আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ফেরাতে ২১৭ কোটি রুপি ব্যয় পাকিস্তানের
অবশেষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ফিরেছে পাকিস্তানে। জিম্বাবুয়ে, শ্রীলঙ্কা ও বাংলাদেশকে দিয়ে শুরু হয়েছিল, দক্ষিণ আফ্রিকাও ঘুরে এসেছে পাকিস্তান। এসব ব্যাপারে নাক উঁচু অস্ট্রেলিয়াও কদিন আগেই পূর্ণাঙ্গ সফর করে এসেছে। ইংল্যান্ড-নিউজিল্যান্ডও খুব শিগগির পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের (পিসিবি) আতিথ্য নেবে।
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে দেশে ফেরাতে সর্বাত্মক চেষ্টা চালিয়েছে পিসিবি। এ জন্য তাই ব্যয়টা অনেক বেশি করতে হয়েছে তাদের। শুধু নিরাপত্তার জন্য সামরিক ও আধা সামরিক বাহিনীর জন্য ৮১ কোটি ৩০ লাখ পাকিস্তানি রুপি খরচ করেছে পাঞ্জাব রাজ্য সরকার।
ঘরের মাঠে পাকিস্তান সুপার লিগ (পিএসএল) আয়োজন করেই আন্তর্জাতিক অঙ্গনের তারকাদের দেশে টেনেছে পাকিস্তান। পিএসএলে বিদেশি তারকাদের অভিজ্ঞতাকে পুঁজি করে তারা আন্তর্জাতিক ক্রিকেটও ফেরাতে সক্ষম হয়েছে। কিন্তু সেটা নিশ্চিত করতে পাঞ্জাব সরকার ২১৭ কোটি পাকিস্তানি রুপি খরচ করেছে।
ক্রিকেট পাকিস্তান জানাচ্ছে, শুধু অস্ট্রেলিয়া সিরিজে লাহোর অংশের জন্য নিরাপত্তা বাতি, নিরাপত্তা টাওয়ার, জেনারেটরের তার ও জ্বালানি, যানবাহন, নিরাপত্তা ক্যামেরা, গেট, তাঁবু, চেয়ার, খাবার এবং নাশতার ব্যবস্থা করতেই ৩৩ কোটি রুপি খরচ হয়েছে। রাওয়ালপিন্ডি টেস্টে এই ব্যবস্থাগুলোর জন্য খরচ হয়েছে ৫ কোটি রুপি। ওদিকে টি-টোয়েন্টি ও ওয়ানডে সিরিজের জন্য খরচ হয়েছে আরও প্রায় ১০ কোটি রুপি।
পাঞ্জাব সরকারের ব্যয় নথিতে আরও দেখা গেছে, পিএসএলের লাহোর অংশের জন্য ৫০ কোটি রুপি খরচ করেছে পাঞ্জাব সরকার। ২০২১ সালে বিশ্বকাপের আগে সিরিজ খেলতে গিয়েও না খেলে পাকিস্তান ছেড়েছিল নিউজিল্যান্ড। সেই সিরিজ ও সে সঙ্গে জাতীয় টি-টোয়েন্টি সিরিজ আয়োজন করতে ৩ কোটি রুপি ব্যয় করেছে পাঞ্জাব সরকার। আর দক্ষিণ আফ্রিকা দলকে আতিথ্য দিতে ব্যয় করেছে ১১ কোটি রুপি।
এই খরচের বিরাট একটি অংশ নিরাপত্তা নিশ্চিত করার স্বার্থেই ব্যয় করেছে পাকিস্তান। শুধু দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজে অতিথিদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার কাজে পাকিস্তানের সেনাবাহিনীর সৈন্য মোতায়েন করতে ৬ কোটি ৬০ লাখ রুপি খরচ করেছে পাঞ্জাব সরকার। ওদিকে ২০২১ সাল থেকে এ পর্যন্ত ক্রিকেট–সংশ্লিষ্ট সব আয়োজনে আধা সামরিক বাহিনী পাকিস্তান রেঞ্জারসের সাহায্য নিয়েছে পাঞ্জাব সরকার। এই খাতে তাদের ব্যয় ৭৪ কোটি ৭০ লাখ রুপি।