২৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আয়োজন দেখতে ক্লিক করুন
মূল সাইট দেখতে ক্লিক করুন

মাহমুদুল-হাবিবুরের ঝড়ে খুলনার সান্ত্বনার জয়

সান্ত্বনা জয় পেল খুলনাছবি: শামসুল হক

কোয়ালিফায়ার খেলার সম্ভাবনা নেই, ফরচুন বরিশালের জন্য ম্যাচটি ছিল এলিমিনেটরের আগে ‘অনুশীলন ম্যাচ’ই। অন্যদিকে খুলনা টাইগার্সের জন্য হতাশাজনক এক মৌসুম শেষের আগে সান্ত্বনা পাওয়ার উপলক্ষ। সেই সান্ত্বনা খুলনা পেল দারুণভাবেই।

মাহমুদুল হাসানের ৪৩ বলে ৬৪ রানের সঙ্গে হাবিবুর রহমানের ৯ বলে ৩০ রানের ঝোড়ো ইনিংসে খুলনা পেয়েছে ৬ উইকেটের জয়। বরিশালের দেওয়া ১৭০ রানের লক্ষ্য ৩ বল বাকি থাকতেই পেরিয়ে গেছে খুলনা।

দুই বিদেশিকে নিয়ে নামা খুলনা রান তাড়ায় পাঠায় নতুন ওপেনার সাব্বির রহমানকে, তবে তিনি প্রিটোরিয়াসের বলে এলবিডব্লু হন ২ রান করেই। শাই হোপের সঙ্গে ৩৫ রানের পর মাহমুদুল হাসানের সঙ্গে অ্যান্ড্রু বলবার্নির ২৮ রানের জুটিতে মোটামুটি একটা ভিত পায় খুলনা। খালেদ আহমেদের বলে এলবিডব্লু হওয়া বলবার্নি ৩৩ বলে করেন ৩৭ রান।

আরও পড়ুন

সেখান থেকে খুলনাকে টানেন মাহমুদুল হাসান ও ইয়াসির আলী। ৩৫ বলে ৫৫ রানের সে জুটি ভাঙে ইয়াসিরের অদ্ভুত রানআউটে। প্রিটোরিয়াসের ওয়াইড বলটি বোলারের দিকে থ্রো করতে গিয়ে গড়বড় করেছিলেন উইকেটকিপার এনামুল, তা দেখে দৌড় শুরু করেন নন-স্ট্রাইক প্রান্তে থাকা ইয়াসির। তবে মিড-অনে থাকা মিরাজকে যেন ভুলেই গিয়েছিলেন, যিনি সরাসরি থ্রোয়ে ভাঙেন স্টাম্প।

৪৩ বলে ৬৪ রান করেছেন মাহমুদুল হাসান
ছবি: শামসুল হক

শেষ ২৪ বলে প্রয়োজন ছিল ৫২ রান, ইয়াসিরের রানআউটের পরও ১৭তম ওভারে আসে ১৭ রান। পরের ওভারে ৯ রান এলেও ইবাদত হোসেনের করা ১৯তম ওভারে দুই ছক্কা মারেন হাবিবুর রহমান, ফলে শেষ ওভারে খুলনার দরকার ছিল মাত্র ৯ রান। মিরাজের দ্বিতীয় ওভারে ওয়াইড লং অনে ক্যাচ তুলেও বেঁচে যান হাবিবুর, যেটি শেষ পর্যন্ত হয় চার। পরের বলে মিডউইকেট দিয়ে ছক্কা মেরে খুলনার দারুণ এক জয় নিশ্চিত করেন হাবিবুর।

সাকিবের বদলে আজ আবার বরিশালের অধিনায়কত্ব করেছেন মিরাজ। টসে জিতে নতুন অধিনায়ক নেন ব্যাটিং। এনামুল হকের সঙ্গে ওপেন করতে আসেন মাহমুদউল্লাহ।

প্রিটোরিয়াস ২৯ বলে ২ চার ও ৪ ছক্কায় করেন ৪৮ রান
ছবি: শামসুল হক

টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারে প্রথমবারের মতো ইনিংস উদ্বোধন করতে এসে অবশ্য ফেরেন ৯ বলে ৯ রান করেই। এর আগেই অবশ্য হুট করে বিদ্যুৎ-বিভ্রাটের কবলে পড়ে ম্যাচটি। দ্বিতীয় ওভারে স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৭টা ৬ মিনিটের দিকে নিভে যায় ফ্লাডলাইটসহ স্টেডিয়ামের সব বাতি। আবার শুরু হওয়ার আগে প্রায় ১০ মিনিট বন্ধ ছিল খেলা।

প্রথম চার ব্যাটসম্যানের কেউই সেভাবে ইনিংস বড় করতে পারেননি। ১১তম ওভারে হাসান মুরাদের বলে ২৯ বলে ২৮ রান করা এনামুল ও ১৪ বলে ২২ রান করা সাকিব আল হাসানও ফিরলে চাপেই পড়ে বরিশাল।

আরও পড়ুন

সেখান থেকে তাদের টেনে তোলেন ইব্রাহীম জাদরান ও ডোয়াইন প্রিটোরিয়াস। গতকাল সকালে ঢাকায় এসে পৌঁছা প্রিটোরিয়াস এরপর ঝড় তোলেন। প্রায় ১১ বছর পর পাঁচ বা এর ওপরে আসা এই দক্ষিণ আফ্রিকান অলরাউন্ডার ২৯ বলে ২ চার ও ৪ ছক্কায় করেন ৪৮ রান। জাদরানের সঙ্গে তাঁর জুটিতে ৩৭ বলেই ওঠে ৭০ রান। শেষ ওভারে সাইফউদ্দিনের বলে বোল্ড হওয়াতে ফিফটি পাননি।

প্রিটোরিয়াস ছাড়াও শেষ ওভারে সাইফউদ্দিন নেন মেহেদী হাসান মিরাজ ও করিম জানাতের উইকেটও, প্রিটোরিয়াস ও মিরাজকে তো ফিরিয়েছেন পরপর দুই বলে। শেষ ৩ ওভারে বরিশাল ২১ রানের বেশি তুলতে পারেনি।