রান্না করছেন, ঘর মুছছেন কপিল
করোনা নিয়ন্ত্রণের সবচেয়ে বড় উপায় কী?
এখনো পর্যন্ত প্রতিষেধক আবিষ্কার না হওয়া প্রাণঘাতী এই ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব ঠেকানোর সবচেয়ে মোক্ষম অস্ত্র হলো বাসা থেকে না বের হওয়া, কারওর সঙ্গে মেলামেশা না করা। যে কারণে বিশ্বব্যাপী সকল খেলা স্থগিত হয়েছে। বন্ধ হয়েছে খেলোয়াড়দের অনুশীলন। খেলোয়াড়েরা বাসায় আটকে রেখেছেন নিজেদের। সাবেক খেলোয়াড়েরাও আছেন কোয়ারেন্টিনে।
সাধারণ মানুষের ওপর খেলোয়াড়দের একটা বিশেষ প্রভাব আছে, সেটা তাঁরা জানেন। তাই নিজেদের সে প্রভাবকে ইতিবাচক দিকে কাজে লাগাচ্ছেন মেসি-রোনালদোরা। সবাইকে অনুরোধ করছেন ঘরে থাকার জন্য। ঘরে বসে থাকতে বললেন কপিলও , ‘আপনাকে ঘরে থাকতে হবে। ঘরে থাকুন। আমাদের এখন এটাই করতে হবে। আর উপায় নেই। এভাবে প্রশাসনকে এই ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াই করতে সাহায্য করুন।’
ভারতে চলছে একুশ দিনের লকডাউন। চাইলে এই লকডাউনের সময়কেও খুব ভালোভাবে কাজে লাগানো যায় বলে জানিয়েছেন কপিল, ‘লকডাউনের বিষয়টাকে ইতিবাচকভাবে নিন। আপনাকে বাড়িতে থাকার চ্যালেঞ্জটা নিতে হবে। বাড়ির ভেতরও আপনার একটা জগৎ রয়েছে, আপনার পরিবার আছে। নিজেকে বিনোদিত করার জন্য বই, টিভি আছে। চাইলে গানও শুনতে পারবেন। সব থেকে ভালো হলো পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলা। লকডাউনের ফলে পরিবাররে সঙ্গে সম্পর্ক আরও গভীর করতে পারেন আপনি।’
কপিল নিজে কী করছেন বাসায় বসে বসে? সেটাও জানিয়েছেন ভারতের হয়ে সর্বপ্রথম বিশ্বকাপ জেতা এই অধিনায়ক, ‘আমি এখন ঘর মুছি, বাগান পরিষ্কার করি। আমার ছোট্ট বাগানটাকে গলফ কোর্স বানিয়েছি। পরিবারের সঙ্গে আগের চেয়ে অনেক বেশি সময় কাটাচ্ছি। বহু বছর ধরে এ ব্যাপারটা মিস করেছি আমি। বাসার রাঁধুনিকে ছুটি দিয়েছি, সবার জন্য রান্না করছি। ইংল্যান্ডে খেলার সময় রান্নাবান্না শিখতে হয়েছিল। এখন সেই কাজটা আবারও করছি।’
কপিল আশাবাদী, করোনাভাইরাসের এই ধাক্কা খাওয়ার পর মানুষজন এখন পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন জীবনযাপন করবে, ‘মানুষ এখন থেকে বুঝবে পরিচ্ছন্ন থাকার গুরুত্ব কতটুকু। আশা করি তাঁরা এখন থেকে নিয়মিত হাত ধোবে, যেখানে-সেখানে থুতু ফেলবে না, মূত্রত্যাগ করবে না। এসব কিছু যদি আমরা আগে শিখতাম, ভালো হতো। আশা করি আমরা যা ভুল করেছি আমাদের পরবর্তী প্রজন্ম তা করবে না।’