেই।

এদিকে টানা সপ্তম ওভার করে গেলেন মিচেল স্টার্ক। ১৩ ওভারে ৩২/৪।

০৯: ৪৪ , নভেম্বর ১৬

কলকাতায় বৃষ্টি

১৪ ওভারে ৪৪/৪। এরপর পানি পানের বিরতি। এরপর বৃষ্টিতে বন্ধ খেলা। গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি ছিল আগে থেকেই। এবার আম্পায়াররা বন্ধ করে দিয়েছেন খেলা। দক্ষিণ আফ্রিকার যে অবস্থা, তাতে এ বিরতিতে স্বস্তিই পাওয়ার কথা তাদের। এ ম্যাচে রিজার্ভ ডে আছে।

১০: ০৪ , নভেম্বর ১৬

ক কামিন্স

ছবি: এএফপি

১০: ০৯ , নভেম্বর ১৬

বৃষ্টিতে খেলা না হলে কী হবে?

সেমিফাইনালে আছে রিজার্ভ ডে। আজই চেষ্টা করা হবে ম্যাচ শেষ করার, ফল আনতে গেলে প্রতি ইনিংসে কমপক্ষে ২০ ওভার করে খেলা হতে হবে। সেটি না হলে খেলা গড়াবে রিজার্ভ ডে-তে। আর রিজার্ভ ডে-তেও যদি খেলা না হয়, সেক্ষেত্রে পয়েন্ট তালিকায় এগিয়ে থাকার সুবাদে ফাইনালে যাবে দক্ষিণ আফ্রিকা। গ্রুপ পর্বে দুই দলেরই সমান ১৪ পয়েন্ট ছিল, কিন্তু নেট রানরেটে এগিয়ে ছিল দক্ষিণ আফ্রিকা।

আরও পড়ুন
১০: ১১ , নভেম্বর ১৬

থেমেছে বৃষ্টি, সরানো হচ্ছে কাভার 

বৃষ্টির কারণে খেলা বন্ধ আছে প্রায় আধা ঘণ্টা। অবশেষে থেমেছে বৃষ্টি, সরানো হচ্ছে কাভার।

১০: ১৫ , নভেম্বর ১৬

আপডেট

৪-২৫ মিনিটে শুরু হবে খেলা, ওভার কমবে না। অতিরিক্ত ২ ঘণ্টা বরাদ্দ আছে সেমিফাইনালের জন্য।

১০: ২৮ , নভেম্বর ১৬

খেলা শুরু, আক্রমণে জাম্পা

বিরতির পর প্রথম ওভারে অ্যাডাম জাম্পা। মাঝের ওভারে প্রতিপক্ষের জন্য অনেক বড় হুমকি এ লেগ স্পিনার। যদিও আজ পেসারদের তোপেই বড় ক্ষতিটা হয়ে গেছে দক্ষিণ আফ্রিকার। সেটি কাটিয়ে উঠে কতদূর যেতে পারবে প্রোটিয়ারা, তার অনেকটাই নির্ভর করছে ক্লাসেন ও মিলারের পঞ্চম উইকেট জুটির ওপর।

১৫ ওভারে ৪৬/৪।

১০: ৩৬ , নভেম্বর ১৬

ছক্কা

দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যাটিংয়ের সময় ছক্কাই শিরোনামে আসে, তাহলেই বুঝুন আজ তাদের কী অবস্থা! অ্যাডাম জাম্পাকে স্লটে পেয়ে লং অনের ওপর দিয়ে ইনিংসের প্রথম ছক্কাটি মেরেছেন ডেভিড মিলার, ১৭তম ওভারে। সে শটে ৫০ পেরিয়ে গেছে দক্ষিণ আফ্রিকা।

১০: ৪৩ , নভেম্বর ১৬

রেকর্ডও বিপক্ষে প্রোটিয়াদের

২৪/৪
২৪ বা এর কম রানে কমপক্ষে ৪টি উইকেট হারানোর পরও এখন পর্যন্ত দক্ষিণ আফ্রিকা ওয়ানডে জিতেছে দুটি।

দুটি ম্যাচই এ শতাব্দীর শুরুতে। ২০০০ সালের ২০ আগস্ট মেলবোর্নে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষেই ১৯ রানে ৪ উইকেট হারানোর পর ২০৬ রান তুলেছিল দক্ষিণ আফ্রিকা, ম্যাচ জিতেছিল ৮ রানে। একই বছরের ফেব্রুয়ারিতে ২১ রানে ৪ উইকেট (২১ রানে পঞ্চম উইকেটও হারিয়েছিল তারা) হারানোর পর ইংল্যান্ডের বিপক্ষে তাদের সংগ্রহ ছিল ১৪৯ রান, ম্যাচটি ছিল ৪৫ ওভারের। সে ম্যাচ তারা জিতেছিল ৩৮ রানে!

জাম্পার সর্বশেষ ওভারে ছক্কা মারার পর হ্যাজলউড এসে করেছেন মেডেন। জাম্পার পরের ওভারে প্রথম ৪ বলে এসেছিল ১ রান, পঞ্চম বলে আবার ছক্কা মেরেছেন মিলার। প্রায় আগের মতো শটেই, একই অঞ্চল দিয়ে।

১৯ ওভারে ৬২/৪।

১১: ০০ , নভেম্বর ১৬

৫০ রানের জুটি

২৪ রানে ৪ উইকেট পড়ে যাওয়ার পর ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছেন মিলার, সঙ্গী ক্লাসেন। জ্যাম্পাকে সরিয়ে ম্যাক্সওয়েলকে এনেছেন কামিন্স, আরেক প্রান্ত থেকে নিজেই করছেন অস্ট্রেলিয়া অধিনায়ক। ২৪তম ওভারের চতুর্থ বল ছিল শর্ট লেংথে, লাফিয়ে উঠে করা ক্লাসেনের কাটে এসেছে চার। মিলারের সঙ্গে তাঁর জুটি ৫০ পেরিয়েছে ওই চারে। ২৪ ওভারে ৭৭/৪।

১১: ১২ , নভেম্বর ১৬

জাম্পার ওপর চড়াও ক্লাসেন

১ ১ ৬ ৬ . .
২৭তম ওভার

এর আগে ওভারপিচড করেছিলেন ডেভিড মিলারের বিপক্ষে, ২ ওভারে দুটি ছক্কা মেরেছিলেন মিলার। এবার শর্ট পিচড করলেন অ্যাডাম জাম্পা। অমন লেংথে পেয়ে কাউ কর্নার দিয়ে ক্লাসেন পরপর ২ বলে মেরেছেন দুটি ছক্কা। মাঝের ওভারে জাম্পার ওপর চড়াও হয়েছেন দুই দক্ষিণ আফ্রিকান ব্যাটসম্যান। ৪ ওভারে এসেছে ৩২ রান। অন্যদিকে ম্যাক্সওয়েলের ৩ ওভারে উঠেছে মাত্র ৪ রান!

২৭ ওভারে ৯৫/৪

১১: ২৯ , নভেম্বর ১৬

ট্রাভিস হেড—গোল্ডেন আর্ম

৪ ৪ . উইকেট উইকেট .
৩১তম ওভার

৮ ইনিংসে মিলারকে একবারও আউট করতে পারেননি জাম্পা, মিলার তাঁর বিপক্ষে খেলেছেন ১২৫-এর বেশি স্ট্রাইক রেট। অন্যদিকে ক্লাসেন জাম্পার বিপক্ষে ১৩০-এর বেশি স্ট্রাইক রেটে খেললেও ৮ ইনিংসে আউট হয়েছেন ৩ বার। গ্লেন ম্যাক্সওয়েল ক্যারিয়ারে মিলারকে আউট করেছেন একবার, ক্লাসেনের বিপক্ষে ১ ইনিংস বোলিং করেছেন শুধু।

কামিন্স এবার ঝুঁকেছেন তাঁর তৃতীয় বিকল্প—ট্রাভিস হেডের দিকে। এবং হেডই এনে দিয়েছেন ব্রেকথ্রু! ওভার দ্য উইকেট থেকে ফুললেংথের বলে ভুল লাইনে খেলতে গিয়ে একেবারে মিস করে গেছেন ক্লাসেন! এ বলে চাইলে বড় শট খেলতে পারতেন ক্লাসেন, রক্ষণাত্মক অপশন বেছে নিয়ে ডেকে আনলেন বিপদ, হলেন বোল্ড! অথচ ওভারটি তিনি শুরু করেছিলেন টানা দুটি চার মেরে।

৯৫ রানেই ভাঙল মিলার ও ক্লাসেনের জুটি। ১১৯/৫, ৩০.৪ ওভার।

এবং ঠিক পরের বলে এলবিডব্লু মার্কো ইয়ানসেন! পেছনের পায়ে খেলতে গিয়ে মিস করে গিয়েছিলেন। রিভিউ নেন, যদিও তাতে খুব একটা আগ্রহী মনে হয়নি তাঁকে। বল ট্র্যাকিং দেখিয়েছে সেটিই। ১১৯/৬, ৩০.৫ ওভার!

প্রথম ওভারেই হ্যাটট্রিকের সামনে দাঁড়িয়ে যান হেড, জেরাল্ড কোয়েৎজি সেটি হতে দেননি। কিন্তু হেডের এ ওভারে আবার খাদের কিনারে গিয়ে হাজির দক্ষিণ আফ্রিকা।

১১: ৩২ , নভেম্বর ১৬

মিলারের ফিফটি

ম্যাক্সওয়েলকে এক্সট্রা কাভারের ওপর দিয়ে চার মেরে অর্ধশতক পূর্ণ করেছেন মিলার। লড়াইটা এখন প্রায় একা হাতেই করতে হবে তাঁর, সেটি জানেন তিনি।

১১: ৪১ , নভেম্বর ১৬

মেলবোর্নেও দাপট অস্ট্রেলিয়ার 

বিশ্বকাপ বাছাইপর্ব

অস্ট্রেলিয়া ৭ : ০ বাংলাদেশ

আরও পড়ুন
১১: ৫৮ , নভেম্বর ১৬

মিলার-কোয়েৎজির জুটি

২১৩
১৯৯৯ বিশ্বকাপ সেমিফাইনালে দুই দলের স্কোর

অমন স্কোরও এখন বেশ দূরেই দক্ষিণ আফ্রিকার। সুযোগ পেলে মিলার শট খেলছেন, কোয়েৎজি ভালো সঙ্গই দিচ্ছেন তাঁকে। স্টার্কের বলে দারুণ এক কাভার ড্রাইভে চারও মেরেছেন, এ ওভারেই স্টার্ককে ফিরিয়েছেন কামিন্স। এর আগের স্পেলে টানা ৭ ওভার করেছিলেন স্টার্ক।

৩৯ ওভারে ১৫৪/৬

১১: ৫৮ , নভেম্বর ১৬

ম্যাক্সওয়েল ০/৩৫

বোলিং শেষ করলেন গ্লেন ম্যাক্সওয়েল। ১০ ওভারে এ অফ স্পিনার দিয়েছেন ৩৫ রান। টার্নের দেখাও পেয়েছেন ভালোই, তাঁর বিপক্ষে সতর্কই ছিলেন মিলাররা। দক্ষিণ আফ্রিকা দলে আজ আছেন দুজন স্বীকৃত স্পিনার, পার্ট টাইমার এইডেন মার্করামও আছেন। কিন্তু তাঁদেরকে লড়াই করার মতো স্কোর কি এনে দিতে পারবেন ব্যাটসম্যানরা?

বাকি ১০ ওভার, দক্ষিণ আফ্রিকা ১৫৬/৬।

১২: ০৭ , নভেম্বর ১৬

দাপট অস্ট্রেলিয়ারই

১-১০: ১৮ রান, ২ উইকেট

১১-৪০: ১৩৮ রান, ৪ উইকেট

বাকি ৮ ওভার, ১৬৪/৬। মিলার অপরাজিত ৭২ রানে।

১২: ১০ , নভেম্বর ১৬

ফিরলেন জাম্পা

৫ ওভারে ৪০ রান দেওয়া জাম্পাকে ফেরাবেন না কামিন্স, মনে হচ্ছিল এমন। তবে ৪৩তম ওভারে এ লেগ স্পিনারই এসেছেন। দ্বিতীয় বলে সোজাসুজি ফ্ল্যাট ছক্কা মেরেছেন মিলার। জাম্পার বলে এটি চতুর্থ ছক্কা মিলারের। অবশ্য ৭ রানের বেশি আসেনি এ ওভারে, কোয়েৎজির সঙ্গে মিলারের জুটিতে ৫০ রান উঠে গেছে।

১২: ১৪ , নভেম্বর ১৬

আউট কোয়েৎজি (আপডেট- আসলে আউট ছিলেন না!)

কামিন্সের বাউন্সার। হুক করতে গিয়েছিলেন কোয়েৎজি। হয়েছেন কট বিহাইন্ড। মিলারের সঙ্গে ৫৩ রানের গুরুত্বপূর্ণ জুটির পর থামলেন তিনি।

কোয়েৎজি মিলারের সঙ্গে আলোচনা করার পর রিভিউ না করার সিদ্ধান্তই নিয়েছিলেন। কিন্তু আল্ট্রা-এজ দেখিয়েছে, রিভিউ করলে বেঁচে যেতেন তিনি! বল গ্লাভসে লাগেনি, লেগেছিল তাঁর কাঁধের কাছে।

১২: ২০ , নভেম্বর ১৬

জাম্পা বনাম মিলার

বিস্ময়করভাবে জাম্পাকে আবার এনেছেন কামিন্স, সেটিও মিলার স্ট্রাইকে থাকার সময়ই। প্রথম বলেই চার মেরে তাঁকে স্বাগত জানান মিলার। এখন পর্যন্ত জাম্পার ২৯ বলে মিলার তুলেছেন ৩৭ রান। ৪৫ ওভারে ১৮২/৭।

১২: ২৮ , নভেম্বর ১৬

মহারাজ আউট

স্টার্ককে তুলে মারতে গিয়ে সুবিধা করতে পারেননি মহারাজ, মিড অফে ক্যাচ তুলেছেন। দক্ষিণ আফ্রিকার অষ্টম উইকেট পড়ল। মিলারকে শেষ পর্যন্ত সঙ্গ দেওয়ার মতো কেউ থাকবেন তো? বল বাকি ২২টি…

১২: ৩৫ , নভেম্বর ১৬

সেঞ্চুরি এবং আউট মিলার

১০০-এর রেকর্ড
মিলারের সেঞ্চুরি এবারের বিশ্বকাপে ৩৯তম। এক বিশ্বকাপে সবচেয়ে বেশি সেঞ্চুরির তালিকায় ২০১৫ বিশ্বকাপকে (৩৮) ছাড়িয়ে গেল ২০২৩ সালের আসর।

প্যাট কামিন্সের শর্ট বলে পুল করে ছক্কা। গর্জন করে উঠলেন ডেভিড মিলার। কাগিসো রাবাদা গিয়ে শক্ত করে জড়িয়ে ধরলেন তাঁকে। উচ্ছ্বসিত দক্ষিণ আফ্রিকার ড্রেসিংরুম। ২৪ রানে ৪ উইকেট পড়ে যাওয়ার নেমেছিলেন, সেখান থেকে মিলার করলেন দুর্দান্ত এক সেঞ্চুরি! অনেক্ষণ থেকেই দলের হয়ে একা লড়াই চালিয়ে গেছেন তিনি। একটু হলেও লড়াইয়ের সুযোগ এনে দিয়েছেন তিনিই।

এবং পরের বৈধ বলেই আউট তিনি। আবার শর্ট বল। এবার গতি তেমন ছিল না। আবার পুল করেছিলেন, ডিপ স্কয়ার লেগে ট্রাভিস হেড ধরেছেন ক্যাচ। ১১৬ বলে ১০১ রান করে আউট মিলার। ইনিংস বাকি ১৬ বল। উইকেট বাকি ১টি।

সেঞ্চুরির পর ডেভিড মিলার
রয়টার্স
১২: ৪৮ , নভেম্বর ১৬

দক্ষিণ আফ্রিকা ২১২ অলআউট

কামিন্সকে টেনে মারতে গিয়ে লং অনে ম্যাক্সওয়েলের হাতে ধরে পড়েছেন কাগিসো রাবাদা, ডাইভ দিয়ে ভালো ক্যাচ নিয়েছেন ম্যাক্সওয়েল। ২ বল বাকি থাকতে ২১২ রানেই থামল দক্ষিণ আফ্রিকা। এর মধ্যে মিলার একাই করেছেন ১০১ রান। সেটিও ২২ রানে ৪ উইকেট পড়ে যাওয়ার পর।

১৯৯৯ সেমিফাইনালে দক্ষিণ আফ্রিকার লক্ষ্য ছিল ২১৪ রান। তারা করতে পেরেছিল ২১৩। বাকিটা ছিল ইতিহাস।

কলকাতায় এবার কী হবে?

১৩: ৩৩ , নভেম্বর ১৬

৪ ওভারে ২৪/০

বিশ্বকাপ নকআউটে কখনো এত কম রানের লক্ষ্যে হারেনি অস্ট্রেলিয়া (৪ ম্যাচ)

নিজের দ্বিতীয় ওভারে তিনটি ওয়াইড দিয়েছেন মার্কো ইয়ানসেন, যে ওভার শুরু হয়েছিল ওয়ার্নারের মারা চারে। প্রথম ৩ ওভারে এসেছে তিনটি বাউন্ডারি। লড়াইয়ে থাকতে গেলে দক্ষিণ আফ্রিকার প্রয়োজন দ্রুত উইকেট। প্রথম ইনিংসে অস্ট্রেলিয়ান পেসাররা কন্ডিশন কাজে লাগিয়েছিলেন দারুণভাবে।

নিজের দ্বিতীয় ওভারে লেগ স্টাম্পের ওপর একটু শর্ট লেংথে করেছিলেন রাবাদা, স্কয়ার লেগের ওপর দিয়ে ইনিংসের প্রথম ছক্কাটি মেরেছেন ওয়ার্নার।

১৩: ৩৯ , নভেম্বর ১৬

১৫ রানের ওভার

৪ . ৪ . ১ ৬
৫ম ওভার

ইয়ানসেনের প্রথম ৩ বলে দুটি চার মেরেছিলেন হেড—লেংথ বলের পর ফুললেংথ থেকে। শেষ বলে গিয়ে দারুণভাবে ঘুরিয়ে স্কয়ার লেগ দিয়ে ছক্কা মেরেছেন ওয়ার্নার। ভালো শুরুটা উড়ন্ত শুরুতে পরিণত হচ্ছে অস্ট্রেলিয়ার। ৫ ওভারে ৩৯/১।

১৩: ৪৪ , নভেম্বর ১৬

রাবাদার ওভারে ২১

১ . ৬+নো ৬ ১ (লেগবাই) . ৬
৬ষ্ঠ ওভার

রাবাদাকে টেনে মাথার ওপর দিয়ে ছক্কা। ফ্রি হিটে স্কুপ করে ছক্কা পরের বলেই। এক্ষেত্রে ব্যাটসম্যান ছিলেন ডেভিড ওয়ার্নার। শেষ বলে গিয়ে লং অনের ওপর দিয়ে ওভারের তৃতীয় ছক্কাটি মেরেছেন ট্রাভিস হেড। দক্ষিণ আফ্রিকার মূল পেসারের ওপর চড়াও দুই অস্ট্রেলিয়ান ওপেনার, যেন মিশনে নেমেছেন তাঁরা। ৬ ওভার শেষে অস্ট্রেলিয়া ৬০/০!

১৩: ৪৬ , নভেম্বর ১৬

এসেই উইকেট মার্করামের, প্রথম ব্রেকথ্রু দক্ষিণ আফ্রিকার

আগের দুই ওভারে ৩৬ রানের পর টেম্বা বাভুমা আনলেন এইডেন মার্করামকে, যদিও তাঁর হাতে ছিল ‘প্রথম পছন্দের’ দুই স্পিনার। মার্করাম এসে উইকেট নিলেন প্রথম বলেই! একটু জায়গা বানিয়ে খেলতে গিয়ে বোল্ড হয়ে গেছেন ডেভিড ওয়ার্নার। অনেক দরকারি উইকেটটা সপ্তম ওভারের প্রথম বলে পেয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা। ওয়ার্নার থেমেছেন ১৮ বলে ২৯ রান করে।

মার্করাম করেছেন উইকেট মেডেন। এমন ওভারের পর হেড কী করেন, দেখার বিষয় সেটিই!

১৩: ৫৪ , নভেম্বর ১৬

উড়ন্ত ফন ডার ডুসেন, ফিরে গেলেন মার্শ

মিচেল মার্শ হাসছিলেন। হাসা ছাড়া কী করার ছিল তাঁর, প্রশ্ন সেটিই। রাবাদার লেংথ বলে পাঞ্চ করেছিলেন জোরের ওপর, টাইমিং-ও হয়েছিল ভালো। মার্শ চারই পেতে পারতেন। কিন্তু কাভারে ডান দিকে ঝাঁপিয়ে দুর্দান্ত এক ক্যাচ নিয়েছেন রেসি ফন ডার ডুসেন! আগের ওভারে ২১ রান দেওয়ার পরও রাবাদাকে আক্রমণে রেখেছেন বাভুমা, প্রথম ৩ বলে ১ রান দেওয়ার পর চতুর্থ বলে উইকেট পেলেন রাবাদা! পরপর ২ ওভারে ২ উইকেট নিয়ে কলকাতায় আবার লড়াইয়ে দক্ষিণ আফ্রিকা।

১৪: ০১ , নভেম্বর ১৬

দুই ধরনের গতি

১০ ওভার শেষে—

দক্ষিণ আফ্রিকা ১৮/২

অস্ট্রেলিয়া ৭৪/২

১৪: ১০ , নভেম্বর ১৬

হেডের জীবন, হেডের ফিফটি

‘ইন অ্যান্ড আউট’!

ডিপ পয়েন্টে অনেকটা ছুটে এসে বলের নাগাল ভালোভাবেই পেয়েছিলেন রিজা হেন্ডরিকস, কিন্তু হাতে পড়েও বেরিয়ে গেছে ট্রাভিস হেডের ক্যাচ। এরপর কঠিন ফিরতি ক্যাচ দিয়েছিলেন জেরাল্ড কোয়েৎজিকে, কিন্তু সেটিও নিতে পারেননি। হয়েছে চার। পরের দুটি বলে হেড মেরেছেন আরও দুটি চার, একটু এদিক-ওদিক হলে হতে পারত সুযোগ। হেডের মনোভাবে পরিষ্কার, আক্রমণ চালিয়ে যাবেন তিনি। বরাবর যা করে থাকেন!

কোয়েৎজিকে মারা এ তিন চারে ফিফটিও হয়ে গেছে বাঁহাতি ওপেনারের, লেগেছে ৪০ বল।

১৪: ২০ , নভেম্বর ১৬

মহারাজে মাথা নোয়ালেন হেড

তিনি আইসিসি র‍্যাঙ্কিংয়ের এক নম্বর বোলার। তবে আজ তাঁকে আনা হয়েছে পঞ্চম বোলার হিসেবে, ১৫তম ওভারে। কেশব মহারাজ উইকেট পেলেন প্রথম বলেই! টার্ন করে ভেতরের দিকে ঢোকা বল মিস করে বোল্ড হয়েছেন ট্রাভিস হেড, খেলতে চেয়েছিলেন লেগ সাইডে। ৪৮ বলে ৬২ রানের ইনিংস খেলা হেড আগের ওভারেও তাব্রেইজ শামসির বলে সুযোগ দিয়েছিলেন স্লিপে। এবার আর বাঁচলেন না। আবার লড়াইয়ের আভাস দক্ষিণ আফ্রিকার!

আগের ওভারে ১০০ পেরিয়ে গেছে অস্ট্রেলিয়া। দক্ষিণ আফ্রিকা ৫০ পেরিয়েছিল ১৭তম ওভারে। তবে এখন আর ওভারের হিসাব নেই, সেটি উইকেটের। দুই দলই জানে তা।

ক্রিজে এখন স্মিথ ও লাবুশেন। স্পিনে অস্ট্রেলিয়ার সেরা দুই ব্যাটসম্যান।

১৪: ২৭ , নভেম্বর ১৬

বেঁচে গেলেন লাবুশেন

(ছবি: রয়টার্স)

তাব্রেইজ শামসি ও কুইন্টন ডি কক আত্মবিশ্বাসী ছিলেন অনেক, দক্ষিণ আফ্রিকাও রিভিউ নিতে সময় নেয়নি। তবে মূল বিষয় ছিল ইমপ্যাক্ট। মারনাস লাবুশেন বেঁচে গেছেন তাতেই। রিচার্ড কেটেলবোরোর সিদ্ধান্তের আম্পায়ার্স কল গেছে লাবুশেনের পক্ষে। শামসির টার্ন করে ভেতরের দিকে ঢোকা বলে ব্যাকফুটে খেলতে গিয়ে নাগালই পাননি লাবুশেন। শেষ পর্যন্ত অক্ষত আছেন, তবে নিজেকে ভাগ্যবান ভাবতেই পারেন তিনি! ১৬ ওভারে ১১৪/৩।

১৪: ৩৯ , নভেম্বর ১৬

চাপ?

সর্বশেষ ৩ ওভারে এসেছে ৪ রান। স্মিথ ও লাবুশেনের জুটিতে এখন পর্যন্ত ২৯ বলে উঠেছে ১৩ রান। মহারাজের বলে সিলি পয়েন্টও এনেছেন বাভুমা। দক্ষিণ আফ্রিকা এখনো হাল ছাড়েনি, সেটি আলাদা করে না বললেও চলে! ১৯ ওভারে ১১৯/৩

১৪: ৫১ , নভেম্বর ১৬

লাবুশেন এলবিডব্লু

আবার জোরাল আবেদন শামসি, ডি ককের। এবার আউট দিয়েছেন কেটেলবোরো। এবার রিভিউ নিয়েছেন লাবুশেন। এবার উইকেটে আম্পায়ার্স কল। কিন্তু এবার ফিরে যেতে হচ্ছে লাবুশেনকে। রিভার্স সুইপ করতে গিয়ে মিস করে গিয়েছিলেন লাবুশেন। চাপ ‘শুষে’ নেওয়ার চেষ্টা ঠিক সফল হলো না তাঁর। অস্ট্রেলিয়ার দরকার ৮০ রান, এ অবস্থায় তারা হারাল চতুর্থ উইকেট।

১৪: ৫৬ , নভেম্বর ১৬

রিভিউ হারাল দক্ষিণ আফ্রিকা

বেশ আত্মবিশ্বাসী ছিলেন ডি কক, জোরাল আবেদন করলেও মহারাজ অবশ্য তেমন আগ্রহী ছিলেন না। ম্যাক্সওয়েলের বিপক্ষে এরপরও কট বিহাইন্ডের রিভিউ করে দক্ষিণ আফ্রিকা। কিন্তু সফল হয়নি সেটি। ম্যাক্সওয়েল করতে গিয়েছিলেন রিভার্স সুইপ।

২৩ ওভারে ১৩৪/৪।

১৪: ৫৯ , নভেম্বর ১৬

ম্যাক্সওয়েল বোল্ড

এবার আর দরকার নেই রিভিউয়ের! উদ্‌যাপনে খ্যাপাটে হয়ে উঠেছেন তাব্রেইজ শামসি! সামনের পা সরিয়ে নিয়ে বড় শট খেলতে চেয়েছিলেন ম্যাক্সওয়েল। কিন্তু নাগাল পাননি বলের। এমন উইকেটে আক্রমণাত্মক হওয়ার ঝুঁকিটা ম্যাক্সওয়েল টের পেলেন চরমভাবে! অস্ট্রেলিয়ার জয়ের জন্য এখনো দরকার ৭৬ রান, কিন্তু তারা হারিয়ে ফেলেছে ৫ উইকেট।

১৫: ০৮ , নভেম্বর ১৬

কে জিতবে কলকাতায়?

২৪ ওভারে দরকার ৬৭ রান। বাকি ৫ উইকেট। শামসি ও মহারাজে ঘূর্ণিতে চাপে অস্ট্রেলিয়া।

১৫: ১৭ , নভেম্বর ১৬

স্নায়ুর লড়াই

শামসির বলে ক্যাচের মতো তুলেছিলেন জশ ইংলিস, কিন্তু শর্ট স্কয়ার লেগে থাকা বাভুমা নাগাল পাননি। পরের ওভারে স্মিথের সঙ্গে ভুল বোঝাবুঝি হয়েছিল, কিন্তু পয়েন্ট থেকে আসা থ্রোটা ঠিক যুতসই ছিল না। শামসি ও মহারাজের বাকি ২টি করে ওভার।

অস্ট্রেলিয়ার দরকার ৫৭ রান।

১৫: ৩৩ , নভেম্বর ১৬

সময় ফুরিয়ে আসছে দক্ষিণ আফ্রিকার?

কোয়েৎজির পর রাবাদাকে ফিরিয়েছেন বাভুমা। সময় বয়ে যাচ্ছে দক্ষিণ আফ্রিকার, বলাই যায়। স্মিথ ও ইংলিসের জুটি অবিচ্ছিন্ন এখন ৯ ওভারের বেশি সময়। অষ্টম ফাইনাল থেকে অস্ট্রেলিয়ার দূরত্ব ৩৯ রানের।

১৫: ৩৮ , নভেম্বর ১৬

ফিরলেন স্মিথ, ‘জীবন’ পেল দক্ষিণ আফ্রিকা

এবারের বিশ্বকাপে সবচেয়ে বেশি শর্ট বলে উইকেট নিয়েছেন জেরাল্ড কোয়েৎজি। এ ওভারেও শর্ট বল করেছেন। স্মিথ হয়ত আবার প্রত্যাশা করেছিলেন সেটিই। আগেভাগেই খেলে ফেলেছেন শট, কিন্তু বল ছিল একটু ফুললেংথে। স্মিথের শট উঠেছে খাড়া ওপরে। শট খেলার পরই হতাশায় নুয়ে পড়েছেন তিনি, উইকেটের পেছন থেকে ছুটে এসে ক্যাচ নিয়েছেন কুইন্টন ডি কক। কলকাতায় খেলা শেষ হয়নি এখনো! ৩৩.৩ ওভারে ১৭৪/৬।

১৫: ৪৬ , নভেম্বর ১৬

৯০ বল (বাকি), ৩৬ রান (দরকার), ৪ উইকেট (হাতে)

ফাইনালে উঠতে না পারলে আজই শেষ ম্যাচ খেলে ফেলবেন ডি কক (ডানে)
এএফপি
১৫: ৫৪ , নভেম্বর ১৬

এবার আর জাদু নেই!

২/৪২
শামসির বোলিং ফিগার

শেষ স্পেলে ২ ওভারে শামসি দিলেন ৪ রান। কিন্তু অস্ট্রেলিয়ার কৃতিত্ব, এ দফা তাঁকে উইকেট দেননি তাঁরা। জয় থেকে ২৯ রান দূরে অস্ট্রেলিয়া।

১৫: ৫৯ , নভেম্বর ১৬

(প্রায়) সুযোগ

স্লিপে উঠেছিল ক্যাচ, কিন্তু ফিল্ডার ছিল না; ফিরতি ক্যাচ পেয়েছিলেন, অনেকটা ঝাঁপিয়ে পড়েও নাগাল পাননি—ভাগ্যকে ঠিক পাশে পাননি কোয়েৎজি। অস্ট্রেলিয়ার জয়ের জন্য দরকার ২৫ রান।

পরের ওভারে এসেছিলেন মহারাজ, নিজের শেষ ওভারে ২ রান দিলেও উইকেট পাননি আর। ১০ ওভারে মাত্র ২৪ রান দিয়েছেন এ বাঁহাতি স্পিনার।

অস্ট্রেলিয়ার দরকার ২৩ রান।

১৬: ১০ , নভেম্বর ১৬

কোয়েৎজির বলে বোল্ড ইংলিস

যখনই মনে হচ্ছে, ম্যাচ শেষ, তখনই উইকেট নিয়ে ভিন্ন কিছু বলতে চাচ্ছে দক্ষিণ আফ্রিকা! এবার ইংলিসের রক্ষণ ভেদ করে ঢুকে পড়লেন কোয়েৎজি। ক্রস সিমের ফুললেংথের বল ব্যাটে লাগিয়েছিলেন ঠিকই, কিন্তু এরপর পায়ে লেগে ঢুকে গেছে স্টাম্প বরাবর! জয়ের জন্য ২০ রান দরকার অস্ট্রেলিয়ার, কিন্তু বাকি ৩ উইকেট।

পরের বল আবার ছিল ফুললেংথে, যেটি আছড়ে পড়ে প্যাট কামিন্সের প্যাডে। কেটেলবোরো আউট দেননি, শেষ মুহূর্তে গিয়ে শেষ রিভিউটি নেন বাভুমা। কিন্তু বল ট্র্যাকিং দেখিয়েছে, সেটি পড়েছিল লেগ স্টাম্পের বেশ বাইরেই!

১৬: ২০ , নভেম্বর ১৬

১২ রান দরকার, বাকি ৩ উইকেট

৪২তম ওভারের দ্বিতীয় বলে পয়েন্ট দিয়ে চার মেরেছেন কামিন্স। শেষ বলে গিয়ে ফুলটসে নো করেছেন কোয়েৎজি। ফ্রি হিটে স্টার্ক বোল্ড হয়েছিলেন, রান আসেনি কোনো।

১৬: ২৭ , নভেম্বর ১৬

৯ রান, ৩ উইকেট

১৬: ৩১ , নভেম্বর ১৬

ওহ, ডি কক!

‘বিশ্বকাপটাই ফেলে দিলেন?’

মার্করামের বলে উইকেটের পেছনে সুযোগ পেয়েছিলেন কামিন্সের ক্যাচ নেওয়ার। ডি কক রাখতে পারেননি। সহজ ছিল, তা নয়। তবে এমন মুহূর্তে দক্ষিণ আফ্রিকার খুব করেই দরকার ছিল ক্যাচটি। পঞ্চম বলে সিঙ্গেল নিয়ে জয়ের সঙ্গে দূরত্ব কমিয়ে এনেছেন আরও ১ রান। শেষ বলে সিঙ্গেল নিয়ে সেটি ৭ রানে নামিয়ে এনেছেন স্টার্ক।

১৬: ৩৫ , নভেম্বর ১৬

চারের পর দরকার ৩

শর্ট বল, শর্ট বল… স্টার্ক জানতেন এরপর ফুললেংথে আসছে। সেটিতে চার মেরেছেন। মার্কো ইয়ানসেন শেষ বলে দিয়েছিলেন ইয়র্কার, স্টার্ক ঠেকিয়েছেন ভালোভাবেই। অস্ট্রেলিয়া ও ফাইনালের মধ্যে ব্যবধান এখন ৩ রান।

১৬: ৪১ , নভেম্বর ১৬

৩ উইকেটে জিতে ফাইনালে অস্ট্রেলিয়া

আহমেদাবাদের ফাইনাল হবে অস্ট্রেলিয়ার অষ্টম
ছবি: রয়টার্স

ইয়ানসেনের শর্ট বলে কাট করে চার কামিন্সের। ৩ উইকেটে জিতে ফাইনালে অস্ট্রেলিয়া, ১৯ নভেম্বর সেখানে তাদের প্রতিপক্ষ স্বাগতিক ভারত। ২০০৩ সালের পুনরাবৃত্তি হবে সে দিন।

২১৩ রানের লক্ষ্যে শুরুটা উড়ন্ত করেছিলেন ট্রাভিস হেড ও ডেভিড ওয়ার্নার। শুরুতেই দক্ষিণ আফ্রিকাকে ছিটকে দেওয়ার আভাস দিয়েছিল তাঁদের ব্যাটিং। তবে দক্ষিণ আফ্রিকা ফিরে ফিরে এসেছে বারবার। কলকাতার উইকেটে টার্ন ছিল, মহারাজ ও শামসি সেখানে ছড়ি ঘুরিয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার মিডল অর্ডারের ওপর।

কোয়েৎজি বোলিং করেছেন দুর্দান্ত, দলকে আশা জুগিয়েছেন তিনি। কিন্তু হেডের ঝোড়ো ইনিংসের পর মিডল অর্ডারে স্মিথ ও ইংলিসের অবদান, শেষে এসে অষ্টম উইকেটে অবিচ্ছিন্ন ২২ রানের (৪৬ বল) জুটিতে অস্ট্রেলিয়ার জয় নিশ্চিত করেছেন কামিন্স ও স্টার্ক।

বিশ্বকাপের অষ্টম ফাইনাল নিশ্চিত হয়েছে অস্ট্রেলিয়ার। প্রথম ফাইনালে যাওয়ার অপেক্ষা আরেকটু বেড়েছে দক্ষিণ আফ্রিকার। তবে কলকাতার দর্শকেরা দেখেছেন রোমাঞ্চকর এক লড়াই।

১৬: ৪৮ , নভেম্বর ১৬

ম্যাচসেরা হেড

জোড়া উইকেটে ওভারে দক্ষিণ আফ্রিকার প্রতিরোধ ভেঙেছিলেন। পরে ৪৮ বলে ৬২ রানের ইনিংসে ম্যাচসেরা ট্রাভিস হেড।

১৭: ০৪ , নভেম্বর ১৬

দক্ষিণ আফ্রিকার আরেকটি হৃদয়ভঙ্গের গল্প

৫ ম্যাচ খেলে সেমিফাইনালে এখনো জয়শূন্য দক্ষিণ আফ্রিকা

১৯৯২, ১৯ রানে হার (বৃষ্টি আইনে অদ্ভূত সমীকরণ)

১৯৯৯, ম্যাচ টাই (সুপার সিক্সের ফলের ভিত্তিতে বাদ)

২০০৭, ৭ উইকেটে হার

২০১৫, ৪ উইকেটে হার

২০১৯, ৩ উইকেটে হার… 

দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে বিশ্বকাপ ফাইনাল এখনো অধরাই! 

ছবি: রয়টার্স
১৭: ০৫ , নভেম্বর ১৬

বিদায়, ডি কক

এ ম্যাচ দিয়েই ওয়ানডে থেকে অবসরে চলে গেলেন কুইন্টন ডি কক। এবারের বিশ্বকাপে যিনি করেছেন ৪টি সেঞ্চুরি
রয়টার্স