আগ্রাসী ব্যাটিংয়ে বাবার বাজে স্ট্রাইক রেটের ঘাটতি মেটাচ্ছেন মার্শ
বিশ্বকাপে অস্ট্রেলিয়ার হয়ে প্রথম দুই ম্যাচেই ব্যর্থ ছিলেন মিচেল মার্শ। প্রথম ম্যাচে ভারতের বিপক্ষে আউট হন কোনো রান না করে এবং পরের ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে করেন ৭ রান। বিশ্বকাপের শুরুতে এমন পারফরম্যান্সে বেশ চাপেই ছিলেন এই অস্ট্রেলিয়ান ওপেনার। অবশেষে শ্রীলঙ্কাকে হারানোর ম্যাচে রানে ফিরেছেন মার্শ। ৫১ বলে ১০১.৯৬ স্ট্রাইক রেটে করেছেন ৫২ রান। রানআউট হয়ে ফিরতে না হলে এই ইনিংস আরও বড় করতে পারতেন মার্শ।
এ ম্যাচে মার্শের করা ৫২ রানের মধ্যে ৩৬–ই এসেছে বাউন্ডারি থেকে। এই ইনিংস খেলার পথে ৯টি চার মেরেছেন তিনি। ম্যাচ শেষে স্টার স্পোর্টসের সঙ্গে নিজের আক্রমণাত্মক ব্যাটিং নিয়ে কথা বলতে হয়েছে মার্শকে। প্রসঙ্গটি তুলেছেন মূলত ভারতের কিংবদন্তি ব্যাটসম্যান সুনীল গাভাস্কার। যেখানে গাভাস্কার মনে করিয়ে দেন মার্শের বাবা জিওফ মার্শের কথা, যিনি অস্ট্রেলিয়ার হয়ে ১১৭ ওয়ানডেতে ৫৫.৩৩ স্ট্রাইক রেটে করেছিলেন ৪৩৫৭ রান।
বিপরীতে ৮২ ওয়ানডে খেলা মার্শ (মিচেল) ২২৯০ রান করেছেন ৯৩.৮৫ স্ট্রাইক রেটে। অর্থ্যাৎ, বাবা জিওফের চেয়ে অনেক বেশি আগ্রাসী ব্যাটিং করেন মার্শ। বাবার ব্যাটিংয়ের কথা মনে করিয়ে দিয়েছেন গাভাস্কার। রক্ষণাত্মক ভঙ্গিতে ব্যাট করার অভিনয় করে দেখিয়ে মার্শকে তিনি জিজ্ঞাসা করেন, ‘তোমার বাবা কি তোমাকে এভাবে ব্যাট করতে শেখায়নি? কারণ, তুমি সব সময় আক্রমণাত্মক ব্যাট করো।’ গাভাস্কারের প্রশ্নের জবাবে মজা করে মার্শ উত্তর দেন, ‘আমি তাঁর (বাবার) বাজে স্ট্রাইক রেটের শ্রী বৃদ্ধি করার চেষ্টা করছি।’
মার্শের মজার উত্তরটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। একজন মনে করিয়ে দেন, ১৯৯২ বিশ্বকাপে পাকিস্তানের বিপক্ষে জিওফ মার্শের খেলা ৯১ বলে ৩৯ রানের কথা। ম্যাচটিতে শেষ পর্যন্ত অস্ট্রেলিয়া ৪৮ রানে হেরেছিল, যা পাকিস্তানের সেমিফাইনালে ওঠার পথও সহজ করেছিল।
বিশ্বকাপে মন্থর ব্যাটিংয়ের কথা বললে অবশ্য গাভাস্কারের নামই সবার আগে আসে। ১৯৭৫ বিশ্বকাপে ১৭৪ বলে ৩৬ রানের অবিশ্বাস্য এক ইনিংস খেলেছিলেন গাভাস্কার। এমন স্লথ ব্যাটিংয়ের কারণে বেশ সমালোচনার মুখেও পড়তে হয়েছিল গাভাস্কারকে।