নো বল বিতর্কে আম্পায়ার ‘ভাই’দের শোয়েবের খোঁচা

কোহলির শটের ছবিটি টুইটারে দিয়ে খোঁচা দিয়েছেন শোয়েব আখতারছবি: টুইটার

পাকিস্তানের বিপক্ষে শেষ ওভারে থ্রিলার লিখে দারুণ এক জয় পেয়েছে ভারত। ম্যাচের শেষ ছয় বলের প্রতিটিতে জমে উঠেছিল নাটক। এরই মাঝে মোহাম্মদ নেওয়াজের করা ওভারের চতুর্থ বলে নো ডাকা নিয়েও শুরু হয়েছে সমালোচনা।

কেউ কেউ এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশের বিপক্ষে ২০১৫ ওয়ানডে বিশ্বকাপে রোহিত শর্মার আউট হওয়া বলে নো ডাকার বিষয়টিও মনে করে দিয়েছেন। এই নো বল বিতর্কে খোঁচা দিয়ে উত্তাপ আরও বাড়িয়েছেন পাকিস্তানের সাবেক গতি তারকা শোয়েব আখতার।

আরও পড়ুন

শুধু শোয়েবই নন, নো বল নিয়ে টুইটারে নিজের মত জানিয়েছেন সাবেক অস্ট্রেলিয়ান স্পিনার ব্রাড হগও।

কী ঘটেছিল নওয়াজের করা সেই বলটিতে? বেশ উঁচুতে আসা ফুলটসটিকে ডিপ স্কয়ার লেগ দিয়ে উড়িয়ে মারেন কোহলি। ফিল্ডার আসিফ আলী অবশ্য চেষ্টা করেছিলেন ছক্কা ঠেকাতে। তবে পারেননি।

আরও পড়ুন

ছক্কার সঙ্গে আম্পায়ারের নো বলের সংকেতে ওই বলেই আসে ৭ রান। আম্পায়ারদের সঙ্গে আলোচনা করতে দেখা যায় বাবর আজমকে। পাকিস্তান অধিনায়ক খুশি হননি, সেটি বলাই যায়। তবে মাঠে এর বেশি বিতর্ক না বাড়লেও মাঠের বাইরে পাকিস্তান ক্রিকেটের সমর্থকেরা এই সিদ্ধান্তের জোরালো সমালোচনা করেছেন।

শোয়েব আখতার
ফাইল ছবি

কোহলির শটের ছবিটি টুইটারে দিয়ে খোঁচা দিয়েছেন শোয়েব আখতার। সাবেক এই ফাস্ট বোলার বলেছেন, ‘আম্পায়ার ভাইয়েরা, আজ রাতের জন্য চিন্তার খোরাক দিয়ে দিলে।’

এটুকু লিখে অবশ্য কথা আর বাড়াননি শোয়েব। তবে তাঁর ইঙ্গিতটা স্পষ্ট। এর আগে অবশ্য নো বল হয়নি বলে একটি টুইট করেছিলেন শোয়েব, যদিও পরে তা সরিয়ে নেন। শোয়েবের সেই পোস্টের নিচে ভারতীয় সমর্থকেরা হিসাব-নিকাশ করে দেখাতে চেয়েছেন আম্পায়ার ভুল ছিলেন না। এ নিয়ে দুই দেশের সমর্থকদের মধ্যে কথার লড়াইও জমেছে বেশ।

এর আগে অবশ্য অন্য এক টুইটে ম্যাচ নিয়ে নিজের উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে শোয়েব লিখেছেন, ‘দুর্ভাগ্য! এটা নিশ্চিতভাবেই কঠিন লড়াইয়ের একটি ম্যাচ ছিল। নখ কামড়ানো মুহূর্ত এই লড়াইকে দুনিয়ার সবচেয়ে বড় ক্রীড়া দ্বৈরথে পরিণত করেছে।’

একই ছবি দিয়ে হগের সরাসরি প্রশ্ন, ‘কেন নো বল রিভিও করা হলো না। তাহলে ফ্রি হিটে কোহলি বোল্ড হলো, সেটি কীভাবে ডেড বল হলো না।’  

আরও পড়ুন

অনেক পাকিস্তান সমর্থকও নো বলের সিদ্ধান্ত নিয়ে আম্পায়ারের সিদ্ধান্তের সমালোচনা করেছেন। টুইটারে এক পাকিস্তান সমর্থক লিখেছেন, ‘পাকিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচে আম্পায়ারিং অনেকটাই ভারতের পক্ষে হয়েছে। এমন অনেক বিতর্কিত ঘটনা আছে, যখন আম্পায়ারের সিদ্ধান্ত ভারতের পক্ষে গেছে।’ অন্য একজন লিখেছেন, ‘এটা নো বল ছিল না। আম্পায়ারের সিদ্ধান্ত খুবই পক্ষপাতিত্বমূলক ছিল। এটা অন্যায়।’