'কোয়ারেন্টিন ভাঙলে ছেলেকে জেলে দাও'
বান্ধবীর জন্য কেউ এমন বিপদে পড়ে?
রিয়াল মাদ্রিদের জার্সিতে এ মৌসুমটা একদমই বাজে কাটছে লুকা ইয়োভিচের। করোনাভাইরাসের সুবাদে পাওয়া অনাকাঙ্ক্ষিত ছুটিতে তাই মাদ্রিদে মন টিকছিল না। ‘করোনামুক্ত’-এ সনদ জোগাড় করে কোয়ারেন্টিন ভেঙে স্পেন ছেড়ে গিয়েছিলেন দেশে। সার্বিয়াতে গিয়েও মুক্তি মেলেনি। সেখানেও ভেঙেছেন কোয়ারেন্টিন। এতে পুরো দেশ ফুসে উঠেছে। এমন পরিস্থিতিতে লুকার বাবা বলছেন যদি অপরাধ করেই থাকে ছেলে তবে জেলে পাঠানো হোক।
বান্ধবীর জন্মদিনের জন্য সার্বিয়া গিয়েছিলেন লুকা ইয়োভিচ। জন্মদিনে দুজনকে রাস্তায় দেখা গেছে। এমন ঘটনায় খেপে উঠেছে সবাই। কারণ যতই নিজেকে করোনাভাইরাস মুক্ত প্রমাণ করুন না কেন, দেশের নিয়ম হচ্ছে বিদেশ থেকে এলে ২৮ দিন কোয়ারেন্টিনে থাকতে হবে সবাইকে। এমনিতেই ক্লাবের ১৪ দিনের কোয়ারেন্টিনের পুরোটা কাটিয়ে আসেননি। তার পর আবার দেশের নিয়ম মানাতেও আপত্তি!
দেশটির প্রেসিডেন্ট এ নিয়ে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন। বলেছেন ইয়োভিচের টাকার চেয়ে সার্বিয়ার মানুষের জীবনের মূল্য বেশি। স্ট্রাইকারের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা করার হুমকিও দিয়েছেন। ইয়োভিচ এ ঘটনায় ক্ষমা চেয়েছেন। তবে এটাও বলেছেন, কোয়ারেন্টিনে কী করা যাবে, আর কী যাবে না, সেটা তাঁকে ব্যাখ্যা করে বলা হয়নি। এই স্ট্রাইকারের দাবি স্পেন বা ইতালির নিয়ম মেনেই বের হয়েছিলেন তিনি।
ফুটবলারের বাবা মিলান ইয়োভিচও ছেলের পক্ষেই কথা বলছেন। তবে একটু ভিন্নভাবে, ‘লুকা দুইবার করোনাভাইরাসের পরীক্ষা করেছে এবং দুবার তাঁর ফল নেতিবাচক এসেছে। সে কারণেই ভেবেছে সার্বিয়াতে যাওয়া যাবে। এখন তো মনে হচ্ছে সে ভয়ংকর অপরাধী। যদি তাকে জেলে যেতে হয়, তবে তাকে পাঠান জেলে। আমি প্রেসিডেন্ট ও প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে (ফৌজদারি মামলার বিষয়ে) আমিও একমত। কিন্তু যদি সে অপরাধী এটা প্রমাণ করা যায়।’
মিলান বলেছেন যদি লুকাকে জেলেও পাঠাতে চায় সরকার তাঁর আপত্তি নেই। কিন্তু প্রমাণ দিতে হবে অপরাধের, ‘সে যদি কোনো অপরাধ করে আমি এ সিদ্ধান্তের (শাস্তি) পক্ষে। কিন্তু সে বেলগ্রেডে এসে ঘরেই থেকেছে। ওর বান্ধবী সোফিয়া সন্তান সম্ভাবনা এবং সে জন্মদিন পালন করতে বাইরে যেতেও পারবে না। অনেক ছবিতে দেখা গেছে তারা দুজন বাইরে মজা করছে, কিন্তু ওসব ছবি সব স্পেনের।’