- বাংলাদেশ একাদশ : অপরিবর্তিত
- অস্ট্রেলিয়া একাদশ : দুই পরিবর্তন
- ফেরার আগে রেকর্ড সাকিবের
- অস্ট্রেলিয়ার লেগস্পিনে ‘সেরা’ সোয়েপসন
- শুরুতেই উইকেট লাগবে, মেহেদীকে ডাকুন!
- সাকিবের এক ওভারে ক্রিস্টিয়ানের ৩০ রান!
স্বাগতম!
অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে প্রথম সিরিজ জয়ের স্বাদ এখনো তাজা। সেটাই হওয়ার কথা। এখনো তো ২৪ ঘন্টাই পেরোয়নি। সে স্বাদ নিয়েই আজ সিরিজের চতুর্থ ম্যাচে খেলতে নামছে বাংলাদেশ দল।
আবহাওয়া আপডেট
গতকাল বৃষ্টির কারণে প্রায় সোয়া এক ঘন্টা দেরীতে শুরু হয়েছিল ম্যাচ। আজ অবশ্য এখন পর্যন্ত আবহাওয়া বেশ ভালো মিরপুরে। নির্ধারিত সময়েই হওয়ার কথা টস।
টস
টানা দ্বিতীয় ম্যাচে টসে জিতলেন মাহমুদউল্লাহ। তৃতীয় ম্যাচের মতো এবারও ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বাংলাদেশ অধিনায়ক।
বাংলাদেশ একাদশ : অপরিবর্তিত
এ ম্যাচেও অপরিবর্তিত আছে বাংলাদেশ একাদশ।
মাহমুদউল্লাহ (অধিনায়ক), সৌম্য সরকার, মোহাম্মদ নাঈম, সাকিব আল হাসান, নুরুল হাসান (উইকেটকিপার), আফিফ হোসেন, শামীম হোসেন, মেহেদী হাসান, মোস্তাফিজুর রহমান, শরীফুল ইসলাম, নাসুম আহমেদ
অস্ট্রেলিয়া একাদশ : দুই পরিবর্তন
আজ দুটি পরিবর্তন অস্ট্রেলিয়া একাদশে। দলে এসেছেন পেসার অ্যান্ড্রু টাই, সিরিজে প্রথমবারের মতো নামছেন লেগস্পিনার মিচেল সোয়েপসন। বিশ্রাম দেওয়া হয়েছে আগের ম্যাচেই অভিষেকে হ্যাটট্রিক করা পেসার নাথান এলিস ও লেগস্পিনার অ্যাডাম জাম্পাকে।
অ্যালেক্স ক্যারি, বেন ম্যাকডারমট, মিচেল মার্শ, ময়জেস হেনরিকেস, ম্যাথু ওয়েড (অধিনায়ক, উইকেটকিপার), অ্যাশটন টার্নার, অ্যাশটন অ্যাগার, ড্যান ক্রিস্টিয়ান, নাথান এলিস, অ্যাডাম জাম্পা, জশ হ্যাজলউড
‘ব্ল্যাক মিরর’
পারফরম্যান্স তেমন নজর কেড়ে না নিলেও সর্বশেষ দুই টি-টোয়েন্টিতে সাকিবের পারফরম্যান্সে অবিশ্বাস্য মিলটা বিস্ময়ে চোখ কপালে তুলতে বাধ্য! নিশ্চিতভাবেই কাকতাল, তবে সিরিজের দ্বিতীয় ও তৃতীয় টি-টোয়েন্টিতে সাকিবের ব্যাট আর বল হাতে পারফরম্যান্সে এতটাই মিল যে, ব্যাপারটাকে ভুতুড়ে মনে হতে পারে!
এমনই অবস্থা যে এই ভুতুড়ে মিলেই রেকর্ড হয়ে গেল!
আলোচনায় মোস্তাফিজ এবং ব্যাটিং
প্রথম ম্যাচে ১৩১ রানের সম্বল নিয়ে জিতে নিজেদের রেকর্ড ভেঙেছিল বাংলাদেশ। তার আগে কখনোই আগে ব্যাটিং করে এত কম রান নিয়ে জেতেনি তারা। তৃতীয় ম্যাচে বাংলাদেশ আগে ব্যাটিং করে করল ১২৭ রান। এবার প্রথম ম্যাচে নিজেদের রেকর্ডটা নতুন করে গড়ল তারা। আজও আগে ব্যাটিং নিয়েছেন মাহমুদউল্লাহ, ব্যাটিং পারফরম্যান্সটা কেমন হবে চতুর্থ ম্যাচে?
ব্যাটিংয়ের সঙ্গে আলোচনায় আছেন মোস্তাফিজুর রহমান। তৃতীয় ম্যাচে ৪ ওভার বোলিং করে দিয়েছেন ৯ রান, ২৪ বলে তাঁর দেওয়া রানসংখ্যা ছিল ‘বাইনারি’- মানে স্রেফ ১ আর ০-এর উপস্থিতি সেখানে। মোস্তাফিজ আগের ম্যাচে উইকেট পাননি। তবে অমন বোলিংয়ের পর উইকেটের আদতে দরকারই পড়ে না! ম্যাচ শেষে অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহও বলেছেন তেমনই- মোস্তাফিজের বোলিং আসলে ৫ উইকেট পাওয়ার চেয়ে কম ছিল না কোনো অংশেই।
দুই চার, এক ছয়
এ সিরিজে এখন পর্যন্ত সেভাবে সুবিধা করতে পারেননি মোহাম্মদ নাঈম। জশ হ্যাজলউডের প্রথম ওভারে আজ মারলেন দুটি চার। প্রথমটি পুল করে, পরেরটি কাট করে।
পরের ওভারে অ্যাশটন টার্নারকে জায়গা বানিয়ে লং-অফ দিয়ে ছয় মেরেছেন সৌম্য সরকার। যদিও সেটি অল্পর জন্য গেছে সেখানে থাকা ফিল্ডারের নাগালের বাইরে দিয়ে।
৩ ওভার শেষে বাংলাদেশের স্কোর ২২, নিশ্চিতভাবেই ভালো শুরুর ইঙ্গিত।
সৌম্যর দুর্দশা চলছেই
২, ০, ২, ৮- চার ম্যাচে সৌম্য সরকারের স্কোর। আজ একটা টার্নারকে একটা ছয় মারলেন ঠিকই, তবে টিকলেন না এরপর বেশীক্ষণ। জশ হ্যাজলউডের শর্ট অফ আ লেংথের বলে পুল করতে গিয়ে খাড়া ওপরের দিকে ক্যাচ তুলেছেন বাংলাদেশ ওপেনার। অ্যালেক্স ক্যারির হাতে ধরা পড়েছেন। ২৪ রানে প্রথম উইকেট হারিয়েছে বাংলাদেশ।
সাকিবকে আউট করার সুযোগ হারাল অস্ট্রেলিয়া
অ্যাশটন অ্যাগারের বলে অফস্টাম্পের দিকে সরে গিয়ে সুইপ করতে গিয়ে মিস করেছিলেন সাকিব আল হাসান। অস্ট্রেলিয়ার জোরাল আবেদনে সাড়া দেননি আম্পায়ার গাজী সোহেল। তবে রিভিউ করেননি ম্যাথু ওয়েড। বল ট্র্যাকিং দেখিয়েছে, রিভিউ নিলে আউট হতে পারতেন সাকিব। তখনও রান করেননি সাকিব।
পাওয়ার প্লে শেষ
সৌম্য সরকার আবারও ফিরেছেন এক অঙ্কেই। মোহাম্মদ নাঈম ইতিবাচক শুরু করেছেন। সাকিব এসেই আউট হতে পারতেন, তবে রিভিউ হারিয়েছে অস্ট্রেলিয়া। পাওয়ার প্লে-তে বাংলাদেশ তুলেছে ১ উইকেটে ৩০ রান।
ভুগছেন সাকিব
আগের দুই ম্যাচেই করেছিলেন ২৬ রান, খেলেছিলেন ১৭টি করে বল। তবে এবার শুরুতেই একবার জীবন পাওয়া সাকিব সুবিধা করতে পারেননি এখনও। ২৩ বল খেলে ফেলেছেন, করেছেন মাত্র ১১ রান। ৯ ওভার শেষে বাংলাদেশের স্কোর ৪৩।
এবং ফিরলেন সাকিব
একটা চার মেরেছিলেন, তবে পরের বলেই সামনে এসে শর্ট বলটা মিস করে আত্মবিশ্বাস যেন আবার নড়বড়ে হয়ে গেল সাকিবের। এরপর শর্ট অফ আ লেংথের বলটা শরীর কাছ থেকে কাট করতে গিয়ে ক্যাচ দিলেন উইকেটের পেছনে। ২৬ বলে ১৫ রান করে ফিরলেন তিনি।
ফিরলেন মাহমুদউল্লাহও
একটু বাড়তি গতির ছিল বলটা। সুইপ করতে যাওয়া মাহমুদউল্লাহ নাগাল পাননি সেটির। মিচেল সোয়েপসনের লেগস্পিনে এলবিডব্লু হয়ে ফিরলেন বাংলাদেশ অধিনায়ক। রিভিউ করারও প্রয়োজন মনে করেননি তিনি।
৭ বলের মাঝে সাকিব ও মাহমুদউল্লাহকে হারিয়ে ফেলল বাংলাদেশ, দলীয় ৫১ রানে।
দুই বল, দুই এলবিডব্লু
মাহমুদউল্লাহ রিভিউ করেননি। নুরুলের উইকেটটি অস্ট্রেলিয়া পেল রিভিউ নিয়ে। মিচেল সোয়েপসনের পরপর দুই বলে এলবিডব্লু হলেন মাহমুদউল্লাহ ও নুরুল। ব্যাকফুটে গিয়ে ভুল করেছেন নুরুল, আম্পায়ার গাজী সোহেল আউট না দিলেও রিভিউয়ে সফল হয়েছে অস্ট্রেলিয়া। ৮ বলের মাঝে সাকিব-মাহমুদউল্লাহ-নুরুলকে হারিয়ে ফেলল বাংলাদেশ। ১১ ওভার শেষে ৫১ রানে নেই ৪ উইকেট।
ফেরার আগে রেকর্ড সাকিবের
টি-টোয়েন্টিতে তামিম ইকবালকে টপকে বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড নিজের করে নিতে সিরিজ শুরুর আগে সাকিবের প্রয়োজন ছিল ৯৮ রান। আজ সে রেকর্ডটা হয়ে গেল তাঁর। ক্রিজে সময়টা ভালো যায়নি, তবে ১৭০৭ রান নিয়ে টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ রান এখন তাঁরই। তামিমের রান ১৭০১। এ দুজনের পর ১৬৩২ রান নিয়ে তিনে আছেন মাহমুদউল্লাহ। টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের হয়ে এক হাজারের ওপর রান আছে আর দুজনের- মুশফিকুর রহিম (১২৮২) ও সৌম্য সরকার (১০৮৯)।
নাঈমকে ‘মুক্তি’ দিলেন সোয়েপসন
অস্ট্রেলিয়া রিভিউ নিয়েছিলেন, তবে মিচেল সোয়েপসনের বলটা সূক্ষ্ণ ব্যবধানে লেগস্টাম্পের বাইরে পড়ায় বেঁচে গিয়েছিলেন নাঈম। অবশ্য ঠিক পরের বলেই নাঈমের উইকেট পেলেন সোয়েপসন। ফুললেংথের বলে স্লগ করতে গিয়েছিলেন নাঈম, তবে নিয়ন্ত্রণ ছিল না তাতে। টপ-এজড হয়েছেন, ম্যাথু ওয়েড সেরেছেন বাকী কাজটা। ৩০ বল ও ২১ রানের ব্যবধানে শেষ ৪ উইকেট হারিয়েছে বাংলাদেশ, এর তিনটিই নিয়েছেন সোয়েপসন।
প্রথম তিন ইনিংসে ৩০, ৯ ও ১ রান করা নাঈম আজ করেছেন ২৮ রান, তবে খেলেছেন ৩৬ বল।
অ্যাগারের শিকার আফিফ
ফুলটসটা ছয় মেরেছিলেন, তবে এরপর লেংথ কমিয়ে আনা বলে আফিফ তুললেন ক্যাচ। অ্যাশটন অ্যাগারের প্রথম শিকার হলেন বাংলাদেশের দ্বিতীয় ম্যাচের নায়ক। ১৭ বলে ২১ রান করেছেন, বাংলাদেশ আরেকটু সময় হয়তো ক্রিজে চাচ্ছিল তাঁকে।
ফিরলেন শামীমও
অ্যান্ড্রু টাইয়ের বলটা থেমে গিয়েছিল একটু ক্রিজে পড়ে। চেক শট খেলতে গিয়ে শর্ট মিডউইকেটে সেটিতেই সহজ ক্যাচে পরিণত হয়েছেন শামীম। ৮৩ রানে ৭ম উইকেট হারিয়েছে বাংলাদেশ।
অস্ট্রেলিয়ার লেগস্পিনে ‘সেরা’ সোয়েপসন
৪ ওভার, ১৩ রান, ৩ উইকেট।
সিরিজে প্রথমবার খেলতে নেমেই ঝলক দেখালেন মিচেল সোয়েপসন। টি-টোয়েন্টিতে অস্ট্রেলিয়ার হয়ে কোনো স্পিন বোলারের এটি যৌথভাবে চতুর্থ সেরা বোলিং ফিগার। তবে তালিকায় সোয়েপসনের ওপরে থাকা দুই স্পিনারই ফিঙ্গার স্পিনার- বাঁহাতি অর্থোডক্স স্পিনার অ্যাশটন অ্যাগার ও অফস্পিনার গ্লেন ম্যাক্সওয়েল।
মেহেদীর ক্যামিও
শট খেলতে মরিয়া মেহেদী হাসান সফল হলেন, তবে ১৬ বলে ২৩ রানেই থামতে হল তাঁকে। অবশ্য তাঁর ক্যামিওতেই একশ পেরিয়েছে বাংলাদেশ। ২ বল বাকী থাকতে আউট হয়েছেন এ ডানহাতি, অ্যান্ড্রু টাইয়ের বলে ক্যাচ দিয়ে।
১০৪ রানেই শেষ বাংলাদেশ
ইনিংসের শেষ বলে ক্যাচ তুললেন শরীফুল ইসলাম। বাংলাদেশের ব্যাটিংয়ের এ দিনের চিত্রটাই এমন।
শুরুতে জশ হ্যাজলউড, মাঝে মিচেল সোয়েপসনের পর শেষদিক অ্যাশটন অ্যাগার, অ্যান্ড্রু টাইয়ের তোপে ১০৪ রানেই থামল বাংলাদেশ। আগে ব্যাটিং নিয়ে বাংলাদেশ খেই হারিয়েছে প্রায় শুরু থেকেই। টপ অর্ডার ব্যর্থ হয়েছে আবারও। মাঝে সাকিব ভুগেছেন। দ্রুত ফিরেছেন মাহমুদউল্লাহ। আফিফ ও শামীম চেষ্টা করেছেন ক্যামিও খেলার, তবে শামীম ও নুরুল হয়েছেন ব্যর্থ।
১৩১ ও ১২৭ রান করেও এর আগে জিতেছে স্বাগতিকরা, তবে এবার তাদের সম্বল আরও কম। আরেকবার বোলারদের ওপর ভরসা করতে হবে মাহমুদউল্লাহকে। তবে চ্যালেঞ্জটা এবার আরও বড়।
শুরুতেই উইকেট লাগবে, মেহেদীকে ডাকুন!
আরেকটি ম্যাচ, আরেকবার প্রথম ব্রেক থ্রু মেহেদী হাসানের। চার ম্যাচে এ নিয়ে তিন বারই বাংলাদেশকে প্রথম ব্রেক থ্রু এনে দিলেন মেহেদী। ইনিংসের প্রথম ওভারেই সফল তিনি।
মেহেদীর সর্বশেষ শিকার ম্যাথু ওয়েড। রাউন্ড দ্য উইকেট থেকে করা বলটা অ্যাঙ্গেল তৈরি করে ঢুকে গেছে ওয়েডের রক্ষণ ভেদ করে। ৩ রানে প্রথম উইকেট হারিয়েছে অস্ট্রেলিয়া। প্রথম ওভারের শেষ বলে অবশ্য একটা চার মেরেছেন তিনে উঠে আসা ড্যান ক্রিস্টিয়ান।
সাকিবের এক ওভারে ক্রিস্টিয়ানের ৩০ রান!
৬, ৬, ৬, ০, ৬, ৬!
ড্যান ক্রিস্টিয়ান মিরপুরে ঝড় তুললেন সাকিবের বলে। এক ওভারে ৫ ছক্কায় সাকিবের ওভারে ক্রিস্টিয়ান তুলেছেন ৩০ রান।
লং অন, ওয়াইড লং অন, মিডউইকেট, মিডউইকেট, লং অন- এ অঞ্চল দিয়ে পাঁচটি ছক্কা মেরেছেন ক্রিস্টিয়ান। সবগুলো বলই পেয়েছিলেন জায়গামতো, একেবারে ব্যাটের সামনে। যে একটি বল মিস করেছেন, সেটিও ফুললেংথেই ছিল। তবে টার্ন করে বেরিয়ে যাওয়া সে বলে ব্যাট লাগাতে পারেননি ক্রিস্টিয়ান।
এই খরুচে ওভার দিয়ে সাকিব ছুঁলেন নিজের রেকর্ডই। এর আগে ২০১৯ সালে রায়ান বার্ল এ মাঠেই সাকিবের এক ওভারে তুলেছিলেন ৩০ রানই। তবে সেবার অবশ্য তিন ছক্কার সঙ্গে হয়েছিল তিনটি চার। ফলে ক্যারিয়ারে এক ওভারে পাঁচটি ছয় সাকিবের ওভারে এল এই প্রথমবার।
টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের সবচেয়ে খরুচে ওভারের রেকর্ডটা অবশ্য মোহাম্মদ সাইফউদ্দিনের। ২০১৭ সালে পচেফস্ট্রুমে ডেভিড মিলার সাইফউদ্দিনের এক ওভারে নিয়েছিলেন ৩১ রান।
এবং দুই উইকেট
পাঁচ ছক্কার ওভারের পরের দুই ওভারে পড়েছে দুই উইকেট। প্রথমে বেন ম্যাকডারমটকে এলবিডব্লু করেছেন নাসুম আহমেদ। ব্যাকফুটে গিয়ে খেলতে চেয়েছিলেন ম্যাকডারমট। পরের ওভার মোস্তাফিজ এসেই সফল হয়েছেন। ফিরিয়েছেন ড্যান ক্রিস্টিয়ানকেই। জায়গা বানিয়ে টেনে মারতে গিয়ে কাভার পয়েন্টে ধরা পড়েছেন ১৫ বলে ৩৯ রান করা ক্রিস্টিয়ান।
রান-আউট হেনরিকেস
মিচেল মার্শের স্ট্রেইট ড্রাইভটা সোজা গিয়েছিল নন-স্ট্রাইক প্রান্তের স্টাম্প বরাবর। তবে তার আগে আঙুল লাগিয়েছেন সাকিব সেটিতে। ক্রিজের বাইরে থাকা মোয়েজেস হেনরিকেসকে ফিরতে হলো তাই রান-আউট হয়ে। জয়ের জন্য এখনও অস্ট্রেলিয়ার প্রয়োজন ৪৫ রান।
লড়াইয়ে ফিরল বাংলাদেশ
মোস্তাফিজের দ্বিতীয় উইকেট! সিমের ওপর হাত ঘুরিয়ে করা স্লোয়ার ঠেকাতে পারেননি অ্যালেক্স ক্যারি। গাজী সোহেলের দেওয়া এলবিডব্লুর সিদ্ধান্ত রিভিউ করেও লাভ হয়নি ক্যারির। ৪৭ রানে দ্বিতীয় উইকেট হারানোর পর ৬৩ রানে ৫ম উইকেট হারাল অস্ট্রেলিয়া!
মার্শকে ফেরালেন মেহেদী
আগের ওভারে মিচেল মার্শের একটা কট-বিহাইন্ড হয়েছিল কি-না, আল্ট্রা-এজের পর সেটি নিয়ে বিতর্ক থাকতে পারে। তবে সেসব বিতর্কের অপেক্ষা করলেন না মেহেদী। মার্শকে করলেন বোল্ড। অফস্টাম্পে ফুললেংথে পড়া বলটা ঢুকে গেছে মার্শের রক্ষণ ভেদ করে। শেষ ১৮ রানে অস্ট্রেলিয়া হারিয়েহচে ৫ উইকেট, নিশ্চিতভাবেই আরও বেশী চাপে পড়ে গেছে তারা।
চাপে অস্ট্রেলিয়া
সাকিবের এক ওভারে ক্রিস্টিয়ানের সেই পাঁচ ছক্কার পর হয়েছে ৯ ওভার। এ ৫৪ বলে অস্ট্রেলিয়া তুলেছে ২৮ রান, হারিয়েছে ৫ উইকেট। শেষ ৪২ বলে এখন তাদের প্রয়োজন ৩২ রান।
একটু স্বস্তিতে অস্ট্রেলিয়া
নাসুমকে স্লগ সুইপে ছয় মেরেছেন অ্যাশটন অ্যাগার। একটু স্বস্তি পেয়েছে অস্ট্রেলিয়া। মাঝে মাহমুদউল্লাহ করেছেন এক ওভার। সাকিবের করা সর্বশেষ ওভারে হয়েছে আরেকটি চার। জয়ের জন্য এখন ১৩ রান প্রয়োজন অস্ট্রেলিয়ার।
আরও কাছে অস্ট্রেলিয়া
১৭তম ওভারে এসে অ্যাগারকে অস্বস্তিতে ফেলেছেন মোস্তাফিজ, তবে তাঁর বিপক্ষে অ্যাগার-টার্নার ছিলেন সতর্ক। এ ওভারে এসেছে ৩ রান, শেষ ১৮ বলে অস্ট্রেলিয়ার প্রয়োজন ১০ রান।
শামীম হোসেন!
উইকেটটা আদতে শামীম হোসেনেরই! মিড-অনে উড়ন্ত শামীমের হাতে ধরা পড়েই তো ফিরলেন অ্যাশটন অ্যাগার। ফুললেংথের বলটা টেনে মেরেছিলেন, বৃত্তের ভেতরে থাকা ফিল্ডারকে প্রায় পার করে ফেলেছিলেন। তবে ডানদিকে ঝাঁপিয়ে দুর্দান্ত ক্যাচ নিলেন শামীম।
নাটকীয় ধস সামলে প্রথম জয় অস্ট্রেলিয়ার
সম্বল যখন মাত্র ১০৪ রান, তখন লড়াই করাটাই অনেক বড় ব্যাপার। তবে মিরপুরের শেরেবাংলা স্টেডিয়ামের এ উইকেটে, এ কন্ডিশনে অস্ট্রেলিয়ান ব্যাটসম্যানের দুর্দশার ব্যাপারটাই হয়তো ম্যাচের মাঝপথে একমাত্র আশা ছিল বাংলাদেশের। তবে ড্যান ক্রিস্টিয়ানের ঝড়, মাঝে অস্ট্রেলিয়ার নাটকীয় ধস পেরিয়ে শেষ পর্যন্ত সিরিজে প্রথম জয়ের স্বাদ পেল অস্ট্রেলিয়া। চতুর্থ ম্যাচে এসে প্রথম জয়ে সম্ভাব্য ধবলধোলাই-ও আটকাল সফরকারীরা। ৬ বল ও ৩ উইকেট বাকী রেখে তারা পেরিয়ে গেছে বাংলাদেশের স্কোর।
এদিনও শুরুতেই উইকেট হারিয়ে চাপে পড়েছিল অস্ট্রেলিয়া। তবে চতুর্থ ওভারে সাকিবের ওপর ঝড় বইয়ে দিয়েছিলেন ক্রিস্টিয়ান। মেরেছিলেন ৫ ছয়। তবে এরপরই যেন আবার থমকে গেল অস্ট্রেলিয়া। পরের ৯ ওভারে মাত্র ২৮ রান তুলতেই অস্ট্রেলিয়া হারিয়েছিল ৫ উইকেট। বেশ ভালোভাবেই লড়াইয়ে ফিরেছিল বাংলাদেশ।
অবশ্য ১০৪ রানের পুঁজি মানে একটা ছোটখাট ইনিংসেই শেষ হয়ে যেতে পারে সব। অ্যাশটন অ্যাগারের সমানসংখ্যক বলে ২৭ রানের ইনিংস করল সে কাজটিই। শেষদিকে শামীম হোসেনের দুর্দান্ত ক্যাচে অ্যাগার ফিরলেও ততক্ষণে বেশ দেরীই হয়ে গেছে বাংলাদেশের।
মোস্তাফিজ এদিনও ছিলেন দারুণ, ৪ ওভারে আজও ৯ রান দিয়েছেন তিনি। নিয়েছেন ২ উইকেট। তবে ৪ ওভারে ৫০ রান দিয়ে উইকেটশূন্য থেকেছেন সাকিব, ক্যারিয়ারে সবচেয়ে বাজে বোলিং ফিগার তাঁর এটিই। সাকিব ছাড়া অন্য দুই নিয়মিত স্পিনার অবশ্য করেছেন আঁটসাঁট বোলিং। মেহেদী ও নাসুম- দুজনই ৪ ওভারে দিয়েছেন ১৭ করে রান। মেহেদী উইকেট নিয়েছেন দুটি, নাসুম একটি।
তবে সম্বল যখন ১০৪ রান, তখন যথেষ্ট হয়নি সেসব।