ফিফা রেফারি হয়ে জয়া চাকমার স্বপ্ন পূরণ
ফিফার আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতির অপেক্ষায় ছিলেন। সেটাও পেয়ে গেলেন। বাংলাদেশের প্রথম মহিলা ফিফা রেফারি এখন জয়া চাকমা। তাঁর এই সাফল্যে উচ্ছ্বসিত বাংলাদেশের রেফারি অঙ্গন। সাবেক ফিফা রেফারি তৈয়ব হাসান প্রথম আলোকে বলেন, ‘জয়ার এই অর্জন তার একার নয়। বাংলাদেশের গোটা রেফারি সমাজের। জয়াকে দেখে এখন আরও অনেকে উৎসাহিত হবে।'
জয়া নিজেও নতুনভাবে উদ্দীপ্ত। বলেছেন, ‘এই স্বীকৃতির জন্য অনেক কষ্ট করেছি। অবশেষে সেটা পাওয়ায় কতটা আনন্দিত বোঝাতে পারব না।' ঠিক করেছেন নিজের নতুন লক্ষ্যও, ‘এখন আমি চাইব নির্ভুলভাবে যেন ম্যাচ পরিচালনা করতে পারি। সে জন্য নতুনভাবে প্রস্তুত হচ্ছি।'
ফিফা রেফারি হওয়ার জন্য জয়া ও সালমা আক্তার গত ২৩ আগস্ট বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে পরীক্ষা দেন । সেই পরীক্ষার ফল দেখে বাংলাদেশ ফুটবল রেফারিজ কমিটি প্রথম সুসংবাদটা দেখ। তখনই জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল দুজনই উত্তীর্ণ হয়েছেন। বাকি ছিল ফিফার আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি। জয়া সেটি পেলেও সালমা পাননি। তাঁকে অপেক্ষায় থাকতে হবে আরও কিছুদিন। কারণ, ফিফা রেফারি হতে বয়স কমপক্ষে ২৩ প্রয়োজন। সালমার বয়স একটু কম।
তবে ফিফার স্বীকৃতি এসে যাওয়ায় আন্তর্জাতিক ম্যাচ পরিচালনা করতে জয়ার সামনে আর কোনো বাধা থাকল না। আগামী ১ জানুয়ারি থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত এক বছর তিনি মেয়েদের আন্তর্জাতিক ম্যাচ পরিচালনা করতে পারবেন। তিনি এশিয়ান ফুটবল কনফেডারেশনের বয়সভিত্তিক স্তরে এখন পর্যন্ত ১৬টি ম্যাচ পরিচালনা করেছেন। দেশে গত বছর ছেলেদের তৃতীয় বিভাগ লিগের ১টা ম্যাচ করেছেন। বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের রেফারিজ কমিটির কর্মকর্তা ইব্রাহিম নেসার বলেন, ‘জয়াকে নিয়ে আমরা গর্বিত। এখন থেকে সে আন্তর্জাতিক ম্যাচ করবে। পাশাপাশি আমরা তাকে ঘরোয়া খেলায়ও কাজে লাগাব। সামনে ছেলেদের পাইওনিয়ারের সুপার লিগে ম্যাচ দেব তাকে।’