আইপিএলের পর বিশ্বকাপ জয়ের আশা পান্ডিয়ার
আইপিএলে প্রথম চ্যাম্পিয়ন রাজস্থান রয়্যালসকে হারিয়ে অভিষেকেই শিরোপা ঘরে তুলল নবাগত গুজরাট টাইটানস। আর এ শিরোপা জয়ে সামনে থেকে নেতৃত্ব দেন গুজরাট অধিনায়ক হার্দিক পান্ডিয়া।
টুর্নামেন্টজুড়ে তাঁর অলরাউন্ডিং পারফরম্যান্স পূর্ণতা পেয়েছে আহমেদাবাদের ফাইনালে। রোববার ঘরের মাঠ নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামে ফাইনালে রাজস্থান রয়্যালসকে সাত উইকেটে হারিয়ে বাজিমাত করে গুজরাট। এ জয়ে ব্যাটে-বলে অবদান রেখে ম্যাচসেরা হন অধিনায়ক পান্ডিয়া। বল হাতে ১৭ রানে নেন ৩ উইকেট। ব্যাটিংয়ে খেলেছেন ৩০ বলে ৩৪ রানের ইনিংস।
দীর্ঘদিনের পিঠের চোটের সঙ্গে লড়ে নতুন রূপে ফিরেছেন ভারতীয় অলরাউন্ডার। আইপিএলে শিরোপা জয়ের পর এবার ভারতের হয়ে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জেতার লক্ষ্য ২৮ বছর বয়সী পান্ডিয়ার, ‘যা–ই হোক না কেন, ভারতের জন্য অবশ্যই বিশ্বকাপ জিততে হবে।’
আইপিএলে শিরোপা জয়ের পরে পান্ডিয়া এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, ‘আমার যা কিছু আছে সবটাই উজাড় করে দেব। দল হলো সবার আগে। আমার জন্য সহজ লক্ষ্যটা হলো, দল যেন আমার কাছ থেকে বেশিটা পায়, এটা নিশ্চিত করা। দেশের প্রতিনিধিত্ব করা সব সময়ই আনন্দের। যা–ই হোক না কেন, আমি বিশ্বকাপ জিততে চাই।’
পিঠের চোটে গত দুই মৌসুমে ব্যাটসম্যান হিসেবে খেলতে বাধ্য হন পান্ডিয়া। চোট থেকে ফিরে এবারের মৌসুমের শুরুতে ‘পার্টটাইম’ বোলিং করে রান আটকানোর কাজটা করেন তিনি। টুর্নামেন্টে দুর্দান্ত খেলে ফাইনালে ওঠা রাজস্থানের রানের চাকা প্রায় একাই আটকে রেখেছিলেন পান্ডিয়া। ভয়ংকর রূপ নেওয়ার আগে জস বাটলারকেও ফেরান তিনি। মূলত তাঁর মিতব্যয়ী বোলিং ও কার্যকর ব্যাটিংয়ে শিরোপা জেতে গুজরাট।
পাঁচবার শিরোপা জেতা পান্ডিয়া নিজেকে ভাগ্যবান বলেই মনে করেন, ‘আমি পাঁচটি ফাইনাল খেলেছি এবং পাঁচবারই ট্রফি উঁচিয়ে ধরেছি, এ জন্য আমি নিজেকে খুব ভাগ্যবান মনে করি।’এবার আইপিএলে ১৫ ম্যাচে চার অর্ধশতকে ৪৮৭ রান করেছেন পান্ডিয়া। ম্যাচপ্রতি ৪৪.২৭ গড়ে ১৩১.২৬ স্ট্রাইক রেটও ঈর্ষণীয়। পাশাপাশি বল হাতে নিয়েছেন ৮ উইকেট।