কোহলি-মুশফিকদের বিশ্বকাপেও থাকছে এই নতুন প্রযুক্তি
>ছেলেদের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপেও ব্যবহার করা হবে পায়ের ‘নো বল’ ধরার নতুন প্রযুক্তি
মহড়া হয়েছে ভারত ও ওয়েস্ট ইন্ডিজে। এবার বড় টুর্নামেন্টে আনুষ্ঠানিকভাবে ব্যবহারের পালা। সে কাজটিই করতে যাচ্ছে আইসিসি। মেয়েদের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে পায়ের ‘নো বল’ ধরতে নতুন প্রযুক্তি ব্যবহারের ঘোষণা আগেই দিয়েছে আইসিসি। এবার জানা গেল, এ প্রযুক্তি ব্যবহার হবে ছেলেদের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপেও। তবে বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ও দ্বিপক্ষীয় সিরিজে তা ব্যবহার করা হবে কি না, সেটি এখনো নিশ্চিত নয়।
অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে আগামী শুক্রবার থেকে শুরু হচ্ছে মেয়েদের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। আইসিসি এর আগে জানিয়েছে, মেয়েদের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে পায়ের নো বল ধরতে নতুন প্রযুক্তি ব্যবহার করা হবে। এবার অস্ট্রেলিয়ার সংবাদমাধ্যম সিডনি মর্নিং হেরাল্ড জানাল, ছেলেদের বিশ্বকাপেও নিয়ে আসা হবে একই প্রযুক্তি। যেখানে টেলিভিশন আম্পায়ার প্রতি বলে বোলারের পা ফেলার জায়গা দেখবেন। লাইনের বাইরে পা পড়লে তিনি সঙ্গে সঙ্গে জানিয়ে দেবেন মাঠের আম্পায়ারকে। মাঠের আম্পায়ার পায়ের নো বল ডাকবেন কেবল টেলিভিশন আম্পায়ার তাঁকে জানালেই। পায়ের নো বল ছাড়া বাকি অন্য যেকোনো নো বল ডাকার অধিকার মাঠের আম্পায়ারের থাকছে।
ছেলেদের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে এ প্রযুক্তি ব্যবহার করা নিয়ে আইসিসির আম্পায়ার ও রেফারিদের প্রধান আদ্রিয়ান গ্রিফিত বলেন, ‘শুধু এ দুটি ইভেন্টে এটা ব্যবহার করা হবে তা নিশ্চিত করতে পারি। তবে এ প্রযুক্তি কত দূর এগিয়ে নেওয়া হবে, তা নিশ্চিত করবেন সদস্যরা।’
নতুন এ প্রযুক্তি সম্প্রতি পরীক্ষামূলকভাবে ১২টি ম্যাচে ব্যবহৃত হয়েছে। এ খেলাগুলোয় করা ৪ হাজার ৭১৭টি বলের মধ্যে প্রযুক্তিটির মাধ্যমে নো বল ধরা হয় মাত্র ১৩টিতে। হার ০.২৮ শতাংশ। তবে নো বল নিয়ে সমস্যা সাম্প্রতিক সময়ে বেড়েছে। পায়ের নো বল নিয়ে ছড়াচ্ছে অনেক বিতর্ক। গত মাসে দক্ষিণ আফ্রিকা-ইংল্যান্ডের মধ্যকার কেপটাউন টেস্টে এক সেশনেই পায়ের ১২টি নো বল ধরতে পারেননি মাঠের আম্পায়াররা।
অস্ট্রেলিয়ায় এ বছরের ১৮ অক্টোবর শুরু হবে ছেলেদের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ।