১০৪ রানের বেশি হলো না বাংলাদেশের ইনিংস

সাকিব ব্যাটি হাতে আজ ব্যর্থছবি: শামসুল হক

টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটটা সাধারণত যেভাবে খেলা হয়, এ সিরিজে মিরপুরের উইকেট ঠিক সে ধরনের ক্রিকেটের উপযোগী নয়। এর ওপর বাংলাদেশের টপ অর্ডার ব্যাটসম্যানদের কেউই রানে নেই। এর আগের তিন টি-টোয়েন্টি ম্যাচে রান যা এসেছে মিডল আর লোয়ার অর্ডার থেকেই। সাকিব আল হাসান, মাহমুদউল্লাহদের কাছ থেকে ছোট ছোট জুটি পাচ্ছিল বাংলাদেশ। আর শেষের দিকে আফিফ হোসেন কিংবা নুরুল হোসেনের ক্যামিও। এটাই ছিল অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে প্রথম তিন ম্যাচে বাংলাদেশি ব্যাটিংয়ের চিত্র। অথচ এটাই বাংলাদেশের জয়ের জন্য ছিল যথেষ্ট।

নাঈম খেলেছেন মন্থর এক ইনিংস
Shamsul Haque Tanku

চতুর্থ টি-টোয়েন্টিতে এসে গত তিন ম্যাচের চেয়েও বাজে হলো বাংলাদেশের ব্যাটিং। টসে জিতে আগে ব্যাট করা বাংলাদেশের ইনিংস থেমেছে মাত্র ১০৪ রানে। পুরো ইনিংস জুড়ে বাংলাদেশ দলের ব্যাটসম্যানরা ডট বলের সংখ্যা চমকে দেওয়ার মতো—৬১!

রানের খাতাই খুলতে পারেননি মাহমুদউল্লাহ
ছবি: শামসুল হক

আগের তিন ম্যাচে ২, ০ আর ২ রান করে আউট হওয়া ওপেনার সৌম্য সরকার আজও দুই অঙ্ক স্পর্শ করতে পারেননি। তিনি আউট হন ১০ বলে ৮ রান করে। জশ হ্যাজলউডকে উড়িয়ে মারতে গিয়ে অ্যালেক্স ক্যারির হাতে ধরা পড়েন তিনি। সৌম্যর বিদায়ে যতটা না ক্ষতি হয়েছে, তার চেয়ে বেশি হয়েছে সাকিব ও মাহমুদউল্লাহর দ্রুত বিদায়ে।

আফিফ কিছুটা হাত খুলে খেলার চেষ্টা করেছিলেন
ছবি: শামসুল হক

ইনিংসের ১০ম ওভারে সাকিব আউট হন হ্যাজলউডের লাফিয়ে ওঠা বলে কাট করতে গিয়ে। তার আগে যতক্ষণ ক্রিজে ছিলেন, ততক্ষণ সাকিবকে একেবারেই স্বাচ্ছন্দ্যে খেলতে দেখা যায়নি। ১৫ রান করতে তিনি খেলেছেন ২৬ বল! মাহমুদউল্লাহ তো রানের খাতা না খুলেই বিদায় নিয়েছেন। অধিনায়কের পথ ধরেন নুরুলও। মাত্র ৮ বলের মধ্যে বাংলাদেশ হারায় সাকিব-মাহমুদউল্লাহ-নুরুলকে।

বাংলাদেশের রান তখন ৪ উইকেটে মাত্র ৫১। ইনিংস ধরে রাখার সামর্থ্য রাখেন এমন চার ব্যাটসম্যানই ফিরে গেছেন ড্রেসিংরুমে। এমন অবস্থা থেকে বাংলাদেশের রান ১০০ স্পর্শ করবে কীভাবে সেটাই ছিল বড় প্রশ্ন। সবার দৃষ্টি ছিল ওপেনিংয়ে নেমে মাঝের ওভার পর্যন্ত টিকে থাকা মোহাম্মদ নাঈমের দিকে। ততক্ষণে উইকেটে থিতু নাঈম কিছু একটা করবেন, তাঁকে সঙ্গ দেবেন আফিফ, আশা ছিল এমনটাই।

কিন্তু সেটি আর হতে দিল কোথায় অস্ট্রেলীয় বোলাররা? ৩৬ বলে ১৮ রানের এক মন্থর ইনিংস খেলে মিচেল সোয়েপসনের বলে আউট হন তিনি। আফিফ একটু দ্রুত রান তুলছিলেন, তিনিও আউট হন ১৭ বলে ২১ রান করে। সেখান থেকে বাংলাদেশের রান ১০০ পার করার সম্ভাবনা ক্ষীণ হয়ে আসে। মেহেদী হাসান শেষে নেমে ১৬ বলে ২৩ রান করেছেন বলেই রক্ষা। তাঁর ইনিংসে ভর করে বাংলাদেশ ২০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে করে ১০৪ রান।

এই রান নিয়ে জেতার সম্ভাবনা কতটুকু—দেখা যাক না!