এডিআরএস—স্বচ্ছতার চেয়ে যেখানে সংশয় বেশি
ডিআরএস নেই বিপিএলে। ক্রিকেটের আধুনিক এই সময়ে ডিআরএস ছাড়া কোনো সিরিজ বা টুর্নামেন্ট কল্পনা করাই কঠিন! তবে ডিআরএস বা ডিসিশন রিভিউ সিস্টেমের বিকল্প হিসেবে গতবারের মতো এবারও আছে এডিআরএস (অলটারনেটিভ ডিসিশন রিভিউ সিস্টেম)। কিন্তু এডিআরএস স্বচ্ছতার বদলে সংশয়ই বেশি বয়ে আনবে বলে মনে করেন খুলনা টাইগার্সের ডাচ পেসার পল ফন মিকেরেন।
বিপিএলে আজ খুলনা টাইগার্স ও ঢাকা ডমিনেটরসের ম্যাচের পর এডিআরএসের কার্যকারিতা নিয়ে নতুন করে আলোচনা শুরু হয়েছে। ম্যাচের একটি ঘটনার কারণেই এ আলোচনা। মাঠে আম্পায়ারের সিদ্ধান্তে আপত্তি থাকলে খেলোয়াড়েরা এডিআরএসের সাহায্য নিতে পারেন। ঢাকা ডমিনেটরসের ওপেনার সৌম্য সরকার আজ সেটিই নিয়েছিলেন। কিন্তু এর পর যা হলো, সেটা রীতিমতো নাটকই।
বিপিএলে আজ দিনের প্রথম ম্যাচে প্রথমে ব্যাট করে ৮ উইকেটে ১১৩ রান তোলে খুলনা টাইগার্স। এই রান তাড়া করতে নেমে ঢাকার ইনিংসের ষষ্ঠ ওভারে নাসুমের বলে সৌম্যর বিরুদ্ধে এলবিডব্লুর আবেদন করেন খুলনার খেলোয়াড়েরা। সেই আবেদনে সাড়া দিয়ে আঙুল তুলে দেন আম্পায়ার গাজী সোহেল।
সৌম্য সঙ্গে সঙ্গে এডিআরএসের সাহায্য নেন। বল তাঁর গ্লাভসে লেগেছে বলেই মনে হয়েছে। টিভি আম্পায়ার মাঠের আম্পায়ারের সিদ্ধান্ত বহাল রাখলেও সৌম্য এতটাই আত্মবিশ্বাসী ছিলেন যে তিনি ক্রিজ ছাড়ছিলেন না। এরপর আম্পায়ার আবারও তৃতীয় আম্পায়ারের সাহায্য নেন। এবার আরও ভালো করে দেখে তৃতীয় আম্পায়ার সৌম্যকে নটআউট ঘোষণা করেন।
যেভাবে সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে, এটি স্বচ্ছতার চেয়ে বেশি সংশয় নিয়ে আসবে। ব্যক্তিগতভাবে আমার এমনই মনে হয়। আম্পায়ারের সিদ্ধান্তকে সম্মান জানানো উচিত আমাদের।
ম্যাচ শেষের সংবাদ সম্মেলনে খুলনার পেসার মিকেরেনকে প্রশ্ন করা হয়েছিল এডিআরএসের কার্যকারিতা নিয়ে। তিনি বলেন, ‘যেভাবে সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে, এটি স্বচ্ছতার চেয়ে বেশি সংশয় নিয়ে আসবে। ব্যক্তিগতভাবে আমার এমনই মনে হয়। আম্পায়ারের সিদ্ধান্তকে সম্মান জানানো উচিত আমাদের।’
এডিআরএসের কার্যকারিতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে মিকেরেন বলেন, ‘প্রথমে তাকে (সৌম্য) আউট দেওয়া হলো। রিভিউ নেওয়ার পরও আউট দেওয়া হয়। পরে আবার নটআউট! ব্যক্তিগতভাবে আমি নিশ্চিত নই, এটি আসলে রিভিউ সিস্টেম কি না। কারণ, এতে হক আই বা অন্যান্য পরিপূর্ণ প্রযুক্তি নেই।’
বিষয়টি নিয়ে তামিম ইকবাল মাঠেই আম্পায়ারদের সঙ্গে কথা বলেন। সে আলোচনা সম্পর্কে জানতে চাইলে মিকেরেন বলেন, ‘আমি তখন লং অনে ছিলাম। তাই ঠিক জানি না, কী কথা হচ্ছিল বা কী হয়েছিল। তবে আমি দেখেছি, অন্য ক্রিকেটাররা তেমন খুশি নয়। কারণ, সে (সৌম্য) বিপজ্জনক খেলোয়াড়। এখন আমাদের সামনে তাকাতে হবে এবং ম্যাচ জয়ের চেষ্টা করতে হবে।’