কোহলি ‘আধুনিক সময়ের ভিভ রিচার্ডস’
চুইংগাম চিবোতে চিবোতে তিনি মাঠে নামেন না। চাহনিতেও বোলারদের উড়িয়ে দেওয়ার রেখাপাত ঘটে না। ২২ গজে ব্যাটিংয়ের সময় হাঁটা–চলার মধ্যেও রাজকীয় ভাবটা সেভাবে চোখে পড়ে না। বিরাট কোহলি তবু রমিজ রাজার চোখে ‘আধুনিক সময়ের ভিভ রিচার্ডস।’
এর কারণ বোধ হয় আগ্রাসন। ওয়েস্ট ইন্ডিজ কিংবদন্তির সঙ্গে এই একটি জায়গায় বেশ মিল ভারতের অধিনায়কের। কোহলি শুধু ব্যাটিংয়ে নয়, মাঠে যতক্ষণ থাকেন, পুরো সময়ই আগ্রাসী। ব্যাটিংয়ের সময় তা বেশি করে দেখা গেছে ভারত–ইংল্যান্ড টি–টোয়েন্টি সিরিজের তৃতীয় ম্যাচে। বাকিরা সেভাবে সঙ্গ দিতে না পারলেও একাই ভারতের ইনিংস টেনেছেন কোহলি, সেটিও রাজকীয় ঢংয়ে। ইংল্যান্ডের কোনো বোলারকে এতটুকু পাত্তা দেননি। শট খেলেছেন উইকেটের চারপাশে। ৪৬ বলে কোহলির অপরাজিত ৭৭ রানের ইনিংসটি অনেকের চোখেই হিরণ্ময় হয়ে থাকবে।
দ্বিতীয় ম্যাচেও এমন ব্যাট করেছেন কোহলি। ৪৯ বলে অপরাজিত ৭৩ রানের ইনিংসটি ভারতের জয়ে দারুণ ভূমিকা রেখেছিল। কাল চতুর্থ ও শেষ ম্যাচে অবশ্য হাসেনি কোহলির ব্যাট। ১ রান করে আউট হলেও ৮ উইকেটের জয়ে পাঁচ ম্যাচ সিরিজে ২–২ ব্যবধানে সমতায় ফিরেছে ভারত। তবে সিরিজের দ্বিতীয় ও তৃতীয় ম্যাচে কোহলি যেভাবে ব্যাট করেছেন, তাতে পাকিস্তানের সাবেক ক্রিকেটার, ধারাভাষ্যকার রমিজ রাজা ভূয়সী প্রশংসা করেছেন তাঁর।
রমিজ রাজা মনে করেন, ঈশান কিষান ও সূর্যকুমার যাদবের মতো তরুণেরা ভাগ্যবান। কারণ, তাঁরা ব্যাটিংয়ের সময় অন্য প্রান্তে কোহলির মতো কাউকে পেয়ে থাকেন। ইউটিউব চ্যানেলে রমিজ বলেন, ‘সে (ঈশান কিষান) কোহলির সঙ্গে জুটি গড়তে পেরে ভাগ্যবান। কারণ, কোহলি আধুনিক সময়ের কিংবদন্তি, আমার চোখে আধুনিক সময়ের ভিভ রিচার্ডস। ঈশান এতে অনেক আত্মবিশ্বাস পেয়েছে, তার ক্যারিয়ারে এই অভিজ্ঞতা অনেক কাজে লাগবে।’
সিরিজে দ্বিতীয় ম্যাচে টি–টোয়েন্টি অভিষেকে ৩২ বলে ৫৬ রান করেছিলেন ঈশান। কোহলির সঙ্গে তাঁর ৫৬ বলে ৯৪ রানের জুটিটি ছিল ভারতের ৭ উইকেটে জয়ের ভিত। ঈশানের প্রশংসা করে রমিজ বলেন, ‘ঈশানের ভবিষ্যৎ উজ্জ্বল। অসাধারণ পাওয়ার হিটার। উচ্চতায় খাটো হলেও বলে দুর্দান্ত টাইমিং। অফ সাইড ও লেগ সাইডে শট খেলতে পারে, ছক্কা মারে।’
তরুণ ব্যাটসম্যানকে কোহলির সমর্থন দেওয়া প্রসঙ্গে রমিজের ব্যাখ্যা, ‘সে স্বাধীনতা নিয়ে ব্যাট করেছে, অন্য প্রান্ত থেকে কোহলি তার প্রতিটি শটে হাততালি দিয়েছে। খেলার গতি পাল্টে চার–ছক্কা মারার ছাড়পত্র পেয়েছিল সে। এর মধ্য দিয়ে বেড়ে ওঠাটা দারুণ ব্যাপার।’