সাকিব আল হাসানকে ৫ লাখ টাকা জরিমানা ও ৩ ম্যাচের বহিষ্কারাদেশ দিয়েছেন ম্যাচ রেফারি। সাকিবও সে শাস্তি মেনে নিয়েছেন। এ ঘটনায় তাই আর কোনো শুনানি হবে না। একটু আগে গুলশানে বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসানের বাসভবনে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে সিসিডিএম প্রধান কাজী ইনাম আহমেদ এই শাস্তির কথা জানান।
সাকিবের শাস্তি ঘোষনা নিয়ে এর আগে এক দফা নাটকই হয়ে গেছে। সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় ধানমন্ডিতে সংবাদ সম্মেলন ডেকেছিলেন বিসিবির সিসিডিএম প্রধান কাজী ইনাম আহমেদ। কিন্তু ৭টা বাজার একটু আগেই সে সংবাদ সম্মেলন বাতিল করা হয়।
একই ম্যাচে লেভেল-৩ পর্যায়ের অপরাধ দ্বিতীয়বার করলে সেটির শাস্তি ২ থেকে ৫ ম্যাচের বহিষ্কারাদেশ ও জরিমানা কমপক্ষে ২৫ হাজার টাকা।
আজ দুপুরের পর ম্যাচ রেফারি মোরশেদুল আলমের পাঠানো শাস্তির নোটিশ হাতে পান ওয়েস্টিন হোটেলে থাকা সাকিব। চিঠিতে সাকিবের বিরুদ্ধে লেভেল-৩ পর্যায়ের আচরণবিধি ভাঙার অভিযোগ এনে তাঁকে ৫ লাখ টাকা জরিমানা ও ৩ ম্যাচের বহিষ্কারাদেশ দিয়েছেন ম্যাচ রেফারি।
সাকিব অপরাধ স্বীকার করে নিয়ে চিঠিতে স্বাক্ষর করে দেওয়ায় এই শাস্তিই বহাল থাকবে। শাস্তির ব্যাপারে আপত্তি থাকলে শুনানিতে ডাকা হতো তাঁকে।
নিয়ম অনুযায়ী লেভেল–৩ পর্যায়ের অসদাচরণ প্রথমবার করলে শাস্তির বিধান আছে কমপক্ষে ১ ম্যাচ থেকে সর্বোচ্চ ২ ম্যাচের বহিষ্কারাদেশ ও কমপক্ষে ২৫ হাজার টাকা জরিমানা। একই লিগে বা টুর্নামেন্টে লেভেল-৩ পর্যায়ের অপরাধ দ্বিতীয়বার করলে সেটির শাস্তি ২ থেকে ৫ ম্যাচের বহিষ্কারাদেশ ও জরিমানা কমপক্ষে ২৫ হাজার টাকা। দুই অপরাধের জন্যই ন্যূনতম ম্যাচে বহিষ্কার করা হয়েছে সাকিবকে। প্রথম অপরাধের জন্য ১ ম্যাচ ও দ্বিতীয় অপরাধের জন্য ২ ম্যাচ।
পরশু মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে আবাহনীর বিপক্ষে মোহামেডান অধিনায়ক সাকিব যেহেতু দুই বার এই আচরণবিধি ভঙ্গ করেছেন, তাঁকে শাস্তিও দেওয়া হয়েছে সেভাবে।
এর আগে প্রথম আলোকে মোহামেডান ক্লাবের এক কর্মকর্তা জানিয়েছিলেন, সাকিবকে চার ম্যাচের জন্য বহিষ্কার করা হতে পারে। গতকাল প্রিমিয়ার লিগে আবাহনীর বিপক্ষে ম্যাচে আম্পায়ারের সিদ্ধান্ত মানতে না পেরে স্টাম্পে লাথি মারেন সাকিব। পরে আরেকবার স্টাম্প উপড়ে ছুড়ে ফেলেন মাঠে। পরে অবশ্য ম্যাচটা জিতেছে সাকিবের মোহামেডানই।