বিপিএলে সিলেট পর্ব শুরু আজ, ঢাকার মতোই কি চার-ছক্কার উৎসব হবে
সিলেট স্ট্রাইকার্স ও রংপুর রাইডার্সের ম্যাচ দিয়ে আজ সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে পর্দা উঠছে সিলেট পর্বের। ৬ থেকে ১৩ জানুয়ারি, আট দিনের মধ্যে ছয় দিনে ১২টি ম্যাচ হবে সিলেটে।
টি-টোয়েন্টি ব্যাটসম্যানদের খেলা। দর্শক মাঠে যান চার-ছক্কা দেখতে। ইতিহাস বলছে, সিলেটের মাঠে চার-ছক্কা ভালোই হয়। সিলেটে বিপিএলে ওভারপ্রতি রান ৭.৯৩। চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামের (৮.২৫) চেয়ে পিছিয়ে থাকলেও মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামের (৭.৬৫) চেয়ে ওভারপ্রতি রানের হিসাবে সিলেট এগিয়ে।
এবার অবশ্য সিলেটকে চাপে ফেলে দিয়েছে মিরপুর। রান হয় না বলে যে বদনাম, সেটি এবার অনেকটাই ঘুচিয়েছে মিরপুর। যে মাঠে বিপিএলে আগে কোনো মৌসুমেই ওভারপ্রতি রান ৮ ছোঁয়নি, সেখানে এবার প্রথম আট ম্যাচে ওভারপ্রতি রান উঠেছে ৮.৬৬ করে।
মিরপুরে বিপিএলের এক আসরে এর আগে কখনোই তিনটির বেশি ২০০ ছাড়ানো দলীয় ইনিংস দেখেনি। এবার আট ম্যাচেই সেই রেকর্ড ছুঁয়ে ফেলেছে। বিপিএলে মিরপুর সর্বোচ্চ ইনিংসটাও দেখেছে এবারই। এ মাসের ৩ তারিখে দুর্বার রাজশাহীর বিপক্ষে ৫ উইকেটে ২১৯ রান তুলে রেকর্ড গড়েছে চিটাগং কিংস। তাতে পেছনে পড়েছে ২০১৯-২০ মৌসুমে কুমিল্লা ওয়ারিয়র্সের বিপক্ষে খুলনা টাইগার্সের ২১৮ রান।
মিরপুরের প্রথম পর্ব সেঞ্চুরি দেখেছে দুটি। চট্টগ্রাম কিংসের উসমান খান দুর্বার রাজশাহীর বিপক্ষে ও ঢাকা ক্যাপিটালসের থিসারা পেরেরা ১০৩ রান করেছেন খুলনা টাইগার্সের বিপক্ষে। দুটি সেঞ্চুরিই হয়েছে ঢাকা পর্বের শেষ দিনে।
বিপিএল ইতিহাসের দ্রুততম ফিফটির রেকর্ডটাও এবার মিরপুরে হয়েছে। চিটাগং কিংসের বিপক্ষে ১৮ বলেই ৫০ ছুঁয়ে রেকর্ডটা করেছেন খুলনা টাইগার্সের উইকেটকিপার ব্যাটসম্যান মাহিদুল ইসলাম।
শুধু ব্যাটসম্যানরাই নয়, বোলারদেরও বড় কীর্তি আছে এবার মিরপুরে। দুর্বার রাজশাহীর হয়ে খেলা জাতীয় দলের পেসার তাসকিন আহমেদ তো অল্পের জন্যই ভাঙতে পারেননি বিশ্ব রেকর্ড। ঢাকা ক্যাপিটালসের বিপক্ষে ৭ উইকেট নিয়েছেন ১৯ রানে। ইতিহাসে মাত্র তৃতীয় বোলার হিসেবে স্বীকৃত টি-টোয়েন্টিতে ৭ উইকেট পেলেন তাসকিন।
ঢাকার সঙ্গে এবার পাল্লা দিয়ে পারবে কি সিলেট?
একটি হিসাবে অবশ্য সিলেট পর্বটা ঢাকার সঙ্গে সমতায় থেকেই শুরু করছে স্বাগতিকেরা। দুই দলই কোনো পয়েন্ট ছাড়াই ঢাকা থেকে সিলেটে পৌঁছেছে। অবশ্য সিলেট ঢাকায় ম্যাচই খেলেছে একটি, অন্যদিকে ঢাকা তিন ম্যাচ খেলে হেরেছে তিনটিতেই। সিলেটে সিলেট খেলবে সর্বোচ্চ পাঁচটি ম্যাচ।
ঢাকায় প্রথম পর্বে তিন ম্যাচেই জিতে পয়েন্ট তালিকার শীর্ষে আছে রংপুর রাইডার্স। দুই ম্যাচের দুটিতেই জিতে খুলনা টাইগার্স আছে এরপর। চিটাগং কিংস, ফরচুন বরিশাল ও দুর্বার রাজশাহী জিতেছে একটি করে ম্যাচ।