প্রথম দিনে ৬ উইকেট ফেলতে পারল বাংলাদেশ
মধ্যাহ্নবিরতির আগের বলটাই পুরো সেশনের গল্পটা বলে দিল। তাইজুল ইসলামের কিছুটা বাইরে পড়া বল। স্পিনের উল্টো দিকে ব্যাট করা ঝুঁকিটা সামলে নিয়েই অনায়াসে রিভার্স সুইপ করলেন ক্রেগ আরভিন। জিম্বাবুয়ে অধিনায়কের সে শট ফিল্ডারকে অসহায় বানিয়ে ছুটে গেল সীমানায়। চমৎকার ওই শটে ১ উইকেটে ৮০ রান নিয়ে প্রথম সেশন শেষ করেছে জিম্বাবুয়ে।
বিরতির পর ফিরে বাংলাদেশকে হাসার সুযোগ করে দিয়েছেন নাইম। ৬৪ রান করা মাসভোরেকে ফিরিয়েছেন এই অফ স্পিনার। পরের ওভারেই তাঁকে রিভার্স সুইপ করতে গিয়ে স্ট্যাম্পে বল টেনে এনেছেন ব্রেন্ডন টেলর। ৬ উইকেটে ২২৮ রান তুলে প্রথম দিনের খেলা শেষ করেছে জিম্বাবুয়ে। ১৮ রান করা সিকান্দার রাজাকে লিটনের ক্যাচে পরিণত করেন নাঈম। এরপর মারুমাকেও তুলে নেন আবু জায়েদ। ১০৭ রান করে আউট হন ক্রেগ আরভিন।
সাহসী ক্রিকেট খেলেছেন আরভিন। টেস্টে এতটা ঝুঁকি নেওয়া প্রশ্ন তোলার মতো। কিন্তু তাঁর বারবার এভাবে রিভার্স সুইপ করতে চাওয়াই বাংলাদেশের স্পিনারদের জেঁকে বসতে দেয়নি। দুই পেসার আবু জায়েদ ও ইবাদত হোসেনের দারুণ প্রথম স্পেলের পর তাইজুল-নাঈমের সামনে সুযোগ ছিল জিম্বাবুয়েকে চেপে ধরার। প্রিন্স মাসভোরে ও কেভিন কাসুজার অতিরক্ষণাত্মক মনোভাব সে সুযোগ এনে দিয়েছিল। কিন্তু আরভিনের উদ্ভাবনী চিন্তা ও সাহসী ব্যাটিং সঙ্গী মাসভোরেকেও স্বস্তি এনে দিয়েছে। সেশনের শেষ দিকে আরভিনকেই ছাপিয়ে গেছেন।
প্রথম সেশনেই ১১ চার এসেছে। খুব বেশি বা খুব কম—কোনোটিই বলা যাচ্ছে না। জিম্বাবুয়ের টপ অর্ডারের ব্যাটিংটাও যে তেমনই ছিল। প্রথমে প্রতিপক্ষের আক্রমণ সহ্য করে নিয়ে ধীরে ধীরে উইকেটে জমে গেছেন তাঁরা। স্ট্রাইক বদলেছেন, আবার সুযোগ সৃষ্টি করে চার বের করে নিয়েছেন। বেশ কয়েকবার ভাগ্য সহায়তা করেছে আরভিনকে। মাসভোরেও দু-একবার ভাগ্যদেবীকে ধন্যবাদ দেওয়ার সুযোগ পেয়েছেন। কিন্তু প্রথম দিনের উইকেটে দাগ কাটার মতো বোলিং বাংলাদেশে দ্বিতীয় ঘণ্টায় করতে পারেনি।
অথচ বাংলাদেশের শুরুটা ছিল প্রায় অবিশ্বাস্য। টসে জিতে ব্যাটিং বেছে নেওয়া জিম্বাবুয়ে প্রথম ৬ ওভারে কোনো রান নিতে পারেনি। পঞ্চম ওভারে এসে প্রথম রানের দেখা মিলল, সেটাও লেগ বাই থেকে। সপ্তম ওভারে প্রথম ব্যাট থেকে রান এসেছে, সেটা বাউন্ডারি থেকে।। এরপরও ৮ ওভার শেষে জিম্বাবুয়ের রানের ঘরে মাত্র ৭। উইকেটের ঘরেও দাগ কাটা হয়ে গেছে। কাসুজাকে (২) গালিতে নাঈমের ক্যাচ বানিয়েছেন আবু জায়েদ। ১১ ওভার শেষে জিম্বাবুয়ের রান রেট ছিল ০.৮। সেই জিম্বাবুয়েই পরের ১৯ ওভারে নিয়েছে ৭১ রান।