হারা ম্যাচে '৪৪' রানই টেন্ডুলকারের প্রিয়

১৯৯৭ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে এক ৪৪ রানের ইনিংস টেন্ডুলকারের প্রিয়। ফাইল ছবি
১৯৯৭ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে এক ৪৪ রানের ইনিংস টেন্ডুলকারের প্রিয়। ফাইল ছবি

২৪ বছরের আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ার। খেলেছেন ২০০ টেস্ট, ৪৬৩টি ওয়ানডে। দুই সংস্করণ মিলিয়ে রান করেছেন ৩৪ হাজার ৩৪৭। আন্তর্জাতিক সেঞ্চুরির সংখ্যা ১০০। এমন বর্ণাঢ্য ক্রিকেট জীবন যাঁর। কত শত স্মরণীয় ম্যাচ, স্মরণীয় ইনিংস। সেই শচীন টেন্ডুলকারই কিনা কথা বললেন এমন একটা ইনিংস নিয়ে যেটিতে সেঞ্চুরি তো করতে পারেনইনি, ফিফটিও পাননি। মাত্র ৪৪ রানে ফেরার সেই ইনিংসটিকেই 'লিটল মাস্টার' বলছেন তাঁর ক্যারিয়ারের অন্যতম প্রিয় ইনিংস।

করোনার এই সময় স্মৃতিচারণ দিয়েই খেলাপ্রেমীদের 'খেলাহীন' সময়টাকে মাতিয়ে রাখছেন বর্তমান–সাবেক ক্রিকেট তারকারা। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নিজেদের ক্যারিয়ারের বিভিন্ন ঘটনা তুলে ধরছেন তারা। সে ঘটনাগুলোর বেশিরভাগই মজার, কোনোটা বা আক্ষেপের।

একটি অনলাইন সাক্ষাৎকারে টেন্ডুলকার তাঁর ক্যারিয়ারের স্মরণীয় ঘটনাগুলোর কথা বলেছেন। নিজের অন্যতম প্রিয় ইনিংসের কথা আলোচনা করতে গিয়েও উঠে এসেছে আক্ষেপের কথা। ৪৪ রান করে যে ইনিংসটিতে আউট হয়েছিলেন, সেটিকে তিনি ক্যারিয়ারের অন্যতম প্রিয় ইনিংস বলছেন, সেটির অকাল সমাপ্তি ঘটেছিল আম্পায়ারের ভুল সিদ্ধান্তে।

১৯৯৭ সালের মার্চ–এপ্রিলে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফর করেছিল ভারত। টেন্ডুলকার তখন ভারতীয় ক্রিকেট দলের অধিনায়ক। ত্রিনিদাদের পোর্ট অব স্পেনে সে সফরের ওয়ানডে সিরিজের প্রথম ম্যাচটি হয়েছিল। ক্যারিবীয় গতি তারকা কার্টলি অ্যামব্রোস, ইয়ান বিশপ আর ফ্রাঙ্কলিন রোজদের সামনে সেদিন ভারতীয় দল কিছুটা অসহায় অবস্থার মধ্যেই পড়েছিল। পোর্ট অব স্পেনের উইকেট সেদিন ব্যাটসম্যানদের জন্য ছিল রীতিমতো দুঃস্বপ্নের। সেই উইকেটে দাঁড়িয়েই অ্যামব্রোস, বিশপদের কর্তৃত্ব নিয়ে খেলেই ৪৩ বলে ৪৪ রান করেছিলেন।

আম্পায়ারের ভুল সিদ্ধান্তের জন্য ২৩ বছর পরেও আফসোস হয় তাঁর ,'আমার ক্যারিয়ারের অন্যতম প্রিয় ইনিংস। খুব আত্মবিশ্বাস নিয়ে সেদিন খেলছিলাম। অ্যামব্রোস, বিশপ, রোজদের বিপক্ষ মেঘলা আবহাওয়ায় খানিকটা কঠিন উইকেটে খেলা যে কী, সেটা অভিজ্ঞতা না হলে বোঝা মুশকিল। সে ম্যাচে ১০ বাউন্ডারি মেরে ৪৩ বলে ৪৪ করেছিলাম। ইনিংসটি শেষ হয় আম্পায়ারের এক ভুল সিদ্ধান্তে।'

টেন্ডুলকারের ৪৪ রান ছাড়া সেদিন ভারতীয় ব্যাটসম্যানদের ব্যাট হাতে ছিলেন পুরোপুরি ব্যর্থ। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২৯ রান আসে উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান নয়ন মঙ্গিয়ার ব্যাট থেকে। ভারত প্রথমে ব্যাটিং করে ৪৮.৩ ওভারে মাত্র ১৭৯ রানে গুটিয়ে যায়। পরে বৃষ্টির কারণে কমে আসা ওভারের ইনিংসে ২ উইকেটে ১৪৯ রান তুলে ম্যাচটি ৮ উইকেটে জিতে যায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ।