’৯২ বিশ্বকাপের জার্সিতে স্মৃতিকাতর ওয়াসিম আকরাম
১৯৯২ সালের বিশ্বকাপ ক্রিকেটে পাকিস্তানের জন্য বড় এক সুখস্মৃতি। সেই সুখস্মৃতি হঠাৎই যেন ফিরে এল টেলিভিশনের পর্দায়। ওয়াসিম আকরাম ’৯২ বিশ্বকাপের জার্সি পরে কাল হঠাৎ টেলিভিশন পর্দায় হাজির হয়েছিলেন। নিমিষেই স্মৃতিমেদুর গোটা পাকিস্তান।
এবারের টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপে পাকিস্তানের টেলিভিশন চ্যানেল এ স্পোর্টসে বিশেষজ্ঞ হিসেবে আছেন আকরাম। প্যানেলে তাঁর সঙ্গে আছেন আরও তিন পাকিস্তানি তারকা—ওয়াকার ইউনিস, ওয়াহাব রিয়াজ আর মিসবাহ–উল–হক। কাল কেবল আকরাম নন, বাকিরাও পরে এসেছিলেন ’৯২ বিশ্বকাপে পাকিস্তানের জার্সির রেপ্লিকা।
তবে এটা ঠিক, ওয়াসিম আকরামের গায়ে এ জার্সি যতটা স্মৃতিকাতর করেছে সবাইকে, বাকিদেরটা ততটা নয় অবশ্যই। আকরাম ছাড়া আর কেউই যে ১৯৯২ বিশ্বকাপে খেলেননি।
আকরাম ছিলেন ২৯ বছর আগে পাকিস্তানের বিশ্ব জয়ের বড় অস্ত্র। ফাইনালে ৩ উইকেট আর ১৯ বলে ৩৩ রান করে ইংল্যান্ডকে হারিয়ে পাকিস্তানের শিরোপা জয়ে বড় ভূমিকা রেখেছিলেন তিনি।
গোটা বিশ্বকাপেই আকরাম ছিলেন দুর্দান্ত ৯ ম্যাচে ১৮.৭৮ গড়ে নিয়েছিলেন ১৮ উইকেট। ফাইনালে পরপর দুই বলে ইংল্যান্ডের অ্যালান ল্যাম্ব আর ক্রিস লুইসকে ফিরিয়ে ম্যাচ ঘুরিয়ে দিয়েছিলেন পাকিস্তানের দিকে।
কাল আকরামের সঙ্গে ’৯২ বিশ্বকাপের জার্সি গায়ে দিয়ে ওয়াকার পুরোনো আক্ষেপে আবার পুড়েছিলেন। দলে থেকেও যে পিঠের চোটের কারণে বিশ্বকাপের মাত্র কয়েক দিন আগে দেশে ফিরে আসতে হয়েছিল তাঁকে। বিশ্বকাপ জেতার গৌরব গায়ে মাখতে পারেননি নিতান্তই দুর্ভাগ্যের কারণে।
এরপর আরও তিনটি বিশ্বকাপ খেলেও বিশ্বকাপ জয়ের অংশীদার হতে পারেননি তিনি। মিসবাহ আর ওয়াহাব নিশ্চয়ই নিজেদের ধন্য মনে করেছেন পাকিস্তান ক্রিকেটের সবচেয়ে বড় গৌরবের স্মারকটি শরীরে ধারণ করে।
’৯২ বিশ্বকাপের জার্সি গায়ে একটি ছবি নিজের অফিশিয়াল ইনস্টাগ্রামে পোস্ট করেছেন আকরাম। তাতে ছিল স্মৃতিমেদুরতার ছোঁয়া। বলেছেন, ‘অসাধারণ সব স্মৃতির বন্যায় ভাসলাম আজ।’
অধিনায়ক হিসেবে বিশ্বকাপ জেতেননি আকরাম। তবে ১৯৯২ সালে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার ৭ বছর পর ১৯৯৯ সালে অধিনায়ক হিসেবে পাকিস্তানকে বিশ্বকাপ জেতানোর খুব কাছে পৌঁছে গিয়েছিলেন তিনি।
দুর্দান্ত পারফরম্যান্সে ফাইনালে উঠেও হঠাৎ ছন্দপতন ঘটেছিল সাঈদ আনোয়ার, মঈন খান, আবদুল রাজ্জাক, ইনজামাম–উল–হকদের পাকিস্তানের। শেন ওয়ার্নের অসাধারণ বোলিংয়ে ১৩২ রানে গুটিয়ে গিয়ে রানার্সআপ হয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হয় তাদের।
এবারের টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপেও অসাধারণ খেলছে পাকিস্তান। ১১ নভেম্বর সেমিফাইনালেও পাকিস্তানের প্রতিপক্ষ সেই অস্ট্রেলিয়া।