করোনাভাইরাসকে ভয় পাচ্ছে না অস্ট্রেলিয়া
>অন্য কারও সংস্পর্শে এলে করোনাভাইরাস ছড়ায়, এই শঙ্কায় খেলতে নামার আগে সৌজন্যমূলক করমর্দন করা বাদ দিয়েছে বেশ কিছু দল। কিন্তু অস্ট্রেলিয়া ঘোষণা দিয়েছে, এমন কিছু করার কোনো পরিকল্পনা নেই তাদের
এ সপ্তাহে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ যাঁরা দেখেছেন, তাঁরা একটা বিচিত্র ব্যাপার লক্ষ করেছেন হয়তো।
এই সপ্তাহের কোনো ম্যাচেই দুই দলের খেলোয়াড়েরা সৌজন্যমূলক করমর্দন করেননি। একে অন্যের দিকে হেসে দায়িত্ব সেরেছেন। ব্যাপারটা শুধু যে এই সপ্তাহের জন্যই, তা কিন্তু নয়। করোনাভাইরাসের প্রকোপ না শেষ হওয়া পর্যন্ত ম্যাচের আগে খেলোয়াড়দের সৌজন্যসূচক করমর্দনের রীতিটা নিয়ম করে বাদ দিয়েছে প্রিমিয়ার লিগ। অন্যের সংস্পর্শে এলে করোনাভাইরাস ছড়ায়, এই আশঙ্কা থেকে নেওয়া হয়েছে এই সিদ্ধান্ত।
একই চিন্তা থেকে আরেক অভিনব কাজ করতে চলেছে ইংল্যান্ড। শ্রীলঙ্কা সফরে কিছুদিন পর যাচ্ছেন জো রুট-বেয়ারস্টোরা। ম্যাচ শুরুর আগে লঙ্কান খেলোয়াড়দের সংস্পর্শে না আসার জন্য করমর্দন করবেন না তাঁরা, সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। বরং ‘ফিস্ট বাম্প’ করে পেরেরা-ফার্নান্দোদের সম্মান দেখাবেন রুট-বেয়ারস্টোরা। মুষ্টিবদ্ধ করে আরেকজনের মুঠোয় আলতো করে টোকা দেওয়া আরকি!
যা হোক, অস্ট্রেলিয়া অত শত 'ঝামেলা'র মধ্যে যাচ্ছে না। আগামী শুক্রবার থেকে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া ওয়ানডে সিরিজে যথারীতি করমর্দনই করবেন তাঁরা। ড্রেসিংরুম বা খেলার মাঠের মধ্যে খেলোয়াড়েরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে যেভাবে একে অন্যের সঙ্গে মেলামেশা করেন, তাতে বাধা দেওয়ার কোনো ইচ্ছাই নেই অস্ট্রেলিয়া কর্তৃপক্ষের। এমনটা জানিয়েছেন খোদ দলটার কোচ জাস্টিন ল্যাঙ্গার, ‘না, আমরা অন্যদের মতো বিকল্প উপায় খুঁজছি না। আমরা যথারীতি করমর্দন করা চালিয়ে যাব। আমাদের যথেষ্ট “হ্যান্ড স্যানিটাইজার” রয়েছে। ফলে করমর্দন করলে কোনো সমস্যা হবে বলে মনে হয় না। এ ব্যাপারে আমরা নিশ্চিত।’
কয়েক দিন আগে ল্যাঙ্গারদের উল্টো পথে হেঁটেছিলেন রুট-বেয়ারস্টোরা। ইংলিশ অধিনায়ক রুট নিজেই নিশ্চিত করেছিলেন সে খবর। জীবাণু যাতে না ছড়ায়, সে কারণেই করমর্দন করবেন না রুটরা, ‘আমরা একে অন্যের সঙ্গে করমর্দন করছি না। ওটা না করে আমরা “ফিস্ট বাম্প” করব। আমরা নিয়মিত আমাদের হাত ধুচ্ছি, আমাদের ঘরের মেঝে অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল কাপড় দিয়ে পরিষ্কার করছি। সঙ্গে প্রাথমিক চিকিৎসার বিভিন্ন ব্যবস্থাও করা আছে।’