চলে গেলেন 'থ্রি ডব্লিউজ'দের শেষ কিংবদন্তি উইকস
থ্রি ডব্লিউজ'-এর মধ্যে সবচেয়ে বড় স্যার ফ্রাঙ্ক ওরেল ফিরেছেন সবার আগে (১৯৬৭)। ১৪ বছর আগে তাঁর সঙ্গে যোগ দেন কণিষ্ঠতম স্যার ক্লাইড ওয়ালকট। মেজ সদস্য স্যার এভারটন উইকসের জীবনের উইকেট থেকে ফেরার সময় হলো আজ। ৯৫ বছর বয়সে মারা গেছেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের কিংবদন্তি উইকস।
টেস্টে টানা পাঁচ ইনিংসে সেঞ্চুরির রেকর্ড গড়া উইকস বাধ্যর্কজনিত সমস্যায় ভুগছিলেন। গত বছর হ্যার্ট অ্যাটাকের পর তাঁকে নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছিল। ব্রিজটাউনে 'থ্রি ডব্লিউজ' ওভালে সমাহিত আছেন ওরেল ও ওয়ালকট। সেখানে উইকসকে সমাহিত করা হবে কি না পরিবার থেকে নিশ্চিত করা হয়নি। তবে উইকসের জন্য জায়গা রাখা আছে থ্রি ডব্লিউজ ওভালে।
টুইটারে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট বোর্ডের শোকবার্তায় বলা হয়, 'একজন আইকন হারিয়ে আমাদের হৃদয় শোকাতুর। একজন কিংবদন্তি, আমাদের নায়ক, স্যার এভারটন উইকস। তার পরিবার, বন্ধুবর্গ এবং বিশ্বজুড়ে অসংখ্য ভক্তের প্রতি সহমর্মিতা জানাই আমরা।'
ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে ৪৮ টেস্টে ৫৮.৬১ গড়ে, ৪ হাজার ৪৫৫ রান করেছিলেন উইকস। ১৫ সেঞ্চুরি করেছিলেন তিনি। ১৯৪৮ সালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ২৩ বছর বয়সে অভিষিক্ত হন তিনি। সে বছরই ইংল্যান্ড ও ভারত মিলিয়ে টানা পাঁচ ইনিংসে সেঞ্চুরির রেকর্ড গড়েন উইকস। পরের ইনিংসে ৯০ রানে অপরাজিত থাকতে রান আউট হন আম্পায়ারের ভুলে।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের ব্যাটিংয়ে বিখ্যাত ওরেল, ওয়ালকট ও উইকসকে একসঙ্গে 'থ্রি ডব্লিউজ' ডাকা হতো।মিডলঅর্ডারে ব্যাটিং সে সময় পাল্টে দিয়েছিল ক্যারিবীয়ান ক্রিকেটের মুখ। এই তিন কিংবদন্তির মধ্যে ব্যাটসম্যান হিসেবে সেরা ছিলেন উইকস। বার্বাডোজে তাঁদের জন্ম ১৮ মাসের ব্যবধানে। ১৯২৪ সালে জন্ম ওরেলের, উইকস জন্মেছিলেন ১৯২৫ সালে এবং পরের বছর জন্মান ওয়ালকট। প্রায় পাশাপাশি বসত করত তাঁদের পরিবার। ১৯৪৮ সালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে এক সিরিজে অভিষেক এই তিন কিংবদন্তির।
টেস্টে মাত্র ১২ ইনিংসে ১ হাজার রান পার করেছেন উইকস। ১৯৫৮ সালে পাকিস্তানের বিপক্ষে শেষ টেস্ট খেলেন তিনি। তিন ডব্লিউজ-এর মধ্যে 'নাইট' খেতাব পান সবার শেষে (১৯৯৫)। উইকসের ছেলে ডেভিড মারে ১৯ টেস্ট খেলেছেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে।