নেটে দেড় ঘণ্টার আলাদা অনুশীলন কোহলির, বাকিটা ইতিহাস
অবশেষে দারুণ এক ইনিংসে নিজেকে ফিরে পেলেন বিরাট কোহলি। আইপিএলে গতকাল গুজরাট টাইটানসের বিপক্ষে ৫৪ বলে ৭৩ রানের দুর্দান্ত ইনিংসের পর কোহলি বলেছেন, দলের জন্য অবদান রাখতে না পারাই কেবল নয়, নিজের প্রত্যাশা অনুযায়ী খেলতে না পারাটাও তাঁকে পীড়া দিচ্ছিল এত দিন। কাল কোহলির ইনিংসেই গুজরাটকে হারিয়ে প্লে-অফের আশা বাঁচিয়ে রেখেছে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু।
ফর্মে ফেরার ইনিংস খেলার পর কোহলির কণ্ঠে ঝরেছে স্বস্তি, ‘ম্যাচটা আমাদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ ছিল। আমার হতাশা ছিল যে এবারের টুর্নামেন্টে দলের প্রয়োজনে আমি তেমন কিছুই করতে পারছিলাম না। এটা আমাকে পীড়া দিচ্ছিল। আমি কখনোই আমার পরিসংখ্যান নিয়ে ভাবি না। দলের জন্য অবদান রাখতে না পারাটাই ছিল আমার কষ্ট। আজকের ম্যাচে অবশেষে আমি দলের জন্য ভূমিকা রাখতে পেরেছি। দলকে একটা ভালো জায়গায় পৌঁছে দিতে পেরেছি।’
তাঁর কাছে সবার ভালো কিছুর প্রত্যাশাই থাকে। এ জন্য নিজের দৃষ্টিভঙ্গি ঠিক রাখা খুবই গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে হচ্ছে কোহলির, ‘যেহেতু বড় সময় ধরে ভালো করেছি, তাই একটা প্রত্যাশা তো থাকেই। কিন্তু এ জন্য দৃষ্টিভঙ্গি ঠিক রাখা জরুরি। প্রত্যাশামাফিক খেলতে গিয়ে নিজের ব্যাটিংয়ের প্রক্রিয়াটা ঠিক রাখা জরুরি। অনেক সময় প্রত্যাশার চাপে সেটি এলোমেলো হয়ে যায়।’
এই ম্যাচের আগে নিজের আলাদা চেষ্টা ছিল বলেও জানিয়েছেন কোহলি। গত বুধবার তিনি বেঙ্গালুরুর অনুশীলন সেশনে দেড় ঘণ্টা আলাদা করে ব্যাটিং অনুশীলন করেছেন, ‘আমি পরিশ্রম করেছি। বুধবার নেটে দেড় ঘণ্টা আলাদা করে ব্যাটিং অনুশীলন করেছি। ম্যাচে সে কারণে আমি খুব নির্ভার হয়ে খেলতে পেরেছি।’
মোহাম্মদ শামির একটি বলেই নিজের আত্মবিশ্বাস ফিরে পান বলে দাবি করেছেন কোহলি, ‘শামির বলে প্রথম শটটাই আমার আত্মবিশ্বাস ফিরিয়ে দিয়েছিল। আমার মনে হয়েছে আজই সেই রাত, আমি আজই ভালো করতে পারি। তবে আমি প্রচুর সমর্থন পেয়েছি। এই বাজে সময়ও মানুষের এত ভালোবাসা পেয়েছি, যেটি আগে কখনো পাইনি।’