ফুটবলারদের উদ্দেশে সালাউদ্দিনের খোলাচিঠি

কাজী সালাউদ্দিন। ছবি: বাফুফে
কাজী সালাউদ্দিন। ছবি: বাফুফে
>

করোনাভাইরাসে গৃহবন্দী ফুটবলারদের ফিটনেস কমতে শুরু করেছে। ফিটনেস নিয়ে সচেতন হতে বললেন বাফুফে সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন।

বন্ধ হয়ে যাওয়া ফুটবল আবার কবে মাঠে গড়াবে সেই নিশ্চয়তা এখনই দিতে পারছে না বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে)। খেলা বন্ধ হওয়ায় সবচেয়ে বিপাকে ফুটবলাররা। করোনাভাইরাসের কারণে মাঠে গিয়েও অনুশীলন করতে পারছেন না কেউ। অবশ্য বাড়িতে ব্যক্তিগত উদ্যোগে অল্পস্বল্প অনুশীলন করছেন অনেকে। তবে প্রয়োজনের তুলনায় সেটা একেবারেই কম। এমন দুঃসময়ে ফুটবলারদের অনুশীলনের নতুন একটা উপায় বললেন বাফুফে সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন।

যদিও বাফুফের সভাপতি হিসেবে নয়, দেশের অন্যতম সেরা ফুটবলার হিসেবেই উপদেশগুলো দিয়েছেন তিনি। তরুণ ও জাতীয় দলের সব ফুটবলারদের উদ্দেশে বলেছেন, 'আমি কাজী মোহাম্মদ সালাউদ্দিন বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের সভাপতি হিসেবে নয়, স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের খেলোয়াড়, সাবেক জাতীয় দলের ফুটবলার, আবাহনী ও মোহামেডানের খেলোয়াড় ও জাতীয় দলের সাবেক কোচ হিসেবে কথাগুলো বলছি। আমার একটা ছোট উপদেশ থাকবে তোমাদের কাছে। যেহেতু করোনা ভাইরাসের ২-৩ মাস যাবত ফুটবল বন্ধ, তাই আমার উপদেশ থাকবে তোমরা ভোরবেলা অনুশীলন করবে।'

ফুটবল ফেডারেশনের প্যাডে ফুটবলারদের উদ্দেশে একটি চিঠি লিখে পাঠিয়েছেন সালাউদ্দিন। সেই চিঠিতে নিজের খেলোয়াড়ি জীবনের অভিজ্ঞতা বর্ণনা করে সেভাবেই অনুশীলন করার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি, ' ভোর ছয়টার দিকে জনগনের চলাচল কম থাকে। ওই সময় প্রতিদিন ১০ থেকে ১২ মাইল জগিং করবে তোমরা। এরপর অল্প জায়গায় নিজেই শারীরিক অনুশীলন করবে।' ফুটবল ছেড়ে এভাবে ঘরবন্দি হওয়ায় স্বাভাবিকভাবেই ফিটনেস কমে যেতে পারে জামাল ভূঁইয়াদের। তাইতো ফিটনেস ধরে রাখার উপায় বললেন তিনি, ' যেহেতু গত ৩-৪ মাস তোমরা ফুটবল খেলছো না, নিশ্চয়ই তোমাদের ফিটনেস ও সামর্থ্য অনেক নেমে যাবে। নিজের জীবন থেকে বলছি, ১৯৬৯-৭০ সালের দিকে দেশে হরতাল ও কারফিউ লেগেই থাকত। তখন বাড়ির পেছনের লনে প্রায় ৩-৪ ঘন্টা অনুশীলন করতাম। পরে খেলা শুরু হলে মনেই হয়নি খেলার বাইরে ছিলাম।'

ক্যারিয়ারের কথা ভেবেই এটা করা উচিত, বললেন সালাউদ্দিন, 'লিগ আজ না হয় কাল শুরু হবে। কিন্তু ক্যারিয়ার অনেক ছোট। যাতে তুমি এই ক্যারিয়ার ধরে রাখতে পার, ফুটবল খেলে সবাইকে পরিচিতি দিতে পার সেটাই আমার চাওয়া।'