মুমিনুলের টেস্ট জয়ের অস্ত্রের নাম ‘গতি’
দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে ওয়ানডে সিরিজে সাফল্য এসেছে পেস বোলারদের হাত ধরে। টেস্ট অধিনায়ক মুমিনুল হকের আশা, টেস্টেও গতি দিয়ে স্বাগতিক দক্ষিণ আফ্রিকাকে কাঁপিয়ে দেবে বাংলাদেশ।
ওয়ানডে সিরিজে তাসকিন আহমেদ ৮ উইকেট নিয়ে সিরিজের সেরা খেলোয়াড় নির্বাচিত হয়েছেন। শরীফুল ইসলাম ৩ ম্যাচে উইকেট ৩টি পেয়েছেন, তবে নজর বেশি কেড়েছে নতুন বলে তাঁর ধারাবাহিকতা। দুজনই ওয়ানডের ধকল শেষে এখন লাল বলের চ্যালেঞ্জের জন্য প্রস্তুত।
তাসকিন-শরীফুলের সঙ্গে টেস্ট দলে নিয়মিত ইবাদত হোসেন তো আছেনই। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে মাউন্ট মঙ্গানুই টেস্টে ৪৬ রানে ৬ উইকেট নেওয়া ইবাদতের কাছে দক্ষিণ আফ্রিকায়ও জাদুকরি কিছুর প্রত্যাশা থাকবে দলের।
মুমিনুলের আশা, তিন পেসারই যথেষ্ট বিশ্রাম পেয়ে প্রোটিয়া চ্যালেঞ্জের জন্য প্রস্তুত। আজ সিরিজ–পূর্ব সংবাদ সম্মেলনে মুমিনুলের কাছে পেসারদের বর্তমান অবস্থা সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘পেসারদের কয়েকজন ওয়ানডে খেলেছে। গত কিছুদিন সেভাবে বিশ্রাম নিয়েছে। শক্তি ফিরে পেয়েছে। বেশ ফুরফুরে মেজাজে আছে। আমার চোখে, ওরা সবাই শারীরিক ও মানসিক দুই দিক থেকেই ভালো আছে।’
দেশের বাইরে টেস্ট জিততে হলে পেসারদের যে বাড়তি দায়িত্ব নিতে হবে, সেটিও উল্লেখ করলেন টেস্ট অধিনায়ক, ‘বিদেশের মাটিতে টেস্ট সিরিজ জিততে হলে পেস বোলাররা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। পেসাররা যদি ভালো জায়গায় বল করে, তাহলে আমরা ভালো করতে পারব। ওদের ভূমিকাটা অনেক গুরুত্বপূর্ণ।’
ডারবানের উইকেটও পেসারদের হয়ে কথা বলবে বলে ধারণা মুমিনুলের। পেসাররা প্রক্রিয়া মেনে বোলিং করলে ভালো করবেন বলেই মুমিনুলের বিশ্বাস, ‘সবাই জানেন, উইকেট পেসবান্ধব। অমনই হবে বলে মনে হয়। ঠিক জায়গায়, প্রক্রিয়ায় বল করা—আমার কাছে এটাই বড় ব্যাপার। প্রক্রিয়া অনুযায়ী বল করাটা এখানে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।’
ব্যাটসম্যানদের জন্যও ডারবানের উইকেটে রান আছে। তবে রান পেতে হলে কিছু শর্ত মানতে হবে ব্যাটসম্যানদের। মুমিনুল সে কথাই বলছিলেন, ‘এখানে রান করা সম্ভব। কন্ডিশন অনুযায়ী রান করতে হবে। নিউজিল্যান্ডে ক্রাইস্টচার্চ ও মাউন্ট মঙ্গানুইতেও কিন্তু রান হয়। কিন্তু পেস বোলাররা উইকেটটা বেশি পাবে।’