১৪১ রানে পিছিয়ে থেকে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিংয়ে নেমেই মহা বিপর্যয়ে পড়েছে বাংলাদেশ। প্রথম ইনিংসে ২৪ রানে ৪ উইকেট পড়েছিল, এবার ৪ উইকেট পড়েছে আরও ১ রান কমে। ২৩ রানে ৪ উইকেট পড়ে যাওয়ার পর প্রথম ইনিংসের মতো আবার বাংলাদেশকে উদ্ধার করার দায়িত্ব পড়েছে মুশফিকুর রহিম ও লিটন দাসের ওপর। দিনের বাকি সময়টা পার করে দিয়েছেন তাঁরা দুজন। তবে বাংলাদেশ এখনো ১০৭ রান পিছিয়ে থাকায় এই টেস্ট বাঁচাতে আরও অনেক কিছু করতে হবে তাঁদের।
বাংলাদেশের ইনিংসে প্রথম উইকেট পড়েছে ষষ্ঠ ওভারে, স্কোরবোর্ডে রান তখন ১৫। প্রথম ১০ বলে কোনো রান করতে না পারা তামিম ইকবাল আউটই হয়েছেন ১১তম বলে। সেটিও কোনো রান করার আগেই। প্রথম ইনিংসেও শূন্য রানে আউট হয়েছিলেন বাংলাদেশের বাঁহাতি ওপেনার। তামিমের ক্যারিয়ারে এটি প্রথম ’পেয়ার’।
১৯ রানে দ্বিতীয় উইকেট পড়েছে নাজমুল হোসেনের রান আউটের মাধ্যমে। একই স্কোরে কট বিহাইন্ড হয়ে ফিরেছেন মুমিনুল। দ্বিতীয় বলেই শূন্য রানে বিদায় বাংলাদেশ অধিনায়কের ফর্ম নিয়ে প্রশ্নটাকে আরও বড় করে তুলেছে। অন্য প্রান্তে দাঁড়িয়ে তিনটি উইকেটের পতন দেখেছেন মাহমুদুল হাসান। তিনিও আত্মসমর্পণ করেছেন আসিথা ফার্নান্দোর লাফিয়ে ওঠা একটি বলে স্লিপে ক্যাচ দেওয়ার মাধ্যমে। দিনশেষে মুশফিকুর রহিম ১৫ রানে ও লিটন দাস ১ রানে অপরাজিত আছেন।
এর আগে বাংলাদেশের ৩৬৫ রানের জবাবে অ্যাঞ্জেলো ম্যাথুস আর দিনেশ চান্ডিমালের শতকে নিজেদের প্রথম ইনিংসে ৫০৬ রান করে শ্রীলঙ্কা।