দিল্লি ক্যাপিটালসের দেওয়া ১৫৮ রানের লক্ষ্য ছুঁতে ব্যর্থ হয় কিংস ইলেভেন পাঞ্জাব। শেষ পর্যন্ত ম্যাচ গড়ায় সুপার ওভারে। সেখানেও ব্যর্থ কিংস ইলেভেন পাঞ্জাব।
কিংস ইলেভেন পাঞ্জাবের বিপক্ষে দিল্লি ক্যাপিটালসের শুরুটা হয়েছিল নড়বড়ে। চার ওভারে ১৩ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে কাঁপতে থাকা দিল্লি শেষ পর্যন্ত ৮ উইকেটে করে ১৫৭ রান। রোববার দুবাইয়ে শুরুতে ব্যাট করতে নামা দিল্লি ওপেনার শিখর ধাওয়ানকে হারায় ৬ রানের মাথায়। এরপর মোহাম্মদ শামির এক ওভারে জোড়া আঘাতের শিকার হন পৃথ্বি শ (৫) ও শিমরন হেটমায়ার (৭)। চতুর্থ উইকেট জুটিতে শ্রেয়াস (৩৯) ও ঋষভ পন্ত (৩১) ৭৩ রান যোগ না করলে ১৫০ পার করতেই কষ্ট হত দিল্লির। পরপর দুই বলে এই জুটি বিদায় নিলে মার্কাস স্টয়নিসের ঝোড়ো ইনিংস দিল্লিকে ১৫০ পার করতে সাহায্য করেন। দিল্লির অস্ট্রেলীয় এই অলরাউন্ডার ২১ বলে ৫৩ রান করেন।
দিল্লির দেওয়া ১৫৮ রানের লক্ষ্য তাড়া করা কোনো ব্যাপারই ছিল না কিংস ইলেভেন পাঞ্জাবের জন্য। জবাব দিতে নেমে তাদের শুরুটা যেমন হয়েছিল এই কথা অন্তত বলাই যায়। পাঞ্জাবের দুই ওপেনার কেএল রাহুল ও আগরওয়াল শুরুটা করেছেন ভালো। কিন্তু দলের রান ৩০ পার হতেই পাঞ্জাবের ব্যাটিং লাইনআপ হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ে। দলের ৩০ রানের মাথায় কেএল রাহুল (২১) বিদায় নেওয়ার পর কারুন নাইরকে হারায় পাঞ্জাব। পাঞ্জাবের এই টপ অর্ডার ১ রান করেই সাজঘরে ফেরেন। দলের সংগ্রহ তখন ২ উইকেট হারিয়ে ৩৩ রান। দলের খাতায় ১ রান যোগ হতেই নিকোলাস পুরান ফেরেন শূন্য হাতে। এক প্রান্ত আঁকড়ে থেকে ওপেনার আগরওয়াল ৬০ বলে ৮৯ রানের দুর্দান্ত ইনিংস খেলেন ঠিকই কিন্তু দলকে জয় উপহার দিতে পারেননি। তবু দলকে নিয়ে যান জয়ের ঠিক কাছাকাছি। ২০তম ওভারে জিততে হলে পাঞ্জাবের প্রয়োজন পড়ে ১৩ রানের। সেই টার্গেট আগরওয়াল নামিয়ে আনেন ৩ বলে ১ রানের টার্গেটে। শেষ ওভারের এক বল আগে স্টয়নিসের শিকার হন আগরওয়াল। জয়ের জন্য শেষ বলে ১ রান নিতে ব্যর্থ হন জর্ডান।
দুই দলের রান সমান হওয়ায় ম্যাচ গড়ায় সুপার ওভারে। সুপার ওভারে রাবাদার জোড়া আঘাতে দিল্লির লক্ষ্য দাঁড়ায় মাত্র ৩ রান। রাবাদা বাউন্সারে প্রথম শিকার করেন কেএল রাহুলকে। এরপর তার শিকারে পরিণত হয় নিকোলাস পুরান। পাঞ্জাবের দেওয়া ৩ রান তুলতে কোনো সমস্যা হয়নি দিল্লির।