ম্যাচ পাতানো সালমান বাট নিয়ম শেখাচ্ছেন আর্চারকে
‘শৃঙ্খলা এবং আদর্শের পুরুষ।’
টুইটারে মন্তব্যটি পাকিস্তানের এক ক্রিকেটপ্রেমীর। সালমান বাটকে উদ্দেশ্য করে। এটুকু পড়েই হেসে ফেলার কথা। গালের দু পাশ আরও বিস্তৃত হতে পারে আরেকটি কথা শুনে। নিয়ম ভাঙার জন্য জফরা আর্চারকে বেশ বকুনি দিয়েছেন পাকিস্তানি সাবেক অধিনায়ক।
করোনা মহামারির মধ্যে নিয়ম ভেঙে বান্ধবীর সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন আর্চার। শাস্তি হিসেবে খেলতে পারেননি সিরিজের দ্বিতীয় টেস্ট। এ নিয়ে ইউটিউবে ইংলিশ পেসারকে বাট মনে করিয়ে দেন,‘নিয়ম তো নিয়মই, এটা ভাঙা ঠিক হয়নি।’ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এ নিয়ে বাটকে স্রেফ ধুয়ে দিয়েছেন নেটিজেনরা।
২০১০ লর্ডস টেস্টে স্পট ফিক্সিং কেলেঙ্কারিতে জড়িয়ে নিষিদ্ধ হয়েছিলেন সালমান বাট, মোহাম্মদ আসিফ ও মোহাম্মদ আমির। শেষজন জাতীয় দলে ফিরলেও বাট ও আসিফ আর সুযোগ পাননি। দুই বছরের বেশি সময় জেলও খাটতে হয়েছিল বাটকে। নিষিদ্ধ হয়েছিলেন ১০ বছরের জন্য। সেই ঘটনার জন্যই নিয়ম-শৃঙ্খলা নিয়ে বাটের এই উপদেশ নিয়ে হাস্যরস ও সমালোচনা চলছে।
এক টুইটার ব্যবহারকারীর মন্তব্য, ‘ভুল থেকে যে কেউ শিখতে পারে। কিন্তু সমস্যা হলো সে নিজের দোষ স্বীকার করেনি। অন্যের কাঁধে দোষ চাপিয়েছে।’ আরেকজন মন্তব্য করেন, ‘বাট নিয়ম ভাঙা নিয়ে কথা বলছে। এর চেয়ে বড় কৌতুক কী হতে পারে!’ সিরিজের তৃতীয় টেস্টে আর্চার ইংল্যান্ড দলে আছেন। তার আগে বেশ ভালোই বিতর্ক হয়েছে তাঁকে ঘিরে। আর্চার জানিয়েছেন, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তিনি বর্ণবাদী আচরণের শিকার হয়েছেন।