আবারও ব্যর্থ কোহলি, রোহিতের ফিফটিতে ভারতের ১৭১
গায়ানায় আবহাওয়ার পূর্বাভাস সুবিধার ছিল না মোটেও। হয়েছে সেটিই, বৃষ্টির কারণে খেলা শুরু হয়েছে দেরিতে, প্রথম ইনিংসের ৮ ওভার পর আবার থেমে গেছে। তবে প্রথম ইনিংসে বেশির ভাগ খেলা হয়েছে রৌদ্রোজ্জ্বল আকাশের নিচে। তাতে ২০ ওভারে ৭ উইকেটে ১৭১ রান তুলেছে ভারত, যাদের টসে জিতে ব্যাটিংয়ে পাঠিয়েছিল ইংল্যান্ড। প্রভিডেন্স স্টেডিয়ামের উইকেট ধীর গতির, আছে নিচু বাউন্সও। রান তাড়ায় ইংল্যান্ডকে ভালো একটা চ্যালেঞ্জই তাই ছুড়ে দিয়েছে ভারত।
যদিও ম্যাচ শুরুর পর ভারতের ব্যাটিং শুরুতেই চাপে পড়ে গিয়েছিল। তৃতীয় ওভারে বিরাট কোহলির পর ষষ্ঠ ওভারে ঋষভ পন্তকে হারায় তারা। রিস টপলিকে ছক্কা মারার ১ বল পর আবার চড়াও হতে গিয়ে বোল্ড ৯ বলে ৯ রান করা কোহলি। টুর্নামেন্টটি মোটেও ভালো যাচ্ছে না তাঁর। স্যাম কারেনের বলে শর্ট মিডউইকেটে ক্যাচ তোলেন ৬ বলে ৪ রান করা পন্ত।
তবে ইতিবাচক রোহিত শর্মা লড়াই চালিয়ে যান। ভারত অধিনায়ক সঙ্গে পান সূর্যকুমার যাদবকে। অষ্টম ওভারের পর বৃষ্টিতে খেলা বন্ধ হয়ে যায় আবার। তাতে প্রায় সোয়া এক ঘণ্টা বন্ধ থাকে খেলা। বৃষ্টি-বিরতিতে ভারতের ছন্দপতন হয় একটু, বিরতির পর সতর্ক থাকেন রোহিত ও সূর্যকুমার। ১৩ তম ওভারে কারেনের ওপর চড়াও হন দুজনই, আসে ১৯ রান।
রোহিত এবারের বিশ্বকাপের তৃতীয় ফিফটি পূর্ণ করেন ৩৬ বলে, সূর্যকুমারও দেখাতে থাকেন তাঁর শটের পরিধি। দুজনের জুটি ইংল্যান্ডকে হুমকি দিচ্ছিল ভালোভাবেই। ইংল্যান্ডকে ব্রেকথ্রু এনে দেন আদিল রশিদ। প্রথম ৩ ওভারে তেমন প্রভাব রাখতে না পারলেও নিজের চতুর্থ ওভারে গুগলিতে বোল্ড করেন ৩৯ বলে ৫৭ রান করা রোহিতকে, সূর্যকুমারের সঙ্গে তাঁর জুটিতে ৫০ বলে ওঠে ৭৩ রান। এক ওভার পর আর্চারের ব্যাক অব দ্য হ্যান্ড স্লোয়ারে তুলে মারতে গিয়ে লং অনে ক্যাচ দেন ৩৬ বলে ৪৭ রান করা সূর্যকুমারও।
দ্রুত দুই উইকেটে চাপ বাড়ে ভারতের, এবার সামনে আসেন হার্দিক পান্ডিয়া। মাঝে লিভিংস্টোনের বিপক্ষে সতর্ক ছিলেন তিনি, প্রথম ৯ বলে করেন মাত্র ৯ রান। এরপর ক্রিস জর্ডানকে মারেন টানা দুটি ছক্কা, যদিও তৃতীয়টি মারতে গিয়ে লং অফে ধরা পড়েন। পরের বলে শিবম দুবেও হন কট বিহাইন্ড। ২.১ ওভার বাকি থাকতে ভারতের স্কোর ছিল ১৪৬ রান। রবীন্দ্র জাদেজা ও অক্ষর প্যাটেলের ১২ বলে ২৪ রানের ছোট জুটিতে অবশ্য ১৭০ পেরোয় ভারত।
ছয় বোলারকেই ঘুরিয়ে ফিরিয়ে ব্যবহার করেছেন বাটলার, একজন ছাড়া উইকেটের দেখা পেয়েছেন সবাই। তবে যিনি উইকেট পাননি, সেই লিভিংস্টোন ছিলেন দারুণ কার্যকর-৪ ওভারে তিনি দেন মাত্র ২৪ রান।
সূচি অনুযায়ী, দক্ষিণ আফ্রিকা-আফগানিস্তানের প্রথম সেমিফাইনালের জন্য রিজার্ভ ডে রাখা হলেও দ্বিতীয় সেমিফাইনালের জন্য তা নেই। কারণ, একদিন পরই বার্বাডোজের ব্রিজটাউনে ফাইনাল। তবে এ ম্যাচের জন্য অতিরিক্ত বরাদ্দ ছিল ২৫০ মিনিট বা ৪ ঘণ্টা ১০ মিনিট। প্রথম ইনিংসের পর বাকি ছিল এর প্রায় অর্ধেক।