বাবরকে 'জীবন' ও সেঞ্চুরি দিল বাংলাদেশ
>রাওয়ালপিন্ডি টেস্টে চা–বিরতির আগে শক্ত অবস্থানে পাকিস্তান। বাবর আজমের ক্যাচ নিতে পারেনি বাংলাদেশ
চা-বিরতিতে ভুলটা নিয়ে নিশ্চয়ই কথা হবে? ‘জীবন’টা পেয়েছেন বাবর আজম! এরপর কী ঘটতে পারে, তা সহজেই অনুমেয়। মাত্র ২১ বলের মাথায় (২ রানে) ‘জীবন’ পাওয়া বাবর তুলে নিলেন ফিফটি। আরও কত দূর যাবেন কে জানে! অন্য প্রান্তে শান মাসুদ তুলে নেন সেঞ্চুরি। চা-বিরতিতে যাওয়ার আগে ভুলের ‘প্রায়শ্চিত্ত’ বলে যদি কিছু থেকে থাকে সেটি পাকিস্তানি এ ওপেনারের উইকেট।
রাওয়ালপিন্ডি টেস্টে আজ দ্বিতীয় দিনে চা-বিরতিতে যাওয়ার আগেই শক্ত ভিত পেয়ে গেছে পাকিস্তান। এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ৩ উইকেটে ২৫৩ রান তুলেছে পাকিস্তান। ওভারপ্রতি গড়ে প্রায় চারের (৩.৭৪) কাছাকাছি রান তোলায় বোঝাই যাচ্ছে, ওয়ানডে মেজাজে ব্যাট করছে স্বাগতিকরা। আজহার আলী-শান মাসুদের ১২৬ বলে ৯১ রানের জুটি, শান মাসুদ-বাবরের ১৮৭ বলে ১১২ রানের জুটি তারই প্রমাণ।
লাঞ্চ বিরতির পর তৃতীয় ওভারেই জীবন পান বাবর। এগিয়ে এসে তাইজুল ইসলামকে লং অফ দিয়ে পার করার চেষ্টা করেছিলেন। ক্যাচটা নিতে পারেননি ইবাদত হোসেন। জীবন পেয়েছেন শান মাসুদও। ৮২ রানে উইকেটরক্ষক লিটন দাসকে ক্যাচ দিলেও তিনি টের পাননি। এ দুটি ভুলের সদ্ব্যবহার ঠিকই করেছে পাকিস্তান। ৭৪ স্ট্রাইকরেটে ১৩৫ বলে সেঞ্চুরি তুলে নেন বাবর। ১০০ রান করা শানকে চা–বিরতির আগের ওভারে বোল্ড করেন তাইজুল। আসাদ শফিককে নিয়ে ব্যাট করছিলেন বাবর।
দিনের শুরুতেই ধাক্কা খেয়েছিল পাকিস্তান। দ্বিতীয় ওভারেই বাইরের একটি বল তাড়া করতে গিয়ে ফিরেছেন ওপেনার আবিদ আলী। কিন্তু ২ রানে প্রথম উইকেট হারানো পাকিস্তানের তাতে খুব একটা ক্ষতি হয়েছে বলা যায় না। শান মাসুদ ও আজহার আলী রীতিমতো ওয়ানডে মেজাজে খেলেছেন প্রথম সেশনে।
শুধু উইকেট নিয়েছেন বলেই নন, বোলারদের মধ্যে একমাত্র আবু জায়েদই আলো ছড়িয়েছেন। বেশ কয়েকবার শান মাসুদকে বিপাকে ফেলেছেন। নিয়ন্ত্রিত লাইন ও লেংথ দিয়ে প্রতিপক্ষকে আটকে রাখার চেষ্টা করেছেন। কিন্তু অন্য প্রান্তে থাকা দুই সঙ্গী যে সেটা করতে পারেননি। উইকেট তুলে নেওয়ার মতো বল করা তো দূরের কথা, উল্টো রান করার সহজ পথ করে দিয়েছেন ইবাদত হোসেন ও রুবেল হোসেন। বাঁহাতি স্পিনার তাইজুল ইসলাম রান আটকানোর চেষ্টায় ব্যক্তিগতভাবে সফল। কিন্তু উইকেট তুলে নেওয়ার মতো কিছু করতে পারেননি। পাকিস্তানও ওভারপ্রতি ৪ রান করে তুলেছে টেস্টে।
আবু জায়েদের দুটি উইকেটই একই ভঙ্গিতে। অফ স্টাম্পের অনেক বাইরে শট খেলতে গিয়ে লিটন দাসের কাছে ক্যাচ দিয়েছেন আবিদ। এরপর পুরো সেশনে আর বলার মতো ঘটনা নেই। বাংলাদেশি বোলারদের রীতিমতো শাসন করেছেন মাসুদ ও আজহার। ২৩ ওভারের প্রথম বলেই চার মারা আজহার দ্বিতীয় বলেও লেংথ বল পেয়েছিলেন। বেশ বাইরের বলে চার মারা লোভ সামলাতে পারেননি দিবারাত্রির টেস্টের প্রথম ট্রিপল সেঞ্চুরিয়ান। ড্রাইভ করতে গিয়েছিলেন। কিন্তু সেটা স্লিপে থাকা নাজমুল হোসেন পর্যন্তই শুধু পৌঁছেছে।