সাকিব ও তামিমকে একই দিনে ছাড়িয়ে গেলেন মুশফিক
৩, একটা সংখ্যা।
কিন্তু বাংলাদেশের ক্রিকেটের কোনো কিছুর সঙ্গে যদি সংখ্যাটাকে মেলানোর কথা বলেন, তাহলে একটা শব্দ হয়তো চলে আসবে—বাংলাদেশের ক্রিকেটের ত্রিমূর্তি!
মুশফিকুর রহিম, সাকিব আল হাসান ও তামিম ইকবাল—আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে বাংলাদেশের সবচেয়ে সফল তিন খেলোয়াড়। ৩ সংখ্যাটার সঙ্গে এই তিনজনের মিল আরও আছে। তিন বছরের মধ্যে বাংলাদেশ দল তথা আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে আবির্ভাব তাঁদের। ২০০৫ সালে মুশফিকুর, পরের বছর ২০০৬ সালে সাকিব আর তার পরের বছর অর্থাৎ ২০০৭ সালে তামিম আসেন বাংলাদেশ দলে।
৩ সংখ্যাটির সঙ্গে মুশফিক, সাকিব ও তামিমের মিলের শেষ এখানেই নয়। তিনজনের ক্যারিয়ারের প্রায় শুরু থেকেই একটা লড়াই চলে আসছে—আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে রানে কে কাকে ছাড়িয়ে যাবেন। প্রীতির ছায়ায় সে লড়াই করতে করতে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে এখন তাঁরা তিনজনই বাংলাদেশের সর্বোচ্চ তিন রানসংগ্রাহক।
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ তিন রান সংগ্রাহকের তালিকায় সবচেয়ে পরে আসা তামিমই সবার ওপরে। টি–টোয়েন্টি ক্রিকেট থেকে অবসর নেওয়া তামিমের রান ১৫১৯২। বাংলাদেশের ১০ উইকেটের জয়ে আজই শেষ হওয়া রাওয়ালপিন্ডি টেস্ট দিয়েই ১৫ হাজার রানের মাইলফলকে পৌঁছেছেন মুশফিক। ১৫১৫৯ রান নিয়ে তিনি আছেন দুইয়ে। তৃতীয় স্থানে থাকা সাকিবের রান ১৪৬৪১।
সর্বোচ্চ রানের এই হিসাবটা মিলিয়ে দেখতে গিয়ে বাংলাদেশের ক্রিকেটের ত্রিরত্নের আরেকটা লড়াইয়েও হয়তো আপনি খেয়াল করবেন। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের তিন সংস্করণ (টেস্ট, ওয়ানডে ও টি–টোয়েন্টি) মিলিয়ে ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ রানের তিনটি ইনিংসও এই তিনজনের। মুশফিকের সর্বোচ্চ অপরাজিত ২১৯। এ লড়াইয়ে সাকিব দ্বিতীয় স্থানে (২১৭) আর তামিমের ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ রানের ইনিংসটি ২০৬ রানের।
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের সবচেয়ে অভিজাত অঙ্গনে আজ সাকিবকে আরেকটি লড়াইয়ে ছাড়িয়ে গেছেন মুশফিক। টেস্ট ক্রিকেটে বাংলাদেশের খেলোয়াড়দের মধ্যে সবচেয়ে বেশিবার ম্যাচসেরার পুরস্কার জেতায় সাকিবকে ছাড়িয়ে গেছেন তিনি।
সাকিব এখন পর্যন্ত টেস্টে ম্যাচসেরা হয়েছেন ৬ বার। রাওয়ালপিন্ডি টেস্টে ম্যাচসেরা হয়ে সংখ্যাটা ৭–এ নিয়ে গেছেন মুশফিক। তামিম টেস্টে ম্যাচসেরা হয়েছেন ৩ বার। টেস্টে বাংলাদেশের খেলোয়াড়দের মধ্যে তৃতীয় সর্বোচ্চ ৪ বার ম্যাচসেরা হয়েছেন মুমিনুল হক।
বিদেশের মাটিতে টেস্ট ক্রিকেটে ম্যাচসেরা হওয়ার লড়াইয়ে আবার আজ তামিমকে ছাড়িয়ে গেছেন মুশফিক। আজকের আগে পর্যন্ত বিদেশের মাটিতে সমান দুটি করে ম্যাচসেরার পুরস্কার ছিল মুশফিক–তামিমের। আজ সংখ্যাটা ৩–এ নিয়ে গেছেন মুশফিক।
লেখার শুরুর মতো শেষেও চলে এল সেই ৩!