পরের মাঠে আটকে গেলেন রোনালদোরা
>গত রাতে সিরি 'আ' র ম্যাচে সাসসুয়োলোর বিপক্ষে ৩-৩ গোলে ড্র করেছে জুভেন্টাস
ম্যাচের শুরু দেখে মোটেও মনে হয়নি জুভেন্টাসকে এতটা 'বিরক্ত' করবে সাসসুয়োলো।
আধ ঘন্টা আগে-পরে মাঠে নেমেছিল লিভারপুল ও জুভেন্টাস। অথচ দুই দেশের দুই লিগে শীর্ষে থাকা দুই দল যেন গতরাতের দুই খেলায় মিলে গেল একই বিন্দুতে। লিভারপুলের ম্যাচে প্রথমে লিভারপুল গোল করে এগিয়ে গিয়েছে, প্রথম বিশ মিনিট মতো দুর্দান্ত খেলেছে, পরে রক্ষণভাগের ভুলে ম্যাচ হাতছাড়া করেছে।
একই কাজ করেছে জুভেন্টাসও। প্রথম বিশ মিনিট অসাধারণ খেলে পরে রক্ষণভাগের গা-ছাড়া মনোভাবের মাশুল দিয়েছে। পার্থক্য শুধু একটাই। শেষমেশ লিভারপুল আর্সেনালের বিপক্ষে খালি হাতে ফিরলেও, জুভেন্টাসের কপালে অন্তত একটি পয়েন্ট জুটেছে। ৩-৩ গোলে রোনালদোরা ড্র করেছেন সাসসুয়োলোর বিপক্ষে।
১২ মিনিটের মধ্যেই দুই গোলে এগিয়ে যায় জুভেন্টাস। আগামী মৌসুম থেকে বার্সেলোনায় খেলতে যাওয়া মিরালেম পিয়ানিচের পাস ধরে ছয় মিনিটে দলের হয়ে প্রথম গোলটা করেন ব্রাজিলিয়ান রাইটব্যাক দানিলো। ঠিক ছয় মিনিট পরেই ঐ পিয়ানিচের কল্যাণে গোল করেন আর্জেন্টিনার স্ট্রাইকার গঞ্জালো হিগুয়েইন। এরপর থেকেই সাসসুয়োলো দুর্দান্তভাবে 'প্রেস' করা শুরু করে। প্রথম গোলটা বলতে গেলে অমন প্রেসেরই ফসল। ২৯ মিনিটে স্ট্রাইকার ফ্রানসিস্কো কাপুতোর কাছ থেকে বল নিয়ে গোল করেন উইঙ্গার ফিলিপ জুরিচিচ।
প্রথমার্ধে আর কোনো গোল না হলেও নিজেদের দুর্দান্ত খেলা বজায় রেখেছিল সাসসুয়োলো। দ্বিতীয়ার্ধের নয় মিনিটের মাথায়ই আরও দুটো গোল করে ঘুরে দাঁড়ায় দলটা। গোলদাতার তালিকায় নাম লেখান ইতালিয়ান উইঙ্গার ডমিনিকো বেরার্দি ও স্ট্রাইকার কাপুতো। ৬৪ মিনিটে গোল করে দলকে সমতায় ফেরান অ্যালেক্স সান্দ্রো।
তবে হতাশ করেছেন রোনালদো। অন্তত তিনটা সহজ সুযোগ মিস করেছেন। উল্টো হলুদ কার্ড খেয়েছেন একটা। গোলগুলো পেলে হয়তো পূর্ণ তিন পয়েন্ট নিয়েই মাঠ ছাড়ত জুভেন্টাস!
ওদিকে দুর্দান্তভাবে ফিরে এসে পারমাকে ৩-১ গোলে হারিয়েছে এসি মিলান। প্রথমে জাসমিন কুরতিচের গোলে পিছিয়ে পড়লেও দ্বিতীয়ার্ধে ফ্র্যাঙ্ক কেসি, আলেসসিও রোমানিওলি ও হাকান চালহানোলুর গোলে জয় নিয়েই মাঠ ছাড়ে তাঁরা।
ড্র নিয়ে ৩৩ ম্যাচ শেষে ৭৭ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে জুভেন্টাস।