২৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আয়োজন দেখতে ক্লিক করুন
মূল সাইট দেখতে ক্লিক করুন
সম্প্রচার শেষ ০২ আগস্ট ২০২২

তৃতীয় টি-টোয়েন্টি

প্রথমবার জিম্বাবুয়ের কাছে টি-টোয়েন্টি সিরিজ হারল বাংলাদেশ

১০: ১৭ , আগস্ট ০২

এবার ‘ফাইনালের’ পালা

প্রথম ম্যাচে হার, দ্বিতীয় ম্যাচে দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়ানো। শেষ ম্যাচের আগে চোটের কারণে অধিনায়ককে হারিয়ে ফেলা, এরপর নতুন অধিনায়ক। হারারেতে সিরিজ নির্ধারণী তৃতীয় ম্যাচে জিম্বাবুয়ের মুখোমুখি বাংলাদেশ। মোসাদ্দেক হোসেনের অধিনায়কত্বে নামছে বাংলাদেশ। এ ম্যাচের সরাসরি আপডেটে আপনাকে স্বাগত!

১০: ২৫ , আগস্ট ০২

অভিষেক হচ্ছে পারভেজের

মোহাম্মদ জুবাইর, হারারে থেকে

মাঠে আসার পর থেকেই পারভেজ হোসেনের ব্যস্ততা ছিল চোখে পড়ার মতো। হারারে স্পোর্টস ক্লাব মাঠের এদিক ওদিক ছোটাছুটি করছিলেন দলের অন্যান্যদের চেয়ে একটু বেশিই। আজ জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে তিন ম্যাচ টি-টোয়েন্টি সিরিজের শেষটিতে তাঁর অভিষেকের খবরটা কাল রাতেই তাঁকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। সে জন্যই হয়তো পারভেজের সকালটা ছিল রোমাঞ্চকর। যা ফুটে উঠছিল তাঁর শরীরী ভাষায়। কিছুক্ষণ ওয়ার্ম-আপের পর পারভেজকে টি-টোয়েন্টি ক্যাপ পরিয়ে দেন অভিজ্ঞ মাহমুদউল্লাহ। স্মরণীয় মুহূর্তটায় পারভেজের চোখমুখে ছিল ঝলমল আভা। সেই মুহূর্তে সতীর্থদের করতালিতে যেন কিছুটা লজ্জাও পেলেন এই বাঁহাতি তরুণ ব্যাটসম্যান। দেশের হয়ে প্রথম ম্যাচের রোমাঞ্চ হয়তো এমনই!

টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের ক্যাপ পাওয়া ৭৬তম ক্রিকেটার হচ্ছেন পারভেজ। সর্বশেষ এ সংস্করণে অভিষেক হয়েছিল মুনিম শাহরিয়ার। মুনিমের জায়গাতেই খেলতে পারেন পারভেজ।

আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের ৭৬তম ক্রিকেটার হচ্ছেন পারভেজ হোসেন
বিসিবি
১০: ৩০ , আগস্ট ০২

টস

অধিনায়কত্বের অভিষেকে টসে হেরেছেন মোসাদ্দেক হোসেন। টসে জিতে আবারও ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন জিম্বাবুয়ে অধিনায়ক ক্রেইগ আরভিন। ফলে টানা তৃতীয় ম্যাচে রান তাড়া করতে হবে বাংলাদেশকে।

বিসিবি
১০: ৩৯ , আগস্ট ০২

দলে মাহমুদউল্লাহ

এ সিরিজে বিশ্রাম দেওয়া হয়েছিল নিয়মিত অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহকে। নুরুল হাসানের চোটের পর ডেকে পাঠানো হয় তাঁকে। আজ একাদশেও আছেন তিনি। অবশ্য অধিনায়কত্ব করবেন মোসাদ্দেক হোসেন।

সব মিলিয়ে তৃতীয় ম্যাচে বাংলাদেশ দলে আছে তিনটি পরিবর্তন। নুরুলের সঙ্গে নেই মুনিম শাহরিয়ার ও শরীফুল ইসলাম। মাহমুদউল্লাহর সঙ্গে দলে এসেছেন বাঁহাতি স্পিনার নাসুম আহমেদ। আগেই জানিয়েছি, অভিষেক হচ্ছে পারভেজ হোসেনের।

একাদশ

মোসাদ্দেক হোসেন (অধিনায়ক), পারভেজ হোসেন, লিটন দাস, এনামুল হক (উইকেটকিপার), নাজমুল হোসেন, মাহমুদউল্লাহ, আফিফ হোসেন, মেহেদী হাসান, হাসান মাহমুদ, মোস্তাফিজুর রহমান, নাসুম আহমেদ।

১০: ৪৯ , আগস্ট ০২

সিরিজের ফল কী হবে?

১০: ৫৫ , আগস্ট ০২

জিম্বাবুয়েতেও তিন পরিবর্তন, অভিষেক জন মাসারার

বাংলাদেশের মতো তিনটি পরিবর্তন আছে জিম্বাবুয়ে দলেও। বাদ পড়েছেন ওয়েলিংটন মাসাকাদজা, রিচার্ড এনগারাভা, টানাকা চিভাঙ্গা। দলে এসেছেন ভিক্টর নিয়াউচি, ব্র্যাড এভান্স। অভিষেক হচ্ছে জন মাসারার।

একাদশ

রায়ান বার্ল, রেজিস চাকাভা, ব্র্যাডলি এভান্স, ক্রেইগ আরভিন, লুক জঙ্গুয়ে, ওয়েসলি মাধেভেরে, জন মাসারা, ভিক্টর নিয়াউচি, সিকান্দার রাজা, মিল্টন শুম্বা, শন উইলিয়ামস

১১: ০৭ , আগস্ট ০২

ইতিবাচক শুরু জিম্বাবুয়ের

মোস্তাফিজুর রহমানের লো ফুলটসে চার মেরে ইনিংস শুরু করেছেন রেজিস চাকাভা। দ্বিতীয় ওভার করতে আসা মেহেদী হাসানকে ডাউন দ্য গ্রাউন্ডে এসে ছয় মেরেছেন ক্রেইগ আরভিন। ওই শটেই আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে ১ হাজার রান হয়ে গেছে আরভিনের। হ্যামিল্টন মাসাকাদজা, শন উইলিয়ামস ও সিকান্দার রাজার পর চতুর্থ জিম্বাবুইয়ান হিসেবে এ কীর্তি হলো আরভিনের।

১১: ১৭ , আগস্ট ০২

প্রথম আঘাত নাসুমের

প্রথম ম্যাচের মতো প্রথম ৪ ওভারেই এলেন চতুর্থ বাংলাদেশি বোলার। এবার মেহেদী হাসানকে সরিয়ে নাসুম আহমেদকে এনেছেন মোসাদ্দেক, এসেই ব্রেকথ্রু দিলেন তিনি। তুলে মারতে গিয়েছিলেন চাকাভা, শর্ট এক্সট্রা কাভারে লাফিয়ে উঠে দারুণ ক্যাচ নিয়েছেন আফিফ হোসেন। চাকাভা ফিরেছেন ১০ বলে ১৭ রান করে।

পরের বলেই ওয়েসলি মাধেভেরের বিপক্ষে হয়েছিল স্টাম্পিংয়ের আবেদন। বেশ সূক্ষ্ণ ব্যবধানেই বেঁচে গেছেন তিনি। এক অ্যাঙ্গেল থেকে পা ক্রিজের দাগের ওপর মনে হলেও আরেক দিক থেকে দাগের একটু ভেতরে ছিল বলে মনে হচ্ছিল। শেষ পর্যন্ত নটআউট দিয়েছেন টেলিভিশন আম্পায়ার।

আগের ম্যাচে প্রথম বলেই উইকেট নিয়েছিলেন মোসাদ্দেক হোসেন। জিম্বাবুয়েকে দুমড়েমুচড়ে দিয়েছিলেন তিনি একাই। তবে আউট হওয়ার আগে আজ তাঁর ওপর চড়াও হয়েছেন রেজিস চাকাভা। রিভার্স সুইপে চার মেরেছেন, এরপর লং অন দিয়ে মেরেছেন ছয়। শেষ বলে লং অনে ভালো ফিল্ডিং করলেও বল বাউন্ডারির ভেতরে রাখতে পারেননি মেহেদী হাসান। মোসাদ্দেক প্রথম ওভারে দিয়েছেন ১৫ রান।

১১: ২৭ , আগস্ট ০২

মেহেদীর জোড়া আঘাত

ম্যাচের চিত্র বদলে দিচ্ছেন মেহেদী!

আগের বলে এলবিডব্লুর জোরাল আবেদন করলেও সফল হননি, পরের বলে করলেন ইয়র্কার। সামনে এসে খেলার চেষ্টায় ব্যর্থ ওয়েসলি মাধেভেরে। ৪৫ রানে দ্বিতীয় উইকেট হারিয়েছে জিম্বাবুয়ে। মাধেভেরে ফিরেছেন ৮ বলে ৫ রান করে।

ঠিক পরের বলেই সিকান্দার রাজাকেও ফিরিয়েছেন মেহেদী। লেংথ থেকে হাঁটু গেড়ে তুলে মারতে গিয়েছিলেন সিরিজে জিম্বাবুয়ের সেরা ব্যাটসম্যান রাজা। ফাইন লেগে শরীফুলকে পার করাতে পারেননি, তাঁর হাতে ধরা পড়েছেন কোনো রান না করেই। ৪৫ রানে ১ উইকেট থেকে জিম্বাবুয়ে পরিণত হয়েছে ৪৫ রানে ৩ উইকেটে।

পাওয়ারপ্লের ৬ ওভার শেষে তাদের স্কোর সেটিই। আগের দিনের চেয়ে বেশ উন্নতিই বলতে হবে, তবে দ্রুত উইকেট হারিয়ে আবারও চাপে স্বাগতিকেরা।

১১: ৩৪ , আগস্ট ০২

যেখানে সবচেয়ে খরুচে মোসাদ্দেক

মোহাম্মদ সোলায়মান, ঢাকা

আগের ম্যাচে ক্যারিয়ারসেরা বোলিং। এরপর অধিনায়কত্ব পেয়ে যাওয়া। আজ টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের নবম অধিনায়ক হিসেবে টস করতে নেমেছেন মোসাদ্দেক হোসেন।

ইনিংসের তৃতীয় ওভারে নিজের প্রথম ওভার করতে এসে ১৫ রান দিয়েছেন আগের ম্যাচে ৫ উইকেট নেওয়া মোসাদ্দেক। তাঁর আগে বাংলাদেশের কোনো অধিনায়ক টি–টোয়েন্টিতে অধিনায়কত্বের অভিষেকে প্রথম ওভারে ৭ রানের বেশি দেননি।

অধিনায়কত্বের অভিষেকে মোসাদ্দেকের আগে বোলিং করেছেন মোহাম্মদ আশরাফুল, মাশরাফি বিন মুর্তজা, সাকিব আল হাসান ও মাহমুদউল্লাহ। সাকিব ছাড়া বাকি তিন জনই প্রথম ওভারে দিয়েছিলেন ৭ রান করে। আর সাকিব ৪ ওভারে দিয়েছিলেন ১৩ রান।

১১: ৩৬ , আগস্ট ০২

সফল মোসাদ্দেক

লেগ সাইডে ডিপে ছিলেন একজনই ফিল্ডার। শন উইলিয়ামস ক্যাচ তুললেন তাঁর হাতেই। মোসাদ্দেকের বলে ব্যাকফুটে গিয়ে ঘুরিয়ে খেলতে গিয়ে ফিরতে হলো তাঁকে। ইনিংসে প্রথম উইকেট মোসাদ্দেকের, জিম্বাবুয়ে হারাল চতুর্থ উইকেট। ৯ রানের মধ্যে ৩ উইকেট হারাল তারা।

১১: ৪৫ , আগস্ট ০২

ফিরেই সফল মাহমুদউল্লাহ

এ সিরিজে খেলারই কথা ছিল না তাঁর। নুরুলের চোটে দলে এলেন, তবে অধিনায়ক হিসেবে নয়। দশম ওভারে বোলিং করতে এসেই মাহমুদউল্লাহ ফেরালেন জিম্বাবুইয়ান অধিনায়ক ক্রেইগ আরভিনকে। অফ স্টাম্পের বাইরের বলটিতে ক্রিজ ছেড়ে বেরিয়ে এসে খেলতে গিয়ে মিস করে গেছেন আরভিন। প্রথম দফা ঠিকঠাক গ্লাভসে নিতে না পারলেও উইকেটকিপার এনামুল হক স্টাম্পিং করেছেন ঠিকই। আরভিন ক্রিজে ফেরার চেষ্টাই করেনি। জিম্বাবুয়ে হারিয়েছে পঞ্চম উইকেট। ১০ রানের ব্যবধানে চারটি উইকেট হারাল তারা।

১১: ৫৫ , আগস্ট ০২

দুর্দান্ত এনামুল

হাঁটু গেড়ে এক হাত ওপরে তুললেন। ওভাবেই থাকলেন কিছুক্ষণ। যে ক্যাচটি নিলেন এনামুল হক, তাতে অমন উদ্‌যাপন মানায় তাঁকেই!

মোস্তাফিজের অফ স্টাম্পের বাইরের বলে খোঁচা দিয়েছিলেন মিল্টন শুম্বা। ঝাঁপিয়ে, বাঁ হাত প্রসারিত করে দুর্দান্ত ক্যাচ নিয়েছেন এনামুল। জিম্বাবুয়ের দুর্দশা তাতে বেড়েছে আরও। ৬৭ রানে ষষ্ঠ উইকেট হারাল তারা। মোস্তাফিজের এটি প্রথম উইকেট।

১১: ৫৮ , আগস্ট ০২

আবার ধুঁকছে জিম্বাবুয়ে

নাসুমের বলে আউট হয়ে ফিরছেন রেজিস চাকাভা। জিম্বাবুয়ে ইনিংসের চিত্রটা এখন পর্যন্ত এমনই।
এএফপি
১২: ০৬ , আগস্ট ০২

নাসুমের ওভারে বার্লের রেকর্ড ৩৪ রান

মোস্তাফিজের বলে ব্যাটটা ভেঙেছিল। সেটি বদলালেন। বদলে যাওয়া ব্যাটে বদলে গেলেন রায়ান বার্লও! প্রথম ১৪ বলে করেছিলেন ৯ রান। নাসুমের করা পরের ৬ বলে বার্ল তুললেন ৩৪ রান!

ইনিংসের ১৫তম ওভারে বাঁহাতি স্পিনার নাসুমের প্রথম চার বলে বাঁহাতি বার্ল মারেন চারটি ছক্কা—লং অন, স্কয়ার লেগ, মিডউইকেটের পর আবার মিডউইকেট দিয়ে। পঞ্চম বলের আগে মাহমুদউল্লাহ, মোসাদ্দেকের সঙ্গে ছোটখাট মিটিং-ও হয়েছে নাসুমের। তবে পঞ্চম বলে ছয় হয়নি অল্পর জন্য, লং অন দিয়ে বার্লের মারা শটটি হয়েছে চার। শেষ বলে লং অফ দিয়ে আবার ছক্কা মেরেছেন বার্ল।

নাসুম হয়ে গেলেন টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের হয়ে এক ওভারে সর্বোচ্চ রান দেওয়া বোলার। সব মিলিয়ে এক ওভারে তৃতীয় সর্বোচ্চ রান দিলেন তিনি।

স্টুয়ার্ট ব্রডের ১ ওভারে ছয় ছক্কায় ৩৬ রান নিয়েছিলেন যুবরাজ সিং। পরে আকিলা দনাঞ্জয়ার বলে ছয় ছক্কা মেরেছিলেন কাইরন পোলার্ড।

নাসুমের আগে ১ ওভারে ৩৪ রান দিয়েছিলেন ভারতের শিবাম দুবেও। ব্যাটসম্যান ছিলেন টিম সাইফার্ট ও রস টেলর।

১২: ১৫ , আগস্ট ০২

বার্লের ফিফটি

১৪ বলে ছিল ৯ রান। সেই বার্ল ফিফটি পূর্ণ করলেন মাত্র ২৪ বলে। মেহেদী হাসানকে স্কয়ার লেগ দিয়ে মারা ছয়ে অর্ধশতক হয়ে গেছে তাঁর। ক্যারিয়ারে বার্লের এটি দ্বিতীয় ফিফটি। এর আগের একমাত্র ফিফটিও এসেছিল বাংলাদেশের বিপক্ষে। ২০১৯ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর মিরপুরে ৩২ বলে অপরাজিত ৫৭, ৫টি চার ও ৪টি ছয়ে।

নাসুমের ওভারে ৩৪ রানের পর পরের ২ ওভারে এসেছে ২৭ রান। ৩ ওভার বাকি থাকতে জিম্বাবুয়ের রান ১৩৭/৬।

১২: ২৩ , আগস্ট ০২

রেকর্ড ঝোড়ো জুটির পর ফিরলেন জঙ্গুয়ে, বার্ল

রায়ান বার্লের ঝড়ে হয়তো একটু আড়ালেই ছিলেন লুক জঙ্গুয়ে। তবে তিনিও খেলেছেন গুরুত্বপূর্ণ ইনিংস। হাসান মাহমুদের করা ১৯তম ওভারের প্রথম বলে ক্যাচ তোলার আগে ২০ বলে ৩৫ রান করেছেন, টি-টোয়েন্টিতে যেটি সর্বোচ্চ স্কোর তাঁর। বার্লের সঙ্গে জঙ্গুয়ের সপ্তম উইকেট জুটিতে উঠেছে ৩১ বলে ৭৯ রান। মানে এ জুটিতে ১৫.২৯ হারে রান তুলেছেন তাঁরা। সপ্তম উইকেটে এর আগে কোনো জুটি এত বেশি হারে এত রান তোলেনি। আর বাংলাদেশের বিপক্ষে যে কোনো উইকেটেই রেকর্ড এটি।

বার্লের পর বার্লও ক্যাচ দিয়েছেন হাসানের বলেই। ওভারের শেষ বলে লং অনে ক্যাচ তুলে ফিরেছেন ২৮ বলে ৫৪ রান করে। আউট হওয়ার সময় আরেকবার ব্যাট ভেঙেছেন বার্ল।

১২: ৩৪ , আগস্ট ০২

বার্ল-জঙ্গুয়ে ঝড়ে জিম্বাবুয়ের ১৫৬

শেষ বলে নাটক হলো এক দফা। মোস্তাফিজের বলে ক্যাচ তুলেও আফিফ হোসেনের হাতে বেঁচে গেলেন ব্র্যাডলি এভান্স। সে বলে এল ৩ রান। তবে অনায়াসে হতে পারত ৪ রান। তবে ভিক্টর নিয়াউচি শেষ রান নেওয়ার আগেই দৌড় দিয়েছেন ড্রেসিংরুমের দিকে!

শেষে ১ রানের সুযোগ হারালেও জিম্বাবুয়ে গড়েছে লড়াই করার মতো স্কোরই। ১৪তম ওভার শেষেও জিম্বাবুয়ের রান ছিল ৬ উইকেটে ৭৬। এরপরও তারা যে ২০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে ১৫৬ রান তুলল, তাতে মূল অবদান তো রায়ান বার্ল ও লুক জঙ্গুয়ের ঝোড়ো জুটিরই! সপ্তম উইকেটে ৩১ বলে রেকর্ড ৭৯ রান যোগ করেছেন তাঁরা।

নাসুমের করা ১৫তম ওভারে ৫ ছক্কা ও ১ চারে তুললেন ৩৪ রান। পরের ৩ ওভারে এসেছে ৩৬ রান। ১৮ ও ১৯তম ওভারে আঁটসাঁট বোলিং-ই করেছেন হাসান মাহমুদ ও মোস্তাফিজুর রহমান। জঙ্গুয়ে ও বার্লের জোড়া উইকেটসহ হাসান দিয়েছেন মাত্র ৪ রান। শেষ বলে ওই মিসফিল্ডের পরও শেষ ওভারে মোস্তাফিজ দিয়েছেন মাত্র ৬ রান।

এএফপি
১২: ৫৮ , আগস্ট ০২

দ্বিতীয় ওভারে ফিরলেন লিটন

লেগ সাইডের বলটা ক্রিজে হোল্ড করেছিল একটু। সেটিতে ব্যাট চালিয়ে লিডিং-এজড হলেন লিটন দাস। ভিক্টর নিয়াউচিকে ফিরতি ক্যাচ দিয়ে ফিরলেন বাংলাদেশ ওপেনার, আগের বলেই যিনি মেরেছিলেন চার। সেটিও ছিল লেগ স্টাম্প লাইনেই। দ্বিতীয় ওভারেই লিটনকে হারিয়ে ফেলল বাংলাদেশ। ৬ বলে লিটন করেছেন ১৩ রান।

১৩: ০৭ , আগস্ট ০২

নিয়াউচির শিকার পারভেজও

নিয়াউচির বলটা স্লটে পেয়েছিলেন, তবে তুলে মারতে গিয়ে মিড অনে ধরা পড়লেন পারভেজ হোসেন।

আন্তর্জাতিক অভিষেকে পারভেজ টিকলেন ৬ বল, ২ রানের বেশি করতে পারেননি তিনি। লিটনের পর পারভেজ—বাংলাদেশের দুই উদ্বোধনী ব্যাটসম্যানই নিয়াউচির শিকার।

১৩: ১৬ , আগস্ট ০২

টিকলেন না এনামুল

ওয়েসলি মাধেভেরের বলটা নিরীহই ছিল। বাউন্ডারি মারার বলে স্টাম্প হারালেন এনামুল হক। আজ করেছেন ১৩ বলে ১৪ রান। ৩৪ রানের মধ্যে ৩ উইকেট হারিয়ে আরও চাপে পড়েছে বাংলাদেশ।

১৩: ২০ , আগস্ট ০২

পাওয়ারপ্লে শেষে...

৬ ওভার, ৪৫ রান। এটুকুতে খুব একটা সমস্যা হওয়ার কথা নয় বাংলাদেশের। তবে পাওয়ারপ্লেতেই তারা হারিয়ে ফেলেছে টপ অর্ডারের তিন ব্যাটসম্যানকে। নাজমুল হোসেনের সঙ্গে যোগ দিয়েছেন মাহমুদউল্লাহ। উইকেট হারানোর চাপ সামাল দেওয়ার সঙ্গে তাঁদের খেয়াল রাখতে হবে রানের গতির দিকেও।

১৩: ২৭ , আগস্ট ০২

মাসারার প্রথম ওভার

অভিষেকে প্রথম ওভার করতে এসেছিলেন জন মাসারা। প্রথম দুই বলই ছিল লং হপ, তবে বাউন্ডারির সুযোগ হারিয়েছেন নাজমুল ও মাহমুদউল্লাহ। পরে অবশ্য ভালোভাবেই ফিরে এসেছেন মাসারা। মিসহিটে ক্যাচ তুলেও বেঁচে গেছেন নাজমুল, ফিল্ডারের ন আগালের বাইরে যাওয়াতে। অন্য প্রান্তে বোলিং করছেন সিকান্দার রাজা। প্রয়োজনীয় রান রেট ৮.৫০।

১৩: ৩৩ , আগস্ট ০২

স্কুপ করতে গিয়ে আউট নাজমুল

শেষ ৩ ওভারে উঠেছিল ১৪ রান। শন উইলিয়ামসের বলে স্কুপ করে বাউন্ডারি খুঁজতে গিয়েছিলেন নাজমুল। তাঁর শট খুঁজে নিল ফাইন লেগে থাকা লুক জঙ্গুয়ের হাত। মাহমুদউল্লাহর সঙ্গে নাজমুলের জুটিতে ২৮ বলে উঠেছে ২৬ রান। নাজমুল ফিরলেন গতি বদলানোর আগেই, ২০ বলে করেছেন ১৬ রান। ৬০ রানে চতুর্থ উইকেট হারিয়েছে বাংলাদেশ।

১৩: ৪৮ , আগস্ট ০২

বিস্মৃত বাউন্ডারির দেখা

১২তম ওভারে শন উইলিয়ামসের লেগ সাইডের বলে সুইপ করে চার মেরেছেন মাহমুদউল্লাহ। তৃতীয় ওভারের পর ব্যাট থেকে প্রথম বাউন্ডারি সেটি। বাংলাদেশের অবশ্য এমন শট প্রয়োজন আরও।

পরের ওভারে আফিফ হোসেনের ড্রাইভে এসেছে আরেকটি চার। তবে সেটি এসেছে ফিল্ডারের সৌজন্যেই। মিসফিল্ডে চার দিয়েছেন তিনি। বোলার সিকান্দার রাজার ক্ষোভ ছিল স্পষ্টই।

৪২ বলে বাংলাদেশের জয়ের জন্য প্রয়োজন ৬৮ রান।

১৩: ৫৬ , আগস্ট ০২

অসময়েই ফিরলেন মাহমুদউল্লাহ

শর্ট বল, জায়গা বানিয়ে খেলতে চেয়েছিলেন মাহমুদউল্লাহ। তবে টাইমিং করতে পারলেন না। ব্র্যাডলি এভান্সের বলে কট বিহাইন্ড হয়ে ফিরলেন ২৭ বলে ২৭ রান করেই। ৩৪ বলে বাংলাদেশের প্রয়োজন ৫৮ রান।

১৩: ৫৯ , আগস্ট ০২

২ বলে ২ উইকেট

‘বিশ্রামে’ থাকা বাংলাদেশ অধিনায়ক। ‘এক ম্যাচের জন্য’ বাংলাদেশ অধিনায়ক। মাহমুদউল্লাহ ও মোসাদ্দেক ফিরলেন পরপর ২ বলে। এভান্সের এ বলটাও ছিল শর্ট লেংথে, তবে লেগ সাইডে। ঘুরিয়ে খেলতে চেয়েছিলেন, তবে শট খেলে ফেলেছেন আগেভাগেই। ব্যাটের পিঠে লেগে ক্যাচ উঠেছে চাকাভার হাতে। এভান্সের উইকেটে খাদের কিনারে চলে গেছে বাংলাদেশ, ক্রিজে এখন আফিফ-মেহেদী, বাংলাদেশের শেষ স্বীকৃত জুটি যেটি।

১৪: ০৪ , আগস্ট ০২

জঙ্গুয়েরে ওভারে ১২

প্রথম টপ এজে, এরপর পুল করে মিডউইকেট দিয়ে। লুক জঙ্গুয়ের ওভারে দুইটি চার মেরেছেন আফিফ হোসেন। ওভারে উঠেছে ১২ রান। তবে শেষ ৪ ওভারে বাংলাদেশের প্রয়োজন আরও ৪৬ রান।

১৪: ০৯ , আগস্ট ০২

১৮ বলে প্রয়োজন ৩৭ রান

প্রথম বল ডট হওয়ার পর নিয়াউচির দ্বিতীয় বলে কাভার দিয়ে চার মেরেছিলেন মেহেদী হাসান। পরের ৪ বলে অবশ্য বাউন্ডারি আসেনি কোনো। নিয়াউচির ওভারে এসেছে ৯ রান। ১৮ বলে জয়ের জন্য বাংলাদেশকে করতে হবে আরও ৩৭ রান।

১৪: ১৩ , আগস্ট ০২

১৮তম ওভারে প্রথম ছক্কা

৩ ওভারে ১৫ রান, ২ উইকেট। এমন বোলিং ফিগার নিয়ে শেষটি করতে এসেছিলেন ব্র্যাড এভান্স। শর্ট বল করবেন, কিছুটা অনুমিতই ছিল সেটি। প্রথম বলে মেহেদী পরাস্তও হলেন। তবে তৃতীয় বলে মেহেদী হুক করে মেরেছেন ছয়, বাংলাদেশ ইনিংসে যেটি প্রথম। চতুর্থ বলে স্কুপ করে মেরেছেন চার। তবে এভান্সের ওভারে ১১ রানের বেশি আসেনি।

১২ বলে বাংলাদেশের প্রয়োজন ২৬ রান।

১৪: ২০ , আগস্ট ০২

৬ বলে দরকার ১৯ রান

প্রথম দুই বলে বাউন্ডারির সুযোগ থাকলেও আসেনি। তৃতীয় বলটি ছিল লো ফুলটস, তবে কমিয়ে আনা গতির বলটা মিডউইকেটে থাকা সিকান্দার রাজাকে পার করাতে পারলেন না মেহেদী হাসান। মেহেদী ফিরেছেন ১৭ বলে ২২ রান করে।

১৯তম ওভারে কোনো বাউন্ডারি দেননি নিয়াউচি, দিয়েছেন মাত্র ৭ রান। শেষ ওভারে বাংলাদেশের প্রয়োজন ১৯ রান।

১৪: ২২ , আগস্ট ০২

আরও কাছে জিম্বাবুয়ে

সিকান্দার রাজার উল্লাসটাই বলে দিচ্ছিল সব!

আফিফ হোসেন প্রথম বলে সিঙ্গেল নিয়ে স্ট্রাইক দিয়েছিলেন হাসান মাহমুদকে, লুক জঙ্গুয়ের শর্ট বলে তুলে মারতে গিয়ে লং অফে রাজার হাতে ধরা পড়েছেন তিনি। ৪ বলে বাংলাদেশের প্রয়োজন ১৮ রান!

১৪: ২৯ , আগস্ট ০২

জিম্বাবুয়ে ২, বাংলাদেশ ১

শেষ বলে ক্যাচ তুলেছিলেন নাসুম আহমেদ। ব্র্যাড এভান্স মিস করে গেলেন সেটি। তাতে কিছু যায় আসেনি জিম্বাবুয়ের। তারা মেতেছে উল্লাসে। প্রথমবারের মতো বাংলাদেশকে টি-টোয়েন্টি সিরিজ হারিয়েছে জিম্বাবুয়ে।

ব্যাটিংয়ের সময় ১৪তম ওভার শেষেও যে দলটির স্কোর ছিল ৬ উইকেটে ৭৬ রান, তারাই হারারেতে সিরিজের শেষ ম্যাচটি জিতেছে ১০ রানে। রান তাড়ায় আবারও খেই হারিয়েছে বাংলাদেশ। নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারিয়েছে তারা। মাঝে মাহমুদউল্লাহর সঙ্গে আফিফ হোসেনের ৩০ বলে ৩৯ রানের পর শেষ দিকে এসে মেহেদী হাসান ও আফিফের ২৪ বলে ৩৪ রানের জুটি ছাড়া সে ভাবে দাঁড়াতে পারেনি কোনো জুটি।