সুযোগের অপেক্ষায় তাইজুল
বছরের প্রথম ম্যাচেই সবাইকে চমকে দিয়ে মাউন্ট মঙ্গানুই টেস্টটা জিতেছিল বাংলাদেশ। নিউজিল্যান্ডের মাটিতে ওদের বিপক্ষে বাংলাদেশের প্রথম জয় ছিল সেটিই। ঐতিহাসিক সেই টেস্টে একাদশে ছিলেন না তাইজুল ইসলাম। তবে বদলি ফিল্ডার হিসেবে নেমে দারুণ একটি ক্যাচ নিয়েছিলেন তিনি। বাংলাদেশের বাঁহাতি স্পিনার ছিলেন না নিউজিল্যান্ড সফরের দ্বিতীয় টেস্টের দলেও।
সেই তাইজুল দক্ষিণ আফ্রিকায় বাংলাদেশের ঐতিহাসিক ওয়ানডে সিরিজ জয়টা দেখেছেন দক্ষিণ আফ্রিকাতেই। বাংলাদেশের ওয়ানডে দলে না থাকা তাইজুল অবশ্য সেঞ্চুরিয়নে নয়, সফরে শুধু টেস্ট দলে থাকা অন্যদের সঙ্গে ছিলেন কেপটাউনে।
ওয়ানডে সিরিজ জয়ের সুখস্মৃতি নিয়েই দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজ খেলতে যাচ্ছে বাংলাদেশ। কেপটাউন থেকে ডারবানে যাওয়া তাইজুল-মুমিনুলদের সঙ্গে যোগ দিয়েছেন ওয়ানডে সিরিজ খেলা টেস্ট দলের বাকি সদস্যরাও। ডারবানের চ্যাটসওয়ার্থ ক্রিকেট ক্লাবে অনুশীলন করেছেন তাইজুলরা। বাঁহাতি স্পিনার কি এবার সুযোগ পাবেন ৩১ মার্চ শুরু হতে যাওয়া টেস্ট সিরিজের একাদশে?
প্রায় সাড়ে সাত বছরের আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারে দেশের বাইরে মাত্র ১২টি টেস্ট খেলা তাইজুল অবশ্য নিজেকে প্রস্তুতই রেখেছেন। দেশের মাটিতে বাংলাদেশের টেস্ট দলের নিয়মিত মুখ আজ ডারবানে বললেন, চ্যালেঞ্জ নিতে প্রস্তুত তিনি, ‘আমি সব সময় প্রস্তুত থাকার চেষ্টা করি। যেকোনো সময় সুযোগ আসতে পারে এবং খেলা লাগতে পারে। একজন খেলোয়াড়ের এ রকম মানসিকতাই থাকা উচিত যে যখনই সুযোগ আসবে, ভালো কিছু করা।’
সাধারণত ওয়ানডে বা টি-টোয়েন্টি দলের বাইরে থাকা টেস্টের খেলোয়াড়েরা টেস্ট সিরিজ শুরুর আগে যোগ দেন। কিন্তু ভালো প্রস্তুতির আশায় এবার আগেভাগেই দক্ষিণ আফ্রিকা পাঠানো হয়েছে তাইজুলদের। গত কয়েক দিন কেপটাউনে গ্যারি কারস্টেনের একাডেমিতে প্রস্তুতি নিয়ে সেখানকার আবহাওয়ার সঙ্গে মানিয়ে নিয়েছেন। চ্যাটসওয়ার্থে ম্যাচ কন্ডিশনে অনুশীলন শেষে তাইজুল বলছিলেন, ‘কয়েক দিন প্র্যাকটিস হওয়ার কারণে আমাদের একটু ভালো হয়েছে। এখানে ম্যাচ কন্ডিশনে বোলিং করতে এসে ও রকম কঠিন কিছু হয়নি। সেখানকার মতো একটু বাতাস আছে এখানেও। ওখানে মানিয়ে নেওয়ার কারণে এখানে তেমন কোনো সমস্যা হয়নি।’
প্রশ্ন উঠেছিল, কারস্টেন একাডেমির সঙ্গে চ্যাটসওয়ার্থ ক্রিকেট ক্লাবের সুযোগ-সুবিধার পার্থক্য কেমন? তাইজুল সে পার্থক্যে না গিয়ে বরং কারস্টেন একাডেমিতে অনুশীলনের সুবিধার কথা তুলে ধরেছেন। তাইজুল বলেন, ‘সুযোগ-সুবিধা অনেক ভালো ছিল। আমরা যারা বোলার বা ব্যাটসম্যান ছিলাম, তারা প্রয়োজনীয় কাজ করতে পেরেছি। যার যেটা প্রয়োজন ছিল, সেভাবে কাজ করেছি।’