ব্যাটসম্যানদের ভালো করার আশা নিয়ে কানপুর যাচ্ছেন নাজমুল
পাকিস্তানকে তাদের মাটিতে হোয়াইটওয়াশ করার আত্মবিশ্বাস নিয়ে ভারতে গিয়েছিল বাংলাদেশ। এবারের বাংলাদেশকে বেশ সমীহও করেছিল ভারতীয় দল। এমনকি ম্যাচ-পূর্ব সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ নিয়ে সতর্ক থাকার কথা বলেছিলেন ভারতের কোচ গৌতম গম্ভীরও।
বাংলাদেশ নিয়ে ভারতের এমন ভাবনা যে ভুল ছিল না, তা প্রথম দিনের শুরুতেই প্রমাণ করে দিয়েছিল বাংলাদেশের পেসাররা। বল হাতে ভারতকে রীতিমতো কোণঠাসা করে ফেলেছিলেন হাসান মাহমুদ-তাসকিন আহমেদ-নাহিদ রানারা। বিশেষ করে হাসান ছিলেন রীতিমতো বিধ্বংসী।
একপর্যায়ে বাংলাদেশের বোলারদের তোপে ১৪৪ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে ফেলে ভারত। বাংলাদেশও তখন বড় স্বপ্ন বুনতে শুরু করে।
কিন্তু কে জানত, চেন্নাই টেস্টে বাংলাদেশের সুসময় ছিল ওটুকুই। এরপর থেকে শুরু হয় ভারতীয়দের দাপট। যে দলটি ২০০ রানের নিচে অলআউট হওয়ার শঙ্কায় ছিল, তারা শেষ পর্যন্ত তোলে ৩৭৬ রান। আর ব্যাট হাতে বাংলাদেশ ফিরে যায় পুরোনো ব্যর্থতার দিনে। মূলত নিজেদের প্রথম ইনিংসে ১৪৯ রানে গুটিয়ে যাওয়ার পর ম্যাচ থেকে একরকম ছিটকে যায় বাংলাদেশ।
এরপরও ভারতের দ্বিতীয় ইনিংসের ব্যাটিংয়ের সময়ও বল হাতে বাংলাদেশের পেসাররা ভালো শুরু এনে দিয়েছিলেন। ৬৭ রানে ভারত হারিয়েছিল তিন টপ অর্ডার ব্যাটসম্যানকে। কিন্তু চতুর্থ ইনিংসে ৫১৪ রান তাড়া করতে গিয়ে আবারও বাংলাদেশের ব্যাটিংয়ে ছন্দপতন, শেষ পর্যন্ত ২৮০ রানের বড় হার। ম্যাচ শেষে অধিনায়ক নাজমুল হোসেন পুরো ম্যাচে বাংলাদেশের প্রাপ্তি হিসেবে খুঁজে পেলেন পেস বোলিংকেই।
পাশাপাশি কানপুরে বোলারদের মতো ব্যাটসম্যানদেরও ছন্দে ফেরার আশা তাঁর।
এই ম্যাচে বাংলাদেশের প্রাপ্তি কী জানতে চাইলে নাজমুল বলেছেন, ‘ইতিবাচক হচ্ছে হাসান-তাসকিন-রানা প্রথম ২-৩ ঘণ্টা যেভাবে বোলিং করেছে সেটা। এরপর অবশ্য ভারত খুব ভালো ব্যাটিং করেছে। পেস বোলিংই এখানে সবচেয়ে বড় প্রাপ্তি। আমরা নতুন বলে শেষ কয়েকটি সিরিজে খুবই ভালো বল করেছি। এটি খুবই দারুণ ব্যাপার। কিন্তু আমাদের সেটা ধরে রাখতে হবে।’
বাংলাদেশ দল চতুর্থ দিনে ব্যাট করতে নামে ভারতের চেয়ে ৩৫৬ রানে পিছিয়ে। হাতে ছিল ৬ উইকেট। বাংলাদেশ ২৪.৫ ওভার ব্যাট করে ৭৬ রান যোগ করেই অলআউট হয়। চতুর্থ দিন ঠিক কোন পরিকল্পনা নিয়ে বাংলাদেশ ব্যাটিং করতে নেমেছিল, জিজ্ঞেস করলে নাজমুল বলেন, ‘আজ আমরা চেষ্টা করেছি যতক্ষণ সম্ভব ব্যাটিং করে যাওয়ার এবং ফলের কথা না ভেবে নিজেদের শক্তি অনুযায়ী খেলে যাওয়ার। কানপুর টেস্ট গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের বোলাররা ভালো করেছে, আশা করি ব্যাটসম্যানরাও ভালো করবে।’
অনেক দিন ধরে ব্যাট হাতে সময়টা ভালো যাচ্ছিল না নাজমুলের। তবে চেন্নাইয়ে চতুর্থ ইনিংসে ৮২ রানের ইনিংস খেলে ছন্দে ফেরার ইঙ্গিত দিয়েছেন তিনি। ম্যাচ শেষে নিজের ব্যাটিং নিয়েও নাজমুল বলেছেন, ‘ব্যাটসম্যান হিসেবে আমি সব সময় অবদান রাখার চেষ্টা করি, নিজের ব্যাটিং উপভোগ করার চেষ্টা করি।’