লাখ লাখ ডলারের জন্য কোহলিদের তোয়াজ করেন স্মিথরা
>আইপিএল অস্ট্রেলীয় খেলোয়াড়দের নরম বানিয়েছে, মনে করেন দলটার সাবেক অধিনায়ক মাইকেল ক্লার্ক।
আইপিএল। হ্যাঁ, আইপিএলের প্রতি অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটারদের দুর্বলতার সমালোচনা করলেন মাইকেল ক্লার্ক। ভারতের এই ফ্র্যাঞ্চাইজি টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্টে লাখ লাখ ডলারের চুক্তির টানেই বিরাট কোহলিদের তোয়াজ করে চলে অস্ট্রেলিয়া দল।
অস্ট্রেলিয়ার বিশ্বকাপজয়ী সাবেক এ অধিনায়ক ‘বিগ স্পোর্টস ব্রেকফাস্ট’-এ এমন মন্তব্য করেছেন। তাঁর মতে, আইপিএলে লাখ লাখ ডলারের চুক্তি বাঁচাতে বিরাট কোহলি এবং তাঁর দলকে তোয়াজ করে চলে অস্ট্রেলিয়া দল। এতে অস্ট্রেলিয়া দল চিরায়ত মানসিকতা পাল্টে 'নরম’ হয়েছে বলেও মনে করেন তিনি।
আইপিএলে চুক্তি হারানোর ভয়ে মাঠে কোহলিদের ‘স্লেজিং’ করতে ভয় পায় খেলোয়াড়েরা, অস্ট্রেলিয়া দল এমন সময়ের মধ্য দিয়ে গেছে বলে মনে করেন ক্লার্ক। স্কাই স্পোর্টস রেডিও-র এ অনুষ্ঠানে ক্লার্ক বলেন, ‘খেলার আর্থিক জায়গায় ভারত কত শক্তিশালী তা সবাই জানে। সেটি আন্তর্জাতিক অঙ্গন হোক কিংবা ঘরোয়া অঙ্গনের আইপিএলে।’
ক্লার্ক বলেন, ‘আমি মনে করি অস্ট্রেলিয়া দল ছাড়াও সম্ভবত বাকিরাও ভারতকে তোয়াজ করেছে। কোহলি কিংবা ভারতের অন্যান্য ক্রিকেটারদের স্লেজিং করতে ভয় পায় খেলোয়াড়েরা। কারণ এপ্রিলে তাঁদের সঙ্গে আইপিএল খেলতে হয়।’
এবার আইপিএল শুরু হওয়ার কথা ছিল ২৯ মার্চ। করোনাভাইরাস মহামারিতে আইপিএল পিছিয়ে ১৫ এপ্রিলে শুরুর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। তবে করোনাভাইরাসের ক্রমবর্ধমান প্রকোপের কারণে আইপিএল শেষ পর্যন্ত মাঠে গড়ায় কি না, তা নিয়ে সন্দেহ আছে।
ভারতীয় দলে কোহলি কিংবা রোহিত শর্মার মতো তারকারা আইপিএলে দলগুলোর নেতৃত্বে রয়েছেন। তাদের অধীনে খেলতে হয় অন্যান্য ক্রিকেটারদের। ক্লার্কের ভাষায়, ‘এমন দশ জন ক্রিকেটার আছে যারা নিলামে অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটারদের দলে টানার প্রক্রিয়ার সঙ্গে যুক্ত আছেন। এ কারণে ক্রিকেটারদের মানসিকতা হয় এ রকম- ‘‘আমি কোহলিকে স্লেজ করব না। বেঙ্গালুরুতে সে আমাকে দলে টানলে ছয় সপ্তাহে এক মিলিয়ন ডলার আয় করতে পারব।’’’
স্টিভ ওয়াহ, রিকি পন্টিং কিংবা ক্লার্কের নেতৃত্বে মাঠে অস্ট্রেলিয়া দলের শরীরী ভাষা অন্যরকম ছিল। খেলায় এবং স্লেজিংয়ে প্রতিপক্ষকে তিল পরিমাণ ছাড় দেয়নি তারা। কিন্তু আইপিএলের জন্য এই অস্ট্রেলিয়া দল আর তেমন নেই বলেই মনে করেন ক্লার্ক, ‘বেশ অল্প সময়ের জন্য হলেও অস্ট্রেলিয়া দলের মানসিকতা নরম হয়েছে বলে মনে করি। এটা সেই শক্ত মানসিকতার অস্ট্রেলিয়া নয়, যা আমরা দেখে অভ্যস্ত ছিলাম।’